।। রতন সিদ্দিকী ।।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, মানুষ আপন অন্তরের গভীরতর চেষ্টার প্রতি লক্ষ করে অনুভব করেছে যে, সে শুধু ব্যক্তিগত মানুষ নয়। সে বিশ্বগত মানুষের একাত্ম। সেই বিশ্বমানবের প্রেরণায় ব্যক্তিগত মানুষ এমন সকল কাজে প্রবৃত্ত হয় যা তাকে ভৌতিক সীমা অতিক্রমণের মুখে নিয়ে যায়। যাকে সে বলে ভালো, বলে সুন্দর, বলে শ্রেষ্ঠ। এগুলো করে কেবল সমাজ রক্ষার জন্য নয়। করে আপন আত্মার পরিপূর্ণ পরিতৃপ্তির জন্য।
একথা সত্য যে, বিশ্বমানবের প্রেরণা সকল মানুষের মধ্যে থাকে না। মানুষ কখনও স্বার্থান্ধ, আত্মকেন্দ্রিক ও একান্ত আত্মমগ্ন। পরিসংখ্যান বলছে জগৎ-সংসারের লাভ, লোভ ও মোহে আচ্ছন্ন মানুষের সংখ্যাই বেশি। ওরা নিজের প্রয়োজনে নিজেকে নিয়েই ব্যাকুল। দেশ-জাতি বা মানবহিত তাদের কৃত কর্মের অংশ নয়। অপরদিকে বিশ্বমানবের বৈশিষ্ট্যলগ্ন ও প্রেরণাপ্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা সমাজে খুবই স্বল্প। তারপরও তারা আছে, থাকে এবং চিরকালের সত্য হয়ে অবস্থান করে। এই নিত্য ও ধ্রুব সত্য মেনেই মানুষ বাঁচে ও সমাজ এগোয়।
বাংলাদেশ তার ব্যাতিক্রম নয়। তাই এ ভূখণ্ডে যুগে যুগে ব্যক্তিগত মানুষের প্রবল প্রবাহের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন প্রেরণাপ্রাপ্ত বিশ্বগত মানুষের একাত্ম মানব। তাদেরই একজন শিল্পীসংগ্রামী কামাল লোহানী (১৯৩৪—২০২০)।
কামাল লোহানী তার দীর্ঘ জীবনে ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন ও কারাবরণ করেছেন। যুক্তফ্রন্টের অনুকূলে জনমত সংগঠন করেছেন। পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রে পূর্ববাংলার নাম পরিবর্তনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষে রবীন্দ্রবৈরিতার বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম করেছেন। শরীফ শিক্ষানীতি ও হামিদুর রহমানের শিক্ষা কমিশন এর প্রতিবাদে ছাত্র সমাজের লড়াইয়ে সহযোগী হয়েছেন। শহিদ মোস্তফা, ওয়াজিউল্লাহ, বাবুলের রক্তস্নাত পথে হেঁটেছেন অক্লান্তিতে। পাক-ভারতের ষড়যন্ত্রমূলক যুদ্ধে আইউবি চক্রান্তের প্রতিবাদ করেছেন। ছয় দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, গণঅভ্যুত্থান, নির্বাচন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ-সবখানেই ছিল তার যথার্থ ও উল্লেখ্য ভূমিকা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংবাদ বিভাগের প্রধান হিসেবে রেখেছেন কার্যকর অবদান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর নিয়াজির আত্মসমর্পনের সংবাদ তো নিজে লিখে নিজে পাঠ করেছেন স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রে।
নীরোদচন্দ্র চৌধুরী বাঙালির জাতীয় যৌবনের কথা বলেছেন। প্রকৃত অর্থে পূর্ববাংলার বাঙালির জাতীয় যৌবনকাল ছিল প্রস্থিত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশক। পুরো দুই দশকের যৌবনের সূচনা হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে এবং একটি যৌক্তিক পরিণতি লাভ করেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনের ভিতর দিয়ে। পূর্ব বাংলার বাঙালির এই জাতীয় যৌবনকালের লড়াকু সৈনিক কামাল লোহানী।
জাতীয় যৌবনকালের দৃঢ় যুবক কামাল লোহানী ছায়ানট, ক্রান্তি-দুই সংগঠনে থেকে নৃত্য করেছেন, আবৃত্তি করেছেন, অভিনয় করেছেন। আবার সঙ্গীতে কণ্ঠ মিলিয়েছেন। সে গেল তার শিল্পীসত্তার বাহ্যপ্রকাশ। সে কাজ অনেকেই করেন এবং একটি সময়ের পর আর করেন না অনেকে। আবার কেউ কেউ আমৃত্যু সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে থাকেন। কিন্তু সংস্কৃতির সঙ্গে থাকেন না। তারা যে থাকেন না তাও বোঝেন না। কামাল লোহানী যৌবনকালের এক সময় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে থেকেছেন। কিন্তু আমৃত্যু থেকেছেন সংস্কৃতির সঙ্গে এবং সংস্কৃতির সংগ্রামে। স্মর্তব্য, সংস্কৃতি প্রকৃত অর্থে মনোচাষ। যাকে মনের চাষ বা চিত্তচাষ বলা যায়। কারণ সংস্কৃতির উৎস, উদ্ভব, ক্রমবিকাশ ও পরিণতি সবই চিত্তচাষের সঙ্গে নিবিড় ও গভীরভাবে সম্পৃক্ত। যা চর্চার দ্বারা চর্যায় প্রতিফলিত হয়। ফলে সংস্কৃতিকর্মীদের চিত্তচাষি বিবেচনা করা যায়। আর কার্ল মার্কসের ভাষ্যে মানুষের সামাজিক অস্থিত্বই তার চেতনাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ঐ মতে চিত্তচাষির সামাজিক অস্থিত্ব সর্বাগ্রে বিবেচ্য। যে জন্য দেখা যায় সে চিত্তচাষির সামাজিক অস্থিত্ব শ্রেণিসংগ্রামের চেতনাশাণিত, সমাজ-সভ্যতার দ্বান্দ্বিক বিকাশঋদ্ধ, সুনির্দিষ্ট গন্তব্য অভিমুখী এবং নিত্যজাগ্রত তিনি শিল্পীসংগ্রামী হয়ে ওঠেন। কামাল লোহানী জাতীয় যৌবনকালের সাহসী, সুদৃঢ় ও অনন্য চিত্তচাষি এবং শিল্পীসংগ্রামী। যার কারণে দেখা যায় যখন বাঙালির জাতীয় যৌবনে প্রবল ভাটার টান তখনও কামাল লোহানীর প্রগতির তরি স্রোতের বিপরীতে চলে, লাগিয়ে হাওয়া পালে দারুণ সবলে। ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক বিপর্যয় যখন বাংলাদেশকে পিছনে টেনে নেয়। পাকিস্তানপন্থিদের করতলগত বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করে জাতীয় যৌবনের ধ্বস নামায়। তখনও কামাল লোহানী চির উন্নত মম শির। তখনও তিনি সংস্কৃতির সংগ্রামে অবিশ্রন্ত পান্থ।
সেকারণেই কামাল লোহানী ১৯৭৯ সালে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের লুসাকা সফরসঙ্গির আমন্ত্রণের শর্ত প্যান্ট-কোর্ট-টাই পরতে সম্মত হন না। সফরেও যাওয়া হয় না। কিংবা আশির দশকের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থেকে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাত বয়কটের ডাক দেন। মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, বাকশাল, উদীচী প্রমুখদের নিয়ে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন সেক্যুলার ফ্রন্ট। গণশিল্পী সংস্থা, উদীচী হয়ে ওঠে তার কর্মক্ষেত্র। জীবিকার তাগিদে সাংবাদিকতা করেছেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হয়েছে, সরকারি পত্রিকা দৈনিক বার্তার সম্পাদক হয়েছেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেছেন। কিন্তু জীবনের তাগিদে আমৃত্যু চিত্তচাষি থেকে বিশ্বগত মানুষের একাত্ম থেকেছেন। অন্তহীন পান্থ হয়ে চলেছেন অবিরাম। যেমনটি ছিলেন শিল্পীসংগ্রামী রোঁমা রোলা, ম্যাক্সিম গোর্কি, পাবলো নেরুদা, সলিল চৌধুরী, উৎপল দত্ত, কায়ফী আজমী, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ প্রমুখ।
বলছি তখন কামাল লোহানীর দৃষ্টি একেবারে ক্ষীণ। বার্ধক্যের মধুমেহ অনিয়ন্ত্রিত। দেহ মনের কর্তৃত্বে নেই। শুরু হলো গণজাগরণ মঞ্চ। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে নবীন প্রজন্মের অপ্রতিরোধ্য অবিরাম আন্দোলন। সেই আন্দোলনমুখর সময়ে শীত-গ্রীষ্মকে উপেক্ষা করে একাত্ম হয়েছেন কামাল লোহানী। শিল্পী সংগ্রামী বলেই তিনি অকুণ্ঠ ছিলেন ও একাত্ম ছিলেন সেই তারুণ্যের দ্রোহে।
প্যারি কমিউনের তিয়াত্তর দিন আর দুনিয়া কাঁপানো দশ দিনের বিপ্লবী অঙ্গিকার তখন শিল্পীসংগ্রামী কামাল লোহানীর চোখে-মুখে ফেলেছে অনন্য দীপ্তি। স্বপ্নবিভোর তিনি। দৃষ্টিহীন চোখে দেখতে পেয়েছেন তারুণ্যের সাফল্য। ঐ যে সামাজিক অস্থিত্ব যা তার চেতনাকে বরাবর নিয়ন্ত্রণ করেছে। তাই তাকে সেঁজুতির সন্ধ্যাকে প্রখর মধ্যাহ্ন করেছে। তখন তিনি উদীচীর কেন্দ্রীয় সভাপতি। অনুপস্থিত দৃশ্যলক্ষ দ্বারা বিভ্রান্ত বীক্ষণে পথহারা নন। তিনি সুনির্দিষ্ট গন্তব্য অভিমুখী বিপ্লবী সাংস্কৃতিক প্লাটফর্মের অগ্রসারথি। তিনি মানুষজন্তুর করতলমুক্ত সমতার-মমতার বাংলাদেশ নির্মাণের সাহসী সৈনিক। তিনি উদীচীকে সঙ্গে নিয়ে যাপিত সংস্কৃতির লড়াই করেননি। করেছেন যাচিত সংস্কৃতির লড়াই। যা তাকে করেছিল বিশ্বগত মানুষের একাত্ম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষজন্তুর স্বরূপ দেখেছিলেন ফ্যাসিবাদের মধ্যে। তিনি হুমকি দেয়া বোঁচা গোফের হিটলারসহ অক্ষশক্তির সকলকে মানুষজন্তু বলেছেন। কবি লিখলেন-
ক্ষুব্ধ যারা, লুব্ধ যারা,
মাংসগন্ধ মুগ্ধ যারা; একান্ত আত্মার দৃষ্টিহারা
শ্মশানের প্রান্তচর, আবর্জনাকুন্ড তব ঘেরি
বীভৎস চিৎকারে তারা রাত্রিদিন করে ফেরাফেরি,
নির্লজ্জ হিংসায় করে হানাহানি।
শুনি তাই আজি
মানুষজন্তুর হুংকার দিকে দিকে উঠে বাজি।
কবির যেমন ছিল বিশ্বাসঘাতকতার মিউনিখ চুক্তির বেদনা। যে চুক্তি মানুষজন্তুদের বৈধতা দিয়েছিল ১৯৩৮ সালে। কবি ছিলেন এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। তেমনি উদীচী ও শিল্পীসংগ্রামী কামাল লোহানী আশংকা ও উদ্বেগে বুঝেছিলেন শাহবাগ জেগে না থাকলে মানুষজন্তুদের সঙ্গে গোপনসখ্য গড়ে উঠবে শাসকশ্রেণির। জন্ম হবে দ্বিতীয় মিউনিখের। তাই তো দেখা যায় শিল্পীসংগ্রামী কামাল লোহানী এবং উদীচী লড়েছে মানুষজন্তুর বিরুদ্ধে। যূথবদ্ধতায় ও যৌথ অঙ্গিকারে সে লড়াই চলেছে বিক্রমে। কামাল লোহানী আমৃত্যু বিপ্লবলগ্ন থেকেই লড়েছেন উদীচীর পথরেখায়।
ঋত বা পরমসত্য হলো বাংলাদেশে লুম্পেন প্রলেতারিয়েত ও লুম্পেন বুর্জোয়াদের আধিক্য ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত। বর্তমান শিল্পসমাজে ও লুটেরা ধনীসমাজে এই দুই শ্রেণির বিকৃত রূপ বিকট ও প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। এরকম সামাজিক বাস্তবতায় মানুষের সামাজিক অস্থিত্বও ভিন্নতর হয়ে ওঠে। আবার এই সামাজিক অস্থিত্বই মানুষের চেতনা নিয়ন্ত্রণ করে বলে মানুষও লাভ-লোভের মোহে আক্রান্ত ও বিভ্রান্ত হয়। এই আক্রান্ত ও বিভ্রান্ত মানুষে সয়লাব বাংলাদেশে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী কীভাবে চিত্তচাষ করবে সে নিয়ে ছিল তার নিত্যজাগরণ। বাংলাদেশের মানুষের চিত্তজাগরণ ও জাতীয় সাংস্কৃতিক জাগরণের লক্ষে উদীচীর কর্মভাবনা, রণকৌশল ও পথরেখা প্রস্তুত ও কর্মীর প্রস্তুতি নিয়ে ছিল তার আমৃত্যু চিন্তা। বলতে দ্বিধা নেই প্রায় সাত দশকের আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অভিঘাত তার সে অভিজ্ঞানের জন্ম দিয়েছিল। তাই তাকে উদীচীতে স্থায়ী করে ঠিকানা দিয়েছিল। আজ অকপটে বলা যায় আমৃত্যু শিল্পীসংগ্রামী কামাল লোহানী এবং উদীচী চলেছে সমান্তরালে ও স্বলক্ষাভিমুখে। কামাল লোহানীর সেই পথচলা বস্তুত অন্তহীন পান্থর বিরতীহীন পথচলা। আজ সদ্বিবেচনাপ্রসূত উত্তম নির্ধারণে বলা যায়, বাংলাদেশ এখন ক্লিন্ন, নিষ্প্রাণ ও নিষ্প্রভ ব্যক্তিগত মানুষে আকীর্ণ। ভোগাসক্ত, ভ্রমাত্মক ও স্খলিত ব্যক্তিগত মানুষে বাংলাদেশের বিষিত সমাজ। রাষ্ট্র অনুকূল নয় জনহিতের। বিরোধ, বৈষম্য ও বিষাদে ছেয়ে আছে দেশ-জাতি। ধর্মে-অর্থে-রাজনীতিতে বিভাজন নগ্নরূপে প্রকাশিত। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ এখন প্রতারিত ও ব্রীড়িত। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিচ্যুত। এসময় বিশ্বগত মানুষের একাত্ম, বিশ্বমানবের প্রেরণাদীপ্ত এবং আপন আত্মা পরিপূর্ণ পরিতৃপ্ত মানব শিল্পীসংগ্রামী কামাল লোহানীর মতো আরও অনেকের প্রত্যাশায় বাংলাদেশ চেয়ে আছে। স্বপ্নবিভোর বাংলাদেশ দ্রোহমুখর বাংলাদেশের প্রত্যাশায় দাঁড়িয়ে আছে আজ। বাংলাদেশ স্বপ্নাক্ষিতে দেখছে ধরিত্রীর পূণ্যপুত্র কামাল লোহানীর মতো সহস্য সহস্র অন্তহীন পান্থর প্রবল বিক্রমের প্রতাপে উধাও হলো পুঁজিবাদী বিকলাঙ্গ সমাজ। জন্ম হলো সাম্যের সমাজ।
লেখক:
অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী, শিক্ষক, গবেষক, লেখক
এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত নাট্যকার
ফিচার ফটো সৌজন্য: শামস রশীদ জয়
*প্রকাশিত লেখার মতামত ও বানানরীতি লেখকের একান্তই নিজস্ব। বাঙালীয়ানার সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাই প্রকাশিত এ লেখা বা লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা সংক্রান্ত আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় বাঙালীয়ানার নেই। – সম্পাদক