ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া অ্যাকাউন্ট নিবন্ধনের অভিযোগ উঠেছে। তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী এনায়েত হোসেন এমন অভিযোগ এনে দারাজকে উকিল নোটিশও পাঠিয়েছেন। তবে দারাজ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এনায়েত হোসেন বলেন, ‘দারাজ আমার অনুমতি ছাড়া সরাসরি আমার তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করে ফেলেছে। এ জন্য আমি একটি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। তৃতীয় কোনো উৎস থেকে ই-মেইল ঠিকানা নিয়ে এভাবে নিবন্ধন করা অনুচিত কাজ।’
ই-কমার্স ব্যবসার জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেলেও অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না আইন। নোটিশে বলা হয়েছে, এনায়েত হোসেন দারাজে নিবন্ধন করেননি। কিন্তু ৮ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে তিনি একটি ই-মেইল পান। যেখানে দারাজ ডটকম থেকে জানানো হয়, তার নিবন্ধন সফল হয়েছে এবং এখন থেকে তিনি নিয়মিত প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণামূলক ই-মেইল পাবেন, সহজে ফরমাশ (অর্ডার) জানাতে পারবেন এবং সময়ে সময়ে মূল্যছাড় কোড পাবেন।
নোটিশে দারাজের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৬ (১) ধারা লংঘনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এনায়েত হোসেনের পক্ষে আইনি নোটিশটি পাঠান তার আইনজীবী হামিদুল মিজবাহ। নোটিশপ্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে দারাজ ডটকমের দখলে থাকা এনায়েত হোসেনের পরিচিতিমূলক তথ্য মুছে ফেলা, ক্ষমা প্রার্থনা ও ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
হামিদুল মিজবাহ বলেন, ‘ডিজিটাল আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ী উকিল নোটিশটি ১২ নভেম্বর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বরাবর পাঠানো হয়েছে।’
দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘অভিযোগকারী তার আইনি নোটিশে যে অভিযোগ করেছেন, তা ভিত্তিহীন। দারাজ কখনোই তার গ্রাহকের জন্য স্ব-প্রণোদিতভাবে কোনো অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করে না। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যে তথ্যগুলো প্রয়োজন, তা ব্যবহারকারীর একান্তই ব্যক্তিগত, যা দারাজের পক্ষে কখনোই জানা এবং নিবন্ধন করার জন্য দেওয়া সম্ভব নয়। গ্রাহক স্বেছায় সাবস্ক্রিপশন না করলে কোনো প্রমোশনাল ই-মেইল পাবে না। নোটিশটি পাওয়ার পর আমরা আমাদের লিগাল ডিপার্টমেন্টকে এ ব্যাপারে অবগত করেছি। তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিগাল নোটিশের জবাব প্রদান করবে।
বাঙালীয়ানা/এমএইচ/জেএইচ