ঢাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ছয়জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯, সন্ধ্যার পর ঢাকায় ভবন থেকে ইট পড়ে দুজন, দেয়াল ধসে একজন এবং গাছ ভেঙে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া বুড়িগঙ্গায় নৌকা ডুবে মারা গেছেন দুজন।
এদিকে পল্টন থানা থেকে বলা হয়, ঝড়ের সময় পুরানা পল্টন মোড়ে চায়ের গলিতে উঁচু ভবন থেকে একটি ইট নিচে পড়ে। এতে মো. হানিফ (৪৫) নামে এক চা দোকানি আহত হন। পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ইট পড়ে দুলাল মিয়া (৪০) নামে অপর একজন মারা যান বলে মিরপুর থানা নিশ্চিত করে। গাড়িচালক দুলাল পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় একটি টিনশেড ঘরে থাকতেন তিনি।
কেরানীগঞ্জের মাদারীপুর ঘাট দিয়ে কামরাঙ্গীরচরে যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা ডুবে এক নারী ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মা ও পাঁচ বছর বয়সী ছেলের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
কদমতলী থানা এলাকার পলাশপুর ৫নম্বর সড়কে একটি বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দেওয়াল পড়ে মারা যান হাসান।(৪০) নামে এক রিকশাচালক।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ে অন্তত ২৫টি স্থানে গাছ পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার সন্ধ্যার পর ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের সময় বজ্র বৃষ্টিও ছিল। এতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। কাজ শেষে ঘরে ফেরার পথে বেকায়দায় পড়তে হয় কর্মজীবী মানুষের।
ঝড়ে ঢাকার উত্তরা, মিরপুর, গুলশান, ধানমন্ডি, ফার্মগেট, মতিঝিল, পুরান ঢাকাসহ অধিকাংশ এলাকায় ঝড়ের সময় বিদ্যুতের সমস্যা হয়। আবার অনেক এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে যায়। রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকার ওপর দিয়ে ৭৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যায়। আর ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
ছবি: ফোকাস বাংলা
বাঙালীয়ানা/এসএল