কর্ণফুলী বাঁচাতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু

Comments

চট্টগ্রাম শহর রক্ষা ও কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে নদীর মোহনা থেকে মোহরা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পতেঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার তাহমিলুর রহমান ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।

সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, সকাল ১০ টা ১৫ মিনিট থেকে এই উদ্ধার অভিযান চলছে। তিনটি জোনে ভাগকরে প্রায় ১০০ জন শ্রমিক কাজ করছেন এই উদ্ধার অভিযানে।

কর্ণফুলীর তীরে অবৈধ স্থাপনা

কর্ণফুলীর তীরে অবৈধ স্থাপনা (সংগৃহীত ছবি)

সকালে, শুরুতেই জেটি ঘাটে নদী সংলগ্ন স্থাপনা বুলডোজার দিযে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রথম দফার অভিযানে দুইশ মতো স্থাপনা উচ্ছেদ হলে ১০ একরের মতো জায়গা উদ্ধার হবে বলে জানান সহকারী কমিশনার। সহকারী কমিশনার তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘উচ্ছেদ কাজে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সহযোগিতা করছে। অভিযান শুরুর আগেই অনেকে তাদের স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো দিক থেকে কোনো বাধা আসেনি।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল, নগরীর জলাবদ্ধতা, পরিবেশ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে কর্ণফুলীর দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে সীমানা পিলার স্থাপন, অবৈধ স্থাপনা লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা, মাইকিং করা হয়েছে। অভিযানে সবচেয়ে বেশি সরঞ্জাম দিয়েছে চসিক। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদফতর, পিডিবি, বিআইডব্লিউটিএ, ভূমি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতিনিধি অভিযানে সহযোগিতা করছেন।’

জানা যায়, দিনের আলো থাকা অবধি উদ্ধার অভিযান চলবে। এই অভিযানে উদ্ধার হবে প্রায় ১০ একর জায়গা।

বাঙালীয়ানা/জেএইচ

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.