“ধরে নিলাম, শেখ মুজিব খুব খারাপ লোক। খুব খারাপ লোক। আপনি শেখ মুজিবকে মেরে ফেললেন। কারণ, খারাপ লোক বলে। তো তার পরিবার আর চৌদ্দগুষ্টিকে মারার দরকার হলো কেন?
আপনি যদি ব্যক্তি শেখ মুজিবকে মারতেন, তাহলে আমি একভাবে বুঝতাম। কিন্তু আপনি যখন তাকে নির্বংশ করতে চাচ্ছেন, সেখানে একটা সিগনেচার আছে। আর আজকে এতদিন পরে এসে আদালত যখন বলছে, আপনি সেটার সাথে যুক্ত, তখন আমাকে তিনবার চিন্তা করতে হবে।
আপনি কোন ব্যক্তি শেখ মুজিবকে মারেননি। শেখ মুজিব ওয়াজ দ্য ফিজিক্যাল এমবডিম্যান্ট অফ ইন্ডিপেন্ডেন্স।
আপনি স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীককে হত্যা করেছেন। তো এর পরে, আপনার সাথে আমার কিন্তু আর হবে না। এই জায়গাটা পরিস্কার করা উচিত।
আমি আজকে আপনার সাথে বসে আছি, গুড এনাফ। আমি কালকে তো আপনাকে রাস্তায় গুলি করবো। করবো তো। আমি এই ওপেন মিটিংয়ে বলছি, করবো তো।
কারণ আপনার সাথে আমার রিলেশনটা সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। ইউ আর ডিনাউন্সিং মাই ইন্ডিপেন্ডেন্স।’
‘আপনি ভুলে যান কেন এই দেশে একটা ১৫ আগস্ট হইসে? আপনি ভুলে যান কেন এখানে ২১শে আগস্ট হইসে? আপনারা কেন ভুলে যান এই দূর্ঘটনাগুলোর সাথে যুক্ত কিছু লোক আছে, কার প্রতি আঙুল নির্দেশ করা হচ্ছে।
দুই নেত্রী তো কথা বলতে গেছিলেন। সমগ্র জাতি দেখেছে, রেফারেন্স অফ ২১শে আগস্ট হ্যাজ কাম, রেফারেন্স অফ ১৫ আগস্ট হ্যাজ কাম। কেন আসে? পেটের ভিতরে আছে বলে আসে। হৃদয়ে আছে বলে আসে। ওইখানে বার্নিং আছে।
পৃথিবীতে ধর্ষণকারী আর ধর্ষিতা এক রাস্তা দিয়ে হাটতে পারে না। ওরে দেখার সাথেসাথে মাথায় আগুন ধরে। হত্যাকারী আর হত্যার শিকার এক রাস্তায় হাটে না। আপনারা অনেক আলোচনা করছেন ইনিয়েবিনিয়ে। আরে যেই মহিলা ক্ষমতায় আছে, তার চৌদ্দগুষ্টি নির্বংশ হয়ে গেছে! এবং সেই মহিলার কাছে বাংলাদেশের আদালত স্বাক্ষী দিচ্ছে যে, হু ওয়্যার রিলেটেড উইথ দিস। সো দেয়ার ইজ আ লিমিট ইন দিস কান্ট্রি। এইদেশে বিক্ষোভ, বিদ্রোহ সবকিছুই করছেন; এভ্রিথিং ইজ অলরাইট। কিন্তু এই অতীতটা যাতে ভুলে না যাই। অনেকে মনে করেন, এই অতীতটা কেন বারবার আলোচনায় আনছেন। এই অতীতটা বাস্তবতা বলে আনছি।”
** মুক্তিযোদ্ধা মঈনউদ্দিন খান বাদলের একটি বক্তব্যের শ্রুতিলিখিতরূপ দীপায়ন অর্ণবের সৌজন্যে প্রকাশ করা হলো – সম্পাদক