কয়েক দশক আগের কথা। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রচণ্ড এক ঘূর্ণিঝড় দেশের উপকূলে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ছিল প্রায় ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫০ মাইল। এ ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারান প্রায় দেড় লাখ মানুষ। গবাদি পশু, ফসল ও সম্পদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার কোটি টাকা। প্রায় এক কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে।
বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় নতুন কিছু নয়। দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রায় প্রতিবছর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ছোট, মাঝারি বা বড় আকারের ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানে। অল্প শক্তির ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয় কম, মাঝারি শক্তির ঘূর্ণিঝড়ে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিন্তু খুব শক্তিশালী ও বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় যদি হয়, তখনই মানুষের প্রাণহানি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৬০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ৩৩টি বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হেনেছে। দেশে প্রচণ্ডতম ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর। এতে ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের সবকটি উপকূলীয় জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ছিল প্রায় ৩৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস। প্রাণহানির সংখ্যা সরকারিভাবে বলা হয়েছিল পাঁচ লাখ।

১২ নভেম্বর ১৯৭০ এর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বিধ্বস্ত জনপদ।
কিন্তু বেসরকারি হিসাবে প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। দেশের ইতিহাসে ১৯৭০-এর ওই ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সেই ঘূর্ণিঝড়ে এত ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির প্রধান কারণ যথাসময়ে পূর্বাভাস বা সতর্কসংকেত না দেওয়া। কেউ বুঝতেই পারেনি এত প্রচণ্ড ও ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় উচ্চ জলোচ্ছ্বাস নিয়ে ধেয়ে আসছে।
ঘূর্ণিঝড়ের পর উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ তৎপরতাও মোটেই পর্যাপ্ত ছিল না। তখন পাকিস্তানি শাসনামল। এতবড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ পাকিস্তান সরকারের কাছে কোনো গুরুত্ব পায়নি। সরকারের এ অবহেলা পাকিস্তানি শাসকদের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের ক্ষোভ ও ঘৃণা আরও তীব্র করে তোলে। এর প্রতিফলন ঘটে ওই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে।
জাতীয় পরিষদে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে জয়লাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের যোগ্যতা পায়।
১৯৭০-এর পর ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ই দেশের দ্বিতীয় প্রচণ্ডতম ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ে নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অঞ্চল এবং সবকটি দ্বীপ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চট্টগ্রাম শহর ও নৌবন্দরও ঝড়ের কবলে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তি হয় ২৪ এপ্রিল বঙ্গোপসাগরে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছে। এটি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উত্তরদিকে অগ্রসর হয় এবং ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। দীর্ঘস্থায়ী এ ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় ১২ ঘণ্টা ধ্বংসলীলা চালায়।
ঘূর্ণিঝড়ের খবর ২৯ এপ্রিল রাতেই ঢাকায় পৌঁছায় এবং সেই রাতে টেলিভিশনে এবং পরদিন সংবাদপত্রে আংশিক খবর প্রচারিত হয়। কিন্তু প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক বিবরণ পাওয়া যাচ্ছিল না। সে সময় আমি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে সিনিয়র রিপোর্টার পদে কর্মরত। পত্রিকার সম্পাদক এসএম আলী দুর্গত এলাকায় রিপোর্টার ও ফটোগ্রাফার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন, যাতে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক বিবরণ পাওয়া যায়। আমাকে তিনি নোয়াখালী যেতে বললেন, কারণ আমার পৈতৃক বাড়ি ওই জেলাতেই। তার নির্দেশমতো ওইদিন রাতের ট্রেনেই নোয়াখালী যাত্রা করলাম। সঙ্গে নিলাম ক্যামেরা। আরও দুজন রিপোর্টার ও ফটোগ্রাফার গেলেন চট্টগ্রামে।
পরদিন অর্থাৎ ১ মে ভোরে নোয়াখালীর মাইজদি কোর্ট স্টেশনে পৌঁছলাম। সকাল ৭টায় গিয়ে উপস্থিত হলাম জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বাসভবনে। গেটের গার্ড জানাল, ‘স্যারের সঙ্গে এখন দেখা হবে না, তিনি ঘুমাচ্ছেন। ৯টার পর আসেন।’ আমি আমার কার্ড তাকে দিয়ে বললাম, ‘আমি সাংবাদিক, ডিসি সাহেবকে বলেন আমি ঢাকা থেকে এসেছি ঘূর্ণিঝড়ের খবর জানতে।’ গার্ড তখনই আমাকে গেট খুলে ভেতরে নিয়ে একটি ঘরে বসাল এবং দোতলায় ছুটল স্যারকে খবর দিতে। একটু পরেই এসে আমাকে উপরে নিয়ে গেল।
দোতলায় গিয়ে ডিসির বৈঠকখানায় বসলাম। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তিনি এলেন। দেখেই বুঝলাম এই মাত্র ঘুম থেকে উঠেছেন। কুশলবিনিময়ের পর জানালাম আমার উদ্দেশ্য। ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি কত, ক্ষয়ক্ষতি কেমন, ত্রাণ তৎপরতা কেমন চলছে জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, উপকূলে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য তার কাছে আসেনি। রেডক্রসের কর্মী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা সেখানে কাজ করছেন। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে যাত্রা করবেন। আমি ইচ্ছা করলে রিলিফ টিমের সঙ্গে দুর্গত এলাকায় গিয়ে সরেজমিন সব দেখতে পারি। তিনি আমাকে সার্কিট হাউজে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন।

লণ্ডভণ্ড গ্রাম।
ডিসিকে ধন্যবাদ দেওয়া ছাড়া আমার আর করার কিছু ছিল না। শুধু ভাবলাম ঘূর্ণিঝড় থেমে যাওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি, প্রায় দেড় দিন পার হয়ে গেছে। আমি ঢাকা থেকে এসে পড়েছি। অথচ ডিসি বা জেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা উপকূলের দুর্গত এলাকায় তখনও যাননি। তারা রেডক্রসের ওপর নির্ভর করে বসে আছেন। নোয়াখালীর জেলা সদর তথা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে উপকূল এলাকায় গাড়িতে গেলে মাত্র দেড় ঘণ্টার পথ।
বেলা ১১টা নাগাদ দুটি ট্রাকে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে জেলা প্রশাসনের রিলিফ টিম রওয়ানা হলো। সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসে অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমিও গেলাম। আমাদের সঙ্গে স্থানীয় একজন সংসদ সদস্যও ছিলেন। তিনি আমার পাশেই বসলেন। তার কাছেও জানতে চাইলাম ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি-ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন কি না। তিনি অপারগতা প্রকাশ করলেন। ইচ্ছা করলে তিনি অনেক আগেই দুর্গত এলাকায় যেতে পারতেন, কিন্তু যাননি। কারণটা বুঝতে পারলাম, ত্রাণসামগ্রী না নিয়ে খালি হাতে যান কীভাবে।
নোয়াখালী শহরের কয়েক মাইল দক্ষিণেই চরাঞ্চল শুরু। চরাঞ্চলের ওপর দিয়ে মাটির রাস্তা গেছে উপকূল পর্যন্ত। যাওয়ার পথেই দেখলাম রাস্তার দু’পাশে কোনো গ্রাম অক্ষত নেই। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে, টিনের চাল সব উড়ে গেছে। গাছ পড়ে গেছে, খেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। চরাঞ্চলের অবস্থা দেখেই ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেল।

উপকূলের জনপদে কেবলই পচে গলে ফুলে ওঠা লাশের স্তূপ।
উপকূলের দুর্গত এলাকায় যখন পৌঁছলাম, দেখলাম পরিস্থিতি ভয়াবহ। রিলিফের ট্রাক দেখেই শত শত নারী-পুরুষ ছুটে আসছে কিছু পাওয়ার আশায়। ত্রাণসামগ্রী বলতে চিড়া, গুড়, বিস্কুট এবং শাড়ি, লুঙ্গি। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও ছিল। রেডক্রসের কর্মী, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক কষ্টে ভিড় সামলালেন এবং ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করলেন।
দুই ট্রাকভর্তি ত্রাণসামগ্রী ফুরিয়ে যেতে বেশি সময় লাগল না। তখনও দূরদূরন্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসছে রিলিফের জন্য। দৃশ্যটা দেখে খারাপ লাগল। একজন অফিসারকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘মাত্র দুই ট্রাক রিলিফ এনেছেন কেন? এত দুর্গত মানুষ দুদিন ধরে অভুক্ত?’ অফিসার জানালেন, সময়ের অভাবে বেশি আনতে পারেননি, এরপর প্রতিদিন অনেক বেশি করে আনা হবে। আগের দিন ঝড় থেমে যাওয়ার পরেই কেন আসেননি, এ প্রশ্নের কোনো জবাব পাওয়া গেল না।
স্থানীয় একজন মুরুব্বির সঙ্গে কথা বলে সেখানকার পরিস্থিতি জানলাম। তিনি বললেন, ওই এলাকাতেই অন্তত কয়েক হাজার লোক মারা গেছে। রেডক্রস কর্মী, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা বহু লাশ দাফন করেছেন, এখনো করছেন। বহুলোক নিখোঁজ। তিনি আমাকে বেড়িবাঁধের উপর নিয়ে গেলেন। সেখান থেকে দেখলাম দক্ষিণে যত দূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। মাঝে মাঝে এখানে-ওখানে কিছু গাছের মাথা দেখা যায়। মুরুব্বি বললেন, সামনে কয়েক মাইল পর্যন্ত ছিল ফসলের খেত। যেখানে গাছের মাথা দেখা যাচ্ছে, সেখানে ছিল গ্রাম, জনবসতি। সবই এখন পানির তলায়। পানি নেমে গেলে বোঝা যাবে কত মানুষ মারা গেছে, ক্ষয়ক্ষতি কত।

মোহনা ও সমূদ্র উপকূলের ট্রলার ও লঞ্চগুলোকে উড়িয়ে নিয়ে ফেলেছিল দূরে জনপদে।
বেড়িবাঁধের উপরেই দেখলাম তখনও অনেক লাশ পড়ে আছে। অনেক লাশ ভেসে আসছে বাঁধের দিকে। একটি ৭-৮ বছরের মেয়ের লাশ দেখলাম বাঁধের পাশে, সঙ্গে একটি মরা ছাগল। দৃশ্যটি বড়ই মর্মান্তিক। ছবি তুললাম। আরও অনেক ছবি তুলেছিলাম। আমার তোলা অনেক ছবি ছাপা হয়েছিল ডেইলি স্টারে।
একজন রেডক্রস কর্মী জানালেন, ঘূর্ণিঝড়ের বিপৎসংকেত পাওয়ার পরপরই তারা বেড়িবাঁধের উপর থেকে সব মানুষকে সাইক্লোন শেল্টার বা অন্য নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার জন্য কাজ করেছেন। বেশির ভাগ লোক চলে এসেছে, কিন্তু অনেকেই আসেনি, বাড়িঘর ছেড়ে তারা আসতে চায়নি। তারাই মারা গেছে। অনেকে বিপৎসংকেতকে গুরুত্ব দেয়নি। কারণ ঝড় তো প্রায় প্রতিবছর কমবেশি হয়। কিন্তু এত ভয়ংকর জলোচ্ছ্বাস হবে, কেউ ভাবতে পারেনি। নোয়াখালী উপকূলের অবস্থা দেখে বুঝতে পেরেছিলাম, ঘূর্ণিঝড়ে মোট প্রাণহানি অনেক হবে। তা-ই হয়েছিল-দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘূর্ণিঝড়ে।
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর এ রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় আরও হয়েছে। কিন্তু তাতে প্রাণহানির সংখ্যা ছিল অনেক কম। কারণ বিপৎসংকেত ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে, সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হওয়ামাত্র সতর্কবার্তা ও বিপৎসংকেত দেওয়া শুরু হয়। উপকূল অঞ্চলে সাইক্লোন শেল্টার আরও বাড়ানো হয়েছে। এখন শুধু রেডক্রসের স্বেচ্ছাসেবী নয়, জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও উপদ্রুত এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সহায়তা করেন। উপকূলবাসীর সচেতনতাও বেড়েছে।
এরপরও ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর যে ঘূর্ণিঝড় হয় তাতে প্রায় ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সিডর’। উপকূলের ১১টি জেলা সেই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড়টি ছিল প্রচণ্ড শক্তিশালী, বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার। ২০০৯ সালের ২৫ মে ‘আইলা’ নামের আরও একটি প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় পটুয়াখালীসহ কয়েকটি জেলায় আঘাত হানে। এতে প্রায় ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়। গবাদি পশু, ফসল, বৃক্ষ ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রচুর।
ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি যাতে না হয় বা কম হয় সেজন্য গৃহীত ব্যবস্থা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। উপকূলে সামাজিক বনায়ন সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করা গেলে তা অবশ্যই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ভয়াবহতা পর্যাপ্ত পরিমাণে কমিয়ে আনতে পারে। সুন্দরবন এর একটি উদাহরণ। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা সুন্দরবন খুলনা বিভাগের জেলাগুলোকে ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করছে দীর্ঘকাল থেকে। প্রাকৃতিক সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে, সামাজিক বনায়নও করতে হবে উপকূলবাসীকে বাঁচাতে।
লেখক:
চপল বাশার, সাংবাদিক, সাবেক ছাত্রনেতা
সৌজন্য: দৈনিক যুগান্তর
ছবি: ইন্টারনেট
বাঙালীয়ানা/এসএল
*প্রকাশিত এ লেখার তথ্য, মতামত, ভাষা ও বানানরীতি লেখকের একান্তই নিজস্ব। বাঙালীয়ানার সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাই প্রকাশিত এ লেখা বা লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা সংক্রান্ত আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় বাঙালীয়ানার নেই। – সম্পাদক
অগ্নিঝরা একাত্তরের দিনগুলো, পড়ুন
ডিসেম্বর ১৯৭১
নভেম্বর ১৯৭১
অক্টোবর ১৯৭১
সেপ্টেম্বর ১৯৭১
আগস্ট ১৯৭১
জুলাই ১৯৭১
জুন ১৯৭১
মে ১৯৭১
এপ্রিল ১৯৭১
মার্চ ১৯৭১