সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে রীতিমত ভাল বল করছেন বাংলাদেশী স্পিনাররা। কোচ সুনীল জোশির বিশ্বাস যে আগামী সপ্তাহে ভারতের বিরুদ্ধেও দারুণ কিছু করে দেখাবেন তারা।
‘হ্যাম্পশায়ার বোলে’ আফগানিস্তানকে ৬২ রানে হারানোর পর এখন কয়েকদিন বিশ্রাম পাবে বাংলাদেশ। তাদের পরের খেলা ২ জুলাই, ২০১৯, ভারতের বিরুদ্ধে এজব্যাস্টনে। ভারতের হয়ে ১৫টা টেস্ট আর ৬৯টা ওয়ান-ডে খেলেছেন জোশি। তার নিজের কাছে এই ম্যাচের গুরত্বপূর্ণ অপরিসীম।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সাকিবকে পাঁচ উইকেট নিতে দেখে মুগ্ধ জোশি। সাকিবের পাশাপাশি মেহেদী হাসান আর মোসাদ্দেক হোসেনেরও প্রশংসা করেন তিনি।
“সাকিবের মত বোলার হাতে পাওয়া যেকোনও স্পিন কোচের স্বপ্ন,” সাংবাদিকদের বলেন জোশি। “ও যে কিংবদন্তী তা নিয়ে তো কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে সাকিবের ধারাবাহিকতা অতুলনীয়। ওকে দলে পেয়ে আমরা গর্বিত।
“আজকাল ফিটনেসে খুব জোর দেয় সাকিব। সাত কিলো ওজন কমিয়েছে সম্প্রতি, আর ফলও পেয়েছে হাতে-হাতে। উইকেটের মধ্যে এখন কত জোরে দৌড়য় দেখেছেন? সাফল্যের খিদেটা অনেক বেড়ে গেছে। আর সেটা সংক্রামিত হয়েছে বাকিদের মধ্যে।”
স্বাভাবিকভাবেই ভারত ম্যাচের কথা উঠল। স্পিনারে-স্পিনারে লড়াই হলে ভারতের হয়ে খেলবেন কুলদীপ যাদব আর যুজবেন্দ্র চহল: তাদের সঙ্গে এঁটে ওঠা সহজ হবে না।
“হ্যাঁ, আমরা জানি ওরা স্পিনটা ভাল খেলে,” স্বীকার করেন জোশি। “তবে আমরাও যে কম যাই না, তা আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলা দেখেই বুঝেছেন নিশ্চয়ই।
“দেখুন, সাদা বলে আমরা যে ভাল খেলি তা বেশ কিছুদিন যাবৎ আমরা বারবার প্রমাণ করেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমে ওদের মাঠে, তারপর দেশে ফিরে হারিয়েছি। আয়রল্যান্ডে টুর্নামেন্ট জিতেছি। আর গত তিন বছরে তিনবার ভারতকে প্রায় হারিয়ে দিয়েছি।
“আসলে লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, তারপর বল হাতে মাশরাফি মুর্তজা – সব মিলিয়ে আমাদের ক্রিকেটের ধাঁচটা একটু আলাদা।”
ইংল্যান্ডে নিজে খেলে গেছেন জোশি। সেই অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার তিনি উজাড় করে দিচ্ছেন বাংলাদেশী বোলারদের। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক: ইংল্যান্ডে মাঠের চারদিক খোলা থাকার ফলে হাওয়ার দিক সারাদিন ধরে বদলাতে থাকে।
হ্যাম্পশায়ার বোলের পিচ আগের দু’টো ম্যাচে স্পিনারদের সাহায্য করেছিল। আফগান স্পিনারদের সামনে সমস্যায় পড়েছিল ভারত। আবার সেরকম পিচ পেলে মন্দ হয় না, স্বীকার করেন জোশি।
আর স্পিন খেলা? “ভাল স্পিনার ওদেরও আছে, আমাদেরও আছে। সেদিক থেকে ভাবলে স্পিন বল করা আর খেলা আখেরে একই: প্রতিটা বলে নতুন করে মনঃসংযোগ করতে হয়।
“দেখুন, সব দলেরই ভাল-মন্দ থাকে। ভারতের সঙ্গে প্রতিটা খেলা খুঁটিয়ে দেখেছি আমি। কোথায় বল করতে হবে আমাদের নখদর্পণে।”
খবর: আইসিসি