মৃত্যুর পর মানবদেহটি যদি মানবতার কল্যাণে লাগাবার সুযোগ থাকে তবে কেন তা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন এমন প্রশ্ন নিয়ে মরণোত্তর দেহ ও অঙ্গদান বিষয়ে জনগণকে আগ্রহী করে তোলার কর্মকান্ডে নিয়োজিত সংগঠন “মৃত্যুঞ্জয়” “অঙ্গদান নয় জীবনদান” শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
সংগঠনের আহ্বায়ক ভাষা সংগ্রামী, শব্দসৈনিক কামাল লোহানী বাঙালীয়ানাকে বলেন, ‘শুক্রবার, ৩০ আগষ্ট, ২০১৯, সন্ধ্যে সাড়ে ৬টায় সাত মসজিদ রোডে (শংকর বাসষ্ট্যান্ড) ছায়ানট ভবনের মূল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা, অঙ্গদাতা ও অঙ্গ গ্রহিতার অভিজ্ঞতা, অঙ্গ প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞের অভিজ্ঞতা ও মরণোত্তর দেহ ও অঙ্গদানে প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত পদ্ধতি, ইত্যাদি ছাড়াও আরও থাকবে দেহ ও অঙ্গদান সম্পর্কিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও সাধারণ মানুষের দেহ ও অঙ্গদান সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব।’
মৃত্যুঞ্জয় আহ্বায়ক কামাল লোহানী বলেন, ‘মৃত্যুর পরে আমাদের দেহ এবং অঙ্গ যদি অন্য একটি জীবন রক্ষা করতে পারে তবে কেন আমরা আমাদের উত্তরসুরীকে সেই গর্ব থেকে দূরে ঠেলে রাখবো? এই নশ্বর দেহ এবং বিভিন্ন অঙ্গ যদি অন্যের বেঁচে থাকার অবলম্বন হতে পারে তবে তাকে কেনো নষ্ট করবো? মানব আর মানবতার কল্যাণে মৃত্যুর পরে দান করে যাব আমাদের দেহ আর অঙ্গ।’
প্রায় ৫ বছর ধরে দেহ ও অঙ্গদান বিষয়ে কাজ করা ‘মৃত্যুঞ্জয়’ মনে করে বাংলাদেশের ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন- ২০১৮’ কার্যকর হওয়ায় দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হয়েছে।
সাধারণ মানুষ এ সম্পর্কে অবগত নয় তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনগণকে অবগত ও উদ্বুদ্ধ করবার দায়িত্ব রয়েছে সকলের। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মৃত্যুঞ্জয় আহ্বায়ক।
তিনি মৃত্যুঞ্জয়ের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সাধারণ আলোচনা, পোষ্টার, ফেষ্টুন, ব্যানার প্রকাশ ছাড়াও অঙ্গ পাচার ও অঙ্গদান বিষয়ে সচেতনতামূলক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে কাজ করছে। অঙ্গদান ও অঙ্গপ্রতিস্থাপন বিষয়ে একটি আন্তযোগাযোগ নির্ভর (Interactive) ওয়েবসাইট নির্মাণেও কাজ করছে মৃত্যুঞ্জয়। যার ফলে অঙ্গদান ও অঙ্গপ্রতিস্থাপনে সচেতনতা বৃদ্ধি ও অঙ্গদাতা, গ্রহিতা, প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সহজ যোগাযোগ প্রক্রিয়া তৈরী হবে।’
বাঙালীয়ানা/এসএল