শহীদ জামিল উদ্দিন আহমেদ, ডাক নাম মিটু। জন্ম ১৯৩১ সালে, যশোরে। বাবা বদরউদ্দদিন আহমেদ, ডেপুটি মেজিস্ট্রেট। মাতা লুতফুন্নেসা বেগম। ১৯৪৫ সালে যশোর জেলা স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন জামিল। জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সয়েল সাইন্স অনুষদে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান আর্মি’তে যোগদানের জন্য কাকুল মিলিটারি একাডেমীতে পিএমএ লং কোর্স করতে চলে যান। ১৯৫৫ সালে লং কোর্স সমাপ্ত করার পর কমিশন প্রাপ্ত হয়ে কোর অব সিগনালস এ কর্ম শুরু করেন। তিনি তার চাকুরীর বেশীরভাগ সময়েই আর্মি ইন্টেলিজেন্স এ নিয়োগ থাকেন আইএসআই’-এ (ISI)। সাইফার্স কোর্স করেন রাওয়ালপিন্ডি’তে, রেডিও কোর্স করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি’র পোর্ট ম্যানমথ এ ১৯৬৩ সালে। তার যাওয়ার কথা ছিল ১৯৬২ সালে, সিলেক্টও হয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানী জেনারেলের এক ভাগ্নে তার পরিবর্তে চলে যায়। কিন্তু তিনি হার মানেননি। আবার পরীক্ষা দিয়ে পুনরায় প্রথম হয়ে পরের বছর যান। ১৯৫৯ সালে বগুড়াতে ছিলেন মার্শাল’ল এডজুটেন্ট হিসেবে। ১৯৬৫ সালে আইএসআই’তে নিয়োজিত ছিলেন খুলনায়, তখন ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ চলছিলো। ১৯৬৬ সালে আবারো আইএসআই’তে ঢাকা মিন্টু রোডে যোগ দেন। সেই সময় আগরতলা ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। সেই সময় (তিনি মেজর ছিলেন) তিনি সব নথিপত্র ক্যাপ্টেন মোহাব্বত জান চৌধূরীকে নিয়ে রাতের অন্ধকারে রমনা পার্কে পুড়িয়ে ফেলেন। তিনি সে সময় কিছু বাঙালী তরুণ অফিসারের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। তারা হলেন কর্নেল হুদা, ব্রিগেডিয়ার নুরুজ্জামান প্রমুখ।
একজন আইএসআই অফিসার হয়ে পাকিস্তান সরকারে বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন পূর্ব বাংলা একদিন স্বাধীন হবেই। তারপর ১৯৬৭ সালে মুলতানের কোট মিয়া আব্দুল হাকিম ক্যান্টনমেন্টে আইএসআই’তে পোস্টিং হয়। জেনারেল আতিকুর রহমান যখন পরিদর্শনে আসেন, তখন কর্নেল জামিল এর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা জামিল একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেন। যেখানে স্কুলের বাচ্চাদের দিয়ে একটি বাংলা গীতি নাট্য পরিচালনা করেন এবং গান করেন। সেটা দেখে সকলে অবিভূত হয়ে যান।
কর্নেল জামিল’কে সেই বছর মুলতান ক্যান্টনমেন্টে বেস্ট অফিসার হিসেবে মনোনীত করা হয়। ১৯৬৮ সালে কর্ণেল জামিল এর স্টাফ কোর্স করার শেষ বছর। এরপর কোয়েটা স্টাফ কলেজ এ যোগদান করেন। সে সময় ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ, জেনারেল শফিউল্লাহসহ অনেকেই স্টাফ কোর্স করেন। কোর্স চলাকালীন তাকে আইএসআই হেডকোয়ার্টারে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। প্রমাণ গায়েব করে দেয়ায় কর্ণেল জামিলের কোর্ট মার্শাল হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আইএসআই এর বদনাম হবে এবং এতে তুখোড় সেনা অফিসার হারাতে হবে ভেবে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
১৯৬৯-১৯৭০ সালে লাহোর ক্যান্টনমেন্টে পোস্টিং হয় কর্নেল জামিলের। তিনি থ্রি নট থ্রি এর সময় জেনারেল টিক্কা খানের সাথে এসেম্বলি চেম্বারে বসতেন। সেই সময় পরিবার নিয়ে ক্যান্টিনমেন্টের ডাবল ডেকারের বাসাগুলোতে থাকতেন। একদিন কাছেই অর্ডিন্যান্স ডিপোর আগ্নেয়াস্ত্র গোডাউনে দুর্ঘটনাবশতঃ একটা বোমা ফেটে যায় এবং তার সাথে একটার পর একটা বোমা ফাটতে শুরু করে। বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ হয়ে যায় এবং ক্যান্টনমেন্ট থেকে সবাইকে সরিয়ে নেয়া হয়। সব অফিসার বাসায় এসে তাদের পরিবার নিয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যান। কিন্তু কর্নেল জামিল এসেম্বলি চেম্বার ছেড়ে আসতে পারেননি। তার পরিবার (স্ত্রী ও তিন কন্যা) অন্য একজন অফিসারের বাসায় চলে যান। অনেক রাতে কাজ শেষ করে তিনি স্ত্রী-কন্যাদের কাছে আসেন। এটি তার কর্তব্যপরায়ণতার একটি উদাহরণ।
১৯৭১ সালে কর্নেল জামিলের প্রমোশোন হবার কথা ছিলো (লেঃ কর্নেল), কিন্তু পরবর্তীতে সেটা স্থগিত করে দেয়া হয়। কর্নেল জামিলকে পাকিস্তান আর্মি থেকে অনুরোধ করা হয়েছিলো পাকিস্তান আর্মির হয়ে পাকিস্তানে থেকে যেতে। কিন্তু তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করেন এবং তাদের বলেন যে তিনি নিজের দেশে ফেরত যেতে চান। ৭১ এর মাঝামাঝি তাকে পেশোয়ারে পোস্টিং করা হয়। সেখানে তার টুআইসি হবার কথা থাকলেও পরে সেটাও বাতিল হয়ে যায়।
১৯৭২ এবং ১৯৭৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানের মন্তি বাহাউদ্দিন ক্যাম্পে ছিলেন। সেখানে বাচ্চাদের জন্য স্কুল করা হয় গাছের নিচে। কর্নেল জামিল বাচ্চাদের ভূগোল, ইংরেজী ও বাংলা পড়াতেন। কর্নেল জামিল এবং তার স্ত্রী সংস্কৃতি-মনা ছিলেন। তিনি খুব চমৎকার রবীন্দ্র সংগীত গাইতে পারতেন। তার প্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস। তিনি দেবব্রত বিশ্বাস এর কাছে গান শিখেছিলেন বেশ কিছুদিন। তার প্রিয় গান ছিলো ‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে’। ক্যাম্পে বাচ্চাদের নিয়ে নাটক, কালচারাল শোসহ সব কিছুর আয়োজন করতেন দুজন মিলে। কর্নেল জামিল খুব ভাল মিমিক্রি করতেন। খুব হাসাতেন সবাইকে।
তার প্যাশন ছিলো ফটোগ্রাফী। নবম শ্রেণিতে থাকার সময় ক্যামেরা কিনেছিলেন। ছবি তুলে বেড়াতেন। ১৯৬৩ সালে যখন আমেরিকা বেড়াতে যান, তখন এলাউন্সের টাকা দিয়ে ইয়াশিকা ম্যাট ক্যামেরা কিনেছিলেন। তারপর থেকে অসাধারন সব ছবি তুলেছেন।
কর্নেল জামিলের পিস্তলের সংগ্রহ ছিলো। সেগুলো তিনি খুব যত্ন করে রাখতেন। তার সিনেমা দেখার খুব শখ ছিল, যার বেশীরভাগই ছিল ইংরেজি। এর পাশাপাশি বিভিন্ন গানের রেকর্ড সংগ্রহশালা ছিলো। সুযোগ পেলেই তিনি রেকর্ড কিনতেন। তার গাড়ীর শখও ছিলো। প্রথম জীবনে কালো একটি ভক্সওয়াগন ছিলো। তারপর মিনি অস্টিন এবং তার সবচেয়ে প্রিয় লাল রং এর নিশান প্রিন্স গাড়িতেই তিনি প্রাণ ত্যাগ করেন। প্রচুর পড়াশোনা এবং কোর্স করেন আর্মিতে। ১৯৭৩ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি পরিবারসহ ঢাকায় আসেন। এয়ারপোর্টে নামার সাথে সাথে তাকে বঙ্গবন্ধু’র নির্দেশে সোজা ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে নিয়ে আসা হয়। তিনি বাংলাদেশ আর্মির সিগন্যালস ব্যাটলিয়নে যোগদানের কিছুদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সিকিউরিটি কমান্ডান্ট হন। তারপর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হবার পরে তার সামরিক সচিব নিয়োজিত হন। বঙ্গবন্ধু তাকে বলতেন, ‘জামিল তুই আমার নয়নের মণি। আমার সাথেই থাকবি। আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবি না।’
বঙ্গবন্ধু’কে তিনি অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন এবং ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু’র সারা জীবনের যে আত্মত্যাগ দেশের জন্য, কর্নেল জামিল সেটা পাকিস্তান আর্মির আইএসআই এর একজন জুনিয়র অফিসার থেকেই উপলব্ধি করেন এবং যতটুকু তার সামর্থ্য ছিলো তা দিয়ে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু’র স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করার চেষ্টা জীবন অবধি করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু’র মতন বিচক্ষণ মানুষ বোধহয় বুঝতে পেরেছিলেন, এই একটি মানুষই প্রস্তুত ছিলেন তার জীবন দিয়ে তাকে রক্ষার জন্য।
দেশে তখন ষড়যন্ত্র চলছিলো। সেই সময় ঠিক হলো কর্ণেল জামিল ডিফেন্স ফোর্স অব ইন্টেলিজেন্সের প্রধান হবেন। তাই হলেন, কিন্তু চার্জ বুঝে পাননি। লকারের চাবী বুঝিয়ে না দিয়েই ব্রিগেডিয়ার রউফ কনফারেন্সের জন্য লন্ডন/প্যারিস চলে গেলেন। তারপর ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সাল। বঙ্গবন্ধু’কে বাঁচাতে গিয়ে কর্নেল জামিল নিজের জীবন বিসর্জন দিলেন। এখন এটাই তার একমাত্র পরিচয়। এর বেশি আর প্রয়োজনও নেই।
বঙ্গবন্ধু’র এক ডাকে সাড়া দিয়ে লাখ লাখ বাঙালী জীবন দিয়েছেন আমাদের স্বাধীনতার জন্য, সেই বঙ্গবন্ধু’কে বাঁচাতে পিছপা না হয়ে বীর সৈনিকের দায়িত্ব পালন করে বাঙালী জাতির কলঙ্ক ঘুচিয়েছেন। সেজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি গর্বিত তার সন্তান হয়ে জন্মেছি বলে।
সেদিন ভোরে যখন বাবা চলে গেলেন বঙ্গবন্ধু’র টেলিফোন পেয়ে, তখন বুঝিনি আর জীবিত অবস্থায় দেখব না তাকে। মাঝরাতে যখন দেখলাম, তখন প্রাণহীন একটা দেহ গাড়িতে শোয়ানো।
শুরু হলো আমাদের জীবনের নতুন এক অধ্যায়। মা’কে দেখতাম সারাদিন কাঁদতেন। বাবার চল্লিশার দিন জানতে পারলেন তিনি অন্তস্বত্বা। আট মাস পর আমাদের ছোট বোন কারিশমার জন্ম হলো। এরই মধ্যে অনেক চেষ্টা করে মা একটা বাসা পেলেন। আমরা সেখানে চলে যাই। মা আস্তে আস্তে শোক কাটিয়ে উঠে এমইএস -এ কনস্ট্রাকশন ব্যবসা শুরু করেন। আমরা বড় হতে থাকলাম নানান ঘাত প্রতিঘাতে।
মা’কে দেখতাম প্রতি পদে পদে বঙ্গবন্ধু’র কথা বলতে এবং আমার বাবার বঙ্গবন্ধু’র প্রতি ভালোবাসার কথা এবং বাবার আত্মত্যাগ এর কথা প্রতিষ্ঠিত করতে দেখেছি। অনেক প্রস্তাব পেয়েছিলেন পলিটিক্যাল এসাইলামের। কিন্তু সেটা আগ্রাহ্য করে দেশের মাটিতে থেকে গেছেন এই বলে যে, তিনি যদি দেশ থেকে চলে যান, তাহলে কর্নেল জামিলের কথা কেউ মনে রাখবে না। তাই ঠিক হয়েছে। আজ কর্নেল জামিল একজন বীর উত্তম। তার কথা সবাই সম্মানের সাথে স্মরণ করেন।
আমি শহীদ কর্ণেল জামিলের কন্যা হয়ে জন্মগ্রহণ করেছি বলে খুব গর্ববোধ করি। বাবার পরিচয় দেয়ার সুযোগ একেবারেই ছাড়ি না। খুব আনন্দবোধ করি যখন মানুষ তার কথা শুনে আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়। এ এক বিশাল ব্যাপার।
জন্মের পর থেকেই বাবাকে খুব ব্যস্ত জীবন কাটাতে দেখেছি। উনি সবসময় আইএসআই এবং এফআইইউ’তে কর্মরত ছিলেন। কাজের এত চাপ থাকতো যে, তিনি আমাদের পুরোপুরি সময় দিতে পারতেন না। উনার সব কাজেই সম্মান ছিলো। কথা বলে, খাওয়া-দাওয়া, উনার রাগ, উনার হাসি, মানুষের সাথে ব্যবহার। মা বলেন, একজন, একজন পারফেক্ট জেন্টলম্যান। কিন্তু যতটুকু সময় দিতেন, সেটা হতো একেবারে আদর্শ সময়। বাবা আমাদের খুব আদর করতেন। বাবা যখন ৩২ নাম্বার চলে যান, তখন মা’কে বলে গেলেন, ‘আমার মেয়েদের দেখে রেখো।’ মা’কে তিনি অত্যন্ত ভালোবাসতেন। ইদানিং খুব ব্যস্ত থাকাতে আমার মা খুব মন খারাপ করতেন। দুজনের প্রেমের বিয়ে ছিলো। বাবা-মায়ের কাজিনদের বিয়ের সময় তাদের দেখা। সেখান থেকে প্রেম, তারপর বিয়ে। বাবা খুব রোমান্টিক একজন মানুষ ছিলেন। ছোট বেলায় দেখেছি এবং মায়ের কাছে শুনেছি। আমার বাবার একমাত্র (বড়) ভাই জালাল আহমেদ তার অন্তপ্রাণ ছিলেন। আমি দুই ভাইয়ের মধ্যে এত গভীর ভালোবাসা এবং ভাই এর প্রতি ভাইয়ের এত শ্রদ্ধা কখনো দেখিনি। আমার বাবাকে হারানোর পর আমার চাচা প্রায় নিষ্প্রাণ হয়ে যান। আমাদের পরিবারের সব এলো-মেলো হয়ে যায়। তখন মনে হত, সবই স্বপ্ন ছিলো।
বাবার হাতের লেখা খুব সুন্দর ছিলো। আমি বাবার লেখা নকল করতাম, যাতে আমার লেখা তার মতই হয়। তার চরিত্রের একটা দিক ছিলো উনি মানুষকে সাহায্য করতে কখনোই দ্বিধাবোধ করতেন না। আর্মিতে কারো কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হলে বাবা সবার আগে হাতটা বাড়িয়ে দিতেন। সবার খুব পছন্দের লোক ছিলেন বাবা। জামিল বা জামিল ভাই বলতে সবাই অজ্ঞান ছিলেন। বাবার কথা যখনই চিন্তা করি তখনই একজন পরিপূর্ণ মানুষকে দেখতে পাই।
ব্যবহার, মার্জিত কথাবার্তা, খুব কঠিন ব্যক্তিত্ব, কিন্তু অনেক দয়ালু। খুব ব্যালেন্সড একজন মানুষ ছিলেন বাবা।
বাবাকে যতটুকু দেখেছি, মা এবং অন্যান্যদের সাছে যা শুনেছি সব কিছুই ম্লান হয়ে যায় যখন বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার ভালোবাসা দেখি। সব কিছুর উর্ধে তাদের দুজনের ভালোবাসা। সেখানে আর কারোরই স্থান নাই। আমি কর্নেল জামিলের কাছে কৃতজ্ঞ যে, তিনি নিজের জীবন দিয়ে জাতি পিতাকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন এবং বাঙালী জাতির কলঙ্ক মিটিয়েছেন।
আমরা তোমার কাছে ঋণী, হে বীর।
লেখক পরিচিত :
আফরোজা জামিল কঙ্কা, কর্নেল জামিলের কন্যা