কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক অবিস্মরণীয় অকুতোভয় বীর। সেক্টর ৮ এর বয়রা সাব সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন তিনি। রণাঙ্গনে তিনি শুধুই অধিনায়কত্ব বা নির্দেশ দিতেন না। বেশির ভাগ সময় নিজেই প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার বর্ণী বিওপি। সেখানে ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর শক্ত একটি ঘাঁটি। ছিল প্রায় ৭৫ জন পাকিস্তানী সেনা। ওই ঘাঁটির কারণে মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অভ্যন্তরে সহজে অপারেশন করতে পারছিলেন না। একাত্তরের আগস্টের প্রথম দিকে খন্দকার নাজমুল হুদা সিদ্ধান্ত নিলেন সেখানে আক্রমণ পরিচালনার।
৫ আগস্ট ১৯৭১, দুই কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধা তাঁর নেতৃত্বে আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে পাকিস্তানী সেনারা তাদের ১৫ জনের লাশ ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় সেদিনের যুদ্ধে। যুদ্ধজয়ের পর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানীদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র, গোলা নিজেদের ঘাঁটিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কর্নেল নাজমুল হুদা তা তদারক করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ আরেক দল পাকিস্তানী সেনা পেছন থেকে, সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় তাঁদের ওপর আক্রমণ করে। নাজমুল হুদার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার সঙ্গে পাকিস্তানীদের মোকাবিলা করতে থাকেন। তিনি নিজেও অস্ত্র হাতে সহযোদ্ধাদের পাশে থেকে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানীদের আওতার মধ্যে পড়ে যান। তখন কয়েকজন সহযোদ্ধা তাঁকে পেছনে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসেন। ফলে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে তিনি অলৌকিকভাবে রক্ষা পান। সেদিন চারজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন।
খন্দকার নাজমুল হুদা (কে এন হুদা) ১৯৩৮ সালের ৬ জুলাই বরিশাল শহরে বগুড়া রোডে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন, মাতা বদরুন্নেসা খাতুন। বন্ধু মহলে তিনি গুডু নামে পরিচিত ছিলেন। কে এন হুদা ১৯৫৭ সালে ব্রজ মোহন (বিএম) কলেজ থেকে বিএ পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৯ সালে এমএ পড়া বাদ দিয়ে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে কমিশন প্রাপ্ত হন নাজমুল হুদা।
১৯৬৫ -র পাক-ভারত যুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করেন এবং স্বীকৃতি হিসেবে ‘তমঘা ই জং’ পদকে ভূষিত হন। কিন্তু এত কিছুর পরেও তিনি বাঙালীর প্রতি পাকিস্তানীদের অন্যায় বৈষম্য কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি।

ট্রেনিঙের ফাঁকে অষ্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক জন পিলজারের সাথে মেজর নাজমুল হুদা। ছবি: পারিবারিক সংগ্রহ থেকে।
তাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন খন্দকার নাজমুল হুদা বাঙালীর মুক্তির স্বপ্ন দেখতে থাকেন। সার্জেন্ট জহুরুল হকের সঙ্গে ধীরে ধীরে যুক্ত হন সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিকল্পনায়। ১৯৬৭-র শেষ দিকে সে পরিকল্পনার খোঁজ পেয়ে যায় পাকিস্তান সামরিক সরকার। ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারীতে গোয়েন্দা বাহিনী হুদাকে পশ্চিম পাকিস্তানের শিয়ালকোট ক্যান্টনমেন্ট থেকে গ্রেফতার করে। শুরু হয় তার উপর অকথ্য নির্যাতন। কিন্তু পরিকল্পনার কোন তথ্যই ফাঁস করেননি এই বীর সেনানী।
ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদাকে অন্য অনেকের মত নিয়ে আসা হয় ঢাকায়। সাক্ষ্য নেবার সবরকম চেষ্টা করা হয় যাতে প্রমাণ করা যায় যে শেখ মুজিব পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল সশস্ত্র সংগ্রামের। তাহলেই বাঙালীকে নেতৃত্বহীন করা যাবে শেখ মুজিবকে ফাঁসী দিয়ে।
৩৫ জনকে আসামী করে শুরু হয় “রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য” মামলা। এই তথাকথিত ষড়যন্ত্রের সাথে “ভারত” এর যুক্ততা বিশ্বাসযোগ্য করতে অনানুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়ার কাছে এই মামলাকে পরিচিত করা হয় “আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা” নামে। আইয়ুবের সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে মামলার ২৭ নম্বর অভিযুক্ত ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদাসহ সকলেই অস্বীকার করেন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ। সাজানো সাক্ষীরাও বেঁকে বসেন আদালতে।
আইয়ুবের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। মুজিবের বিরুদ্ধে নয় জনগণ জ্বলে ওঠে আইয়ুবের বিরুদ্ধেই। সার্জেন্ট জহুরকে হত্যা করে সে আগুনে ঘি ঢালে আইয়ুব নিজেই। রাজপথে জনতার ঢল নামে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে “চল চল ক্যান্টনমেন্ট চল” শ্লোগানে। আসাদ, মতিয়ুরের রক্তে উজ্জীবিত আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। ২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯, মাথা নামিয়ে আইয়ুব খান মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয়, বাধ্য হয় অভিযুক্তদের মুক্তি দিতে। মুক্তি পান ক্যাপ্টেন খন্দকার নাজমুল হুদা।
একাত্তরের উত্তাল মার্চে নাজমুল হুদা কুষ্টিয়ায় অবস্থান করছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে তিনি মেজর ওসমান চৌধুরীর সাথে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে অসমসাহসিকতার জন্যে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত হন।
স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্রথম কমান্ডেন্ট নিযুক্ত হন। একই সাথে ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের দায়িত্বও তাকে দেয়া হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসাররা বুঝে ফেলেন যে মোশতাক-জিয়া গং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী চক্রের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে সেনাবাহিনী এবং দেশকে পাকিস্তানী ধারার একটি দেশে পরিণত করতেই ১৫ আগষ্ট সৃষ্টি করেছে। তাই দেশের সেই ক্রান্তিকালে কর্নেল নাজমুল হুদা চুপ করে বসে থাকতে পারেননি। খুনি মোশতাক-জিয়া-ফারুক-রশীদের সরকার উৎখাতে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের সঙ্গে ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানে যোগ দেন।
৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে যে অভ্যুত্থান হয়েছিল তা ছিল মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের অভ্যুত্থান। অভ্যুত্থানের প্রতিটি পর্যায়ে খালেদ মোশাররফ চেয়েছিলেন রক্তপাত এড়িয়ে চলতে। তাই তিনি আলোচনার মাধ্যমে মুজিব হত্যাকারীদের নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে জানতেই পারেননি যে এই সুযোগের ব্যবহার করে মোশতাক, জিয়া, জেনারেল খলিল, রশীদ তাদের অনুগত একটি দলকে দিয়ে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে হত্যা করে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও এম মনসুর আলীকে। একদিন পরে ৪ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ, নাজমুল হুদা সে খবর পেয়ে স্বভাবতই মুষড়ে পড়েন।
১৫ আগষ্ট থেকে নভেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত সময়কালে জেনারেল জিয়া তার পক্ষ-বিপক্ষ শক্তিকে চিহ্নিত করতে গিয়ে বুঝতে পারেন মুক্তিযোদ্ধা জাসদের গণবাহিনী প্রধান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবু তাহেরের একটি শক্ত অবস্থান আছে সেনাবাহিনীতে। তাই ৩ নভেম্বর জিয়া বন্দি হবার পরে তাকে মুক্ত করতে কর্নেল তাহেরকে অনুরোধ করেন। কর্নেল তাহের নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে খুব সহজেই এই সুযোগটি গ্রহণ করেন এবং বিপ্লবী সৈনিক সংস্থাকে কাজে লাগাতে তৎপর হন। ঘোলাজলে কর্নেল তাহের, বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা, গণবাহিনী এবং জাসদ তাদের তথাকথিত ‘বিপ্লব’ ঘটায় এবং জিয়াকে মুক্ত করে।
৭ নভেম্বর রাত ১২টার পর ঢাকা সেনানিবাসে যখন তথাকথিত ‘সিপাহি বিপ্লব’ শুরু হয়, তখন খালেদ মোশারফ, নাজমুল হুদা ও হায়দার বঙ্গভবনেই ছিলেন। কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে ‘বিপ্লব’ এর খবর শুনে খালেদ মোশাররফ কর্নেল হুদার মাধ্যমে ১০ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক কর্নেল নওয়াজেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নওয়াজেশ খালেদ মোশাররফকে তার ইউনিটে যাবার জন্যে অনুরোধ করেন। তখন তারা ১০ ইষ্টবেঙ্গলের ইউনিটে চলে যান।
যুদ্ধের সময় খালেদ মোশাররফ নিজ হাতে তৈরি করেন ১০ ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট। তিনি নিজেও ছিলেন ১০ ইস্টবেঙ্গলের সৈনিকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাছাড়া ৩ নভেম্বরের পরে জেনারেল খালেদ মোশাররফের আদেশেই শেরেবাংলানগরে অবস্থান নিয়েছিল এই রেজিমেন্ট।
ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর কেউ কেউ একটি ওয়ারলেস মেসেজ ইন্টারসেপ্ট করেন। ওয়ারলেসের একপ্রান্তে ১ বেঙ্গলের মেজর জলিলের কাছে খালেদ মোশাররফদের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে মেজর জলিল বলেন ‘All 3 birds are in the cage’ তখন অপরপ্রান্ত থেকে হুকুম আসে ‘finish them, over & out’।
সে সময়ে খালেদ মোশাররফ মেস কক্ষে চেয়ারে বসে ধুমপান করছিলেন, সাথে বসেছিলেন হুদা এবং পায়চারি করছিলেন হায়দার। এ সময় সেখানে উপস্থিত হন সেই ওয়ারলেস মেসেজপ্রাপ্ত অফিসার মেজর জলিল, ক্যাপ্টেন আসাদ ও একজন হাবিলদারসহ কয়েকজন উত্তেজিত সৈনিক।
মেজর জলিল চিৎকার করে জেনারেল খালেদকে বলে, “আমরা তোমার বিচার চাই”! জেনারেল খালেদ শান্তকণ্ঠে জবাব দেন, ” ঠিক আছে, তোমরা আমার বিচার করো। আমাকে জিয়ার কাছে নিয়ে চলো”। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় রাইফেল বাগিয়ে থাকা হাবিলদার চিৎকার করে বলে, “আমরা এখানেই তোমার বিচার করবো”।
”ঠিক আছে, তোমরা আমার বিচার করো” বলেই শান্ত জেনারেল খালেদ দু’হাত দিয়ে তার মুখ ঢাকলেন।
একটি মাত্র ব্রাস ফায়ারে চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় লুটিয়ে পড়লেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ২ এর কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম আর সেক্টর ৮ এর সাব-সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম। কর্নেল হায়দার ছুটে বেরিয়ে যাবার মুখে বারান্দায় সৈনিকদের হাতে ধরা পড়েন। উত্তেজিত সৈনিকরা নির্দয়ভাবে লাঞ্ছিত করতে করতে দোতলা থেকে নিচে নামিয়ে এনে গুলি করে হত্যা করল সেক্টর ২ এর সাব-সেক্টর কমান্ডার লেফটেনেন্ট কর্নেল এটিএম হায়দার বীর উত্তমকে।
মিনিটের মধ্যে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হল তিন মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে। আহত অবস্থায় কোন রকমের দেয়াল টপকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেন মুক্তিযুদ্ধের আরেক বীর কর্নেল শাফায়াত জামিল। এ হত্যাকাণ্ড কোন ‘বিপ্লব’এর অংশ ছিল না। তবে কারা এই মেজর জলিল-ক্যাপ্টেন আসাদেরা? কেই বা জলিলকে ‘finish them, over & out’ শেষ হুকুম দিল?
সেদিন সেই প্রত্যুষে মুক্তিযুদ্ধের তিন বীরকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের নির্মূলের প্রক্রিয়া সূচনা হল। শুধু তাই নয় যতদূর পর্যন্ত সম্ভবপর ততটাই অনাদর, অবেহেলা আর অসম্মান প্রদর্শন করা হয় এই তিন বীরের প্রতি।
কর্নেল নাজমুল হুদার পরিবারকে নিজ দায়িত্বে মরদেহ সিএমএইচ থেকে নিয়ে যেতে বলা হয়। মরদেহের উপরে জাতীয় পতাকার আচ্ছাদন দেয়ার কথা বললে জিয়াউর রহমান নাজমুল হুদার স্ত্রীকে তা দিতে অস্বীকার করেন। তিনদিন পর মরদেহ পরিবার গ্রহণ করে যখন দাফন করার জন্য সামরিক কবরস্থানে কবরের আবেদন করে তখন তৎকালীন ষ্টেশন কমান্ডার কর্নেল হামিদ বলে, Colonel Huda does not deserve a grave in Army graveyard (কর্নেল হুদা সামরিক কবরস্থানে কবর পাবার যোগ্য নয়)।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শুধু নয় একজন সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে এত বড় অন্যায়, অবিচার করবার সাহস কর্নেল হামিদ পেয়েছিল কোথা থেকে তা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হয় না। জেনারেল জিয়া সাড়ে ৫ বছর ক্ষমতায় থেকে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার তো দূরের কথা বিভাগীয় তদন্তও করতে দেয়নি।
আজও ৭ নভেম্বরসহ সেনাবাহিনীতে সঙ্ঘটিত পরবর্তি অসংখ্য সেনাসদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা অফিসার হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা অনুদ্ঘাটিতই রয়ে গেছে। ঐ সময়ের প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কে পূর্ণাংগ তদন্ত যতদিন না হবে ততদিন এই জাতিকে খালেদ মোশাররফ, খন্দকার নাজমুল হুদা, এটিএম হায়দারসহ শত মুক্তিযোদ্ধার রক্তের দায় বহন করেই চলতে হবে।
লেখক: সাগর লোহানী, সম্পাদক, বাঙালীয়ানা