কালরাতে যা দেখেছি

Comments
চপল বাশার

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকা শহরে যে গণহত্যা চালিয়েছিল, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সেটাই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে নৃশংস ও বড় আকারের গণহত্যা। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় ওইদিন রাত সাড়ে ১১টায়। ২৭ মার্চ সকালে তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা পর্যন্ত গোটা ঢাকা শহর ও শহরতলিতে গণহত্যা চলে একটানা ৩২ ঘণ্টারও বেশি।

সেদিন নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে যেসব পরিসংখ্যান পাওয়া যায়, তার সবই অনুমানভিত্তিক। প্রাণহানির সঠিক সংখ্যা নিরূপণ না করা গেলেও সেদিন ৩২ ঘণ্টার বিরতিহীন গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ এতটাই ব্যাপক ছিল যে, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজারের কম হবে না বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে। বিশেষ করে সেই কালরাতে এ নগরীতে যারা ছিলেন, তাদের এমনটিই ধারণা। আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও জরিপও সে কথাই বলে।

বাংলাদেশে ২০১৭ সাল থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৫ মার্চকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়। কিন্তু দিনটি এখনো আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পায়নি। বিশ্বের গণহত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনা মনে করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি ও পূর্ব ইউরোপে ইহুদি নিধনের ঘটনাকে। সে সময় ৭-৮ বছরে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে প্রায় ষাট লাখ ইহুদিকে নাৎসি বাহিনী হত্যা করেছে বলা হয়। এর পরই বাংলাদেশের গণহত্যার ঘটনা।

১৯৭১ সালে ছোট এই ভূখণ্ডে নয় মাসেরও কম সময়ে পাকিস্তানি বাহিনী ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে। এত বড় আকারের গণহত্যাকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। এতে পাকিস্তানিদের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি এমন নৃশংসতা চালাতে উৎসাহী বা সাহসী হবে না। বাংলাদেশকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে ‘২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসাবে স্বীকৃতির জন্য।

স্মৃতিতে কালরাত

২৫ মার্চ সকাল থেকেই ঢাকা শহরের পরিস্থিতি ছিল থমথমে। সবাই জেনে বা বুঝে গেছে যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি, বৈঠক ভেঙে গেছে। এর আগে ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস।

সেদিন ঢাকা শহরে মাত্র তিনটি স্থানে পাকিস্তানের পতাকা উড়েছিল। সে তিনটি হচ্ছে-প্রেসিডেন্ট ভবন, গভর্নর হাউস (বর্তমানে বঙ্গভবন) ও ঢাকা সেনানিবাস। আর কোথাও পাকিস্তানের পতাকা দেখা যায়নি। সর্বত্রই উড়ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজ স্বাধীন বাংলার পতাকা।

বঙ্গবন্ধু ও ইয়াহিয়ার আলোচনায় অংশ নিতে জুলফিকার আলি ভুট্টো তখন ঢাকায়। অবস্থান করছিলেন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। সেই হোটেলেও পাকিস্তানের পতাকা উড়েনি, উড়েছিল স্বাধীন বাংলার পতাকা। এমনকি ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলোতেও পাকিস্তানের পতাকার পরিবর্তে স্বাধীন বাংলার পতাকা তোলা হয়েছিল। ইয়াহিয়া-ভুট্টোরা সেদিনই বুঝে গিয়েছিলেন এদেশে পাকিস্তানের কবর রচিত হয়েছে। সে জন্যই তারা অস্ত্র দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালিকে দমনের শেষ চেষ্টা চালিয়েছিলেন-মরণ কামড় দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে ফল কী হলো? নিজেরাই নির্মূল হলেন এদেশ থেকে।

২৫ মার্চ সকালেই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেলাম, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ শেষ, এখন সংঘাত অনিবার্য। কিন্তু সংঘাত কী পর্যায়ে কতদূর যাবে, তার কোনো ধারণা ছিল না। আমার সাধ্য-সুযোগমতো সব জায়গায় ছুটে গেছি। রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়গুলোতেও গেছি কিছু জানা যায় কিনা। সব নেতাকেই দেখেছি চিন্তিত, উদ্বিগ্ন। কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলে (এখন জহুরুল হক হল) গেলাম। সেখানে ছাত্রনেতাদের অনেকের সঙ্গেই দেখা হলো। সবারই এক কথা-পরিস্থিতি ভালো নয়। অঘটন ঘটতে পারে, সাবধান থাকতে হবে। দেখলাম অনেক আবাসিক ছাত্র তখনই হলত্যাগ করতে শুরু করেছেন। রোকেয়া হল থেকে বিপুলসংখ্যক ছাত্রী আগেই চলে গেছেন, তখনো যাচ্ছেন। জগন্নাথ হলেও তা-ই। যাদের সুযোগ আছে, তারা বাইরে কোথাও চলে যাচ্ছেন। হল ছেড়ে যেসব ছাত্রছাত্রী চলে গিয়েছিলেন, তারা বেঁচে গেছেন। সেদিন রাতেই সবকটি ছাত্রাবাস আক্রান্ত হয়েছিল। যারা ছিলেন তাদের বেশিরভাগই নিহত হন।

বিকালের দিকে আমার এক বন্ধু ও সহকর্মী খবর দিলেন, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটের দোতলায় ন্যাপ (মোজাফফর) কার্যালয়ে দলীয় নেতারা সমবেত হয়ে বৈঠক করছেন। সেখানে গেলে কিছু খবর পাওয়া যেতে পারে। দেরি না করে সেখানেই ছুটলাম। দেখলাম, ন্যাপ কার্যালয়ের সামনে শতাধিক নেতাকর্মী সমবেত হয়েছেন। সবাই অপেক্ষা করছেন দলের নির্দেশনার জন্য।

সন্ধ্যার পর বৈঠক শেষে ন্যাপপ্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে বেরিয়ে এলেন। অধ্যাপক সাহেবের মুখ খুবই গম্ভীর। তিনি সমবেত সবার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করলেন। বললেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার টেলিফোনে কথা হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। তিনি জানিয়েছেন, আলোচনা ভেঙে গেছে। ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেছে। রাতেই হামলা শুরু হতে পারে। সবাইকে সাবধানে থেকে প্রাণরক্ষা করতে হবে। শত্রুদের প্রতিরোধও করতে হবে।

বক্তব্য দিয়েই অধ্যাপক মোজাফফর ও অন্যান্য নেতা সেখান থেকে চলে গেলেন। অন্যরাও যে যার বাড়ি বা আশ্রয়স্থলে গেলেন। আমি বেরিয়ে আসার সময় দেখা হলো বন্ধু রথীন চক্রবর্তীর সঙ্গে। আমরা একইসঙ্গে হাঁটতে শুরু কললাম নিউমার্কেট থেকে পূর্বদিকে। দেখলাম বিপুলসংখ্যক ছাত্র, যুবক, রাজনৈতিক কর্মী, সাধারণ মানুষ রাস্তায়। তারা হাতের কাছে যা পাচ্ছেন, তা-ই দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করছেন রাস্তার উপর, যাতে মিলিটারির গাড়ি চলাচল করতে না পারে। সবার মধ্যেই প্রচণ্ড উত্তেজনা-যেভাবেই হোক মিলিটারি ঠেকাতে হবে।

ব্যারিকেড আর ব্যারিকেড

এভাবেই ব্যারিকেড দেখতে দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এলাম। ক্যাম্পাস তখন প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। কিছু ছাত্র এখানে-ওখানে দাঁড়িয়ে। জগন্নাথ হলের প্রধান গেটের সামনে এসেই রথীন বললেন ‘আমি তাহলে ভেতরে যাই। এখানেই থাকব। আপনি একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে যান।’ রথীন জগন্নাথ হলের নিচতলার একটি কক্ষে আরও দুজনের সঙ্গে থাকতেন। আমি রথীনের হাত চেপে ধরলাম। বললাম, ‘তা হবে না। এখানে আজ থাকতে পারবেন না। বিপদ হতে পারে। আমার সঙ্গে চলুন। গোপীবাগে আমার বাসায় থাকবেন।’ রথীন আমার কথা মেনে নিয়ে আমার সঙ্গে আবার হাঁটতে শুরু করলেন।

হাঁটতে হাঁটতে আমরা গুলিস্তান পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম। আসার পথেও দেখলাম বহু ব্যারিকেড। গাছের গুঁড়ি, ডাল, বাঁশ, খালি ড্রাম, টায়ার, ইট-পাথর-জনতা যা পেয়েছে তা-ই দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেছে মিলিটারি প্রতিরোধের জন্য। মিলিটারি ট্যাংকের সামনে এই ব্যারিকেড যে টিকবে না, তা বুঝতে পারছিলাম। তবুও তো জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে।

নবাবপুর রেল ক্রসিংয়ের কাছে এসে রথীন বললেন, ‘আমি বরং নবাবপুর রোড দিয়ে তাঁতীবাজার চলে যাই, সেখানে আমার মাসির বাসায় থাকব। আমাকে নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনি একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে যান। সাবধানে থাকবেন। আবার দেখা হবে।’ রথীনের সঙ্গে আবার দেখা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের শেষে। রথীন বলেছিলেন, সে রাতে জগন্নাথ হলে থাকলে তাকে আর বাঁচতে হতো না। পাকিস্তানি সৈন্যরা সেই রাতেই জগন্নাথ হলের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে যাকে পেয়েছে তাকেই গুলি করে মেরেছে।

গোপীবাগে এসে দেখলাম সেখানেও আমার বন্ধু ও রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্র-যুবকরা বেশ শক্ত ব্যারিকেড তৈরি করেছে। সবার মধ্যেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কিন্তু ছাত্র-যুবকদের মধ্যে আতঙ্ক নেই, তাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা। একজনকে দেখলাম হাতবোমা তৈরি করেছে বারুদ সংগ্রহ করে।

আমার বাসা গোপীবাগের একটি গলির শেষ মাথায়। বড় রাস্তা থেকে দূরে। কিছুটা নিরাপদ। প্রয়োজনে বাড়ির পেছনের দেয়াল টপকে সরে যাওয়া যাবে। রাতের খাওয়া শেষ করে শুয়ে পড়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ মতিঝিল এলাকা থেকে একটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পেলাম। ভাবলাম, আমাদের ছাত্র-যুবকরাই বড় আকারের হাতবোমা ফাটিয়েছে। এরপরই শুরু হলো একটার পর একটা বিস্ফোরণ, তারপর মেশিনগানের গুলি। বুঝলাম মিলিটারির অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে।

গোলাগুলির তীব্রতা ক্রমেই বাড়তে লাগল, সব দিক থেকেই গুলির শব্দ আসছে-কখনো কাছে, কখনও দূরে। যতটুকু সম্ভব খবর নিলাম টেলিফোনে। আমার ভাই থাকেন দিলু রোডে। তিনি বললেন, তার বাসা থেকে দেখা যাচ্ছে মিলিটারির ট্যাংক ও ট্রাকের বহর এগোচ্ছে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে। টেলিফোনে অল্প সময়েই শহরের একটা চিত্র পাওয়া গেল। মিলিটারি সারা শহর দখল করে নিয়েছে। নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোয়ার্টার্স, ছাত্রাবাস সব আক্রান্ত। মালিবাগ থেকে একজন জানালেন-রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আক্রমণ চলছে, পুলিশরাও প্রতিরোধ করছে। পিলখানা ইপিআর ব্যারাকেও আক্রমণ চলছে।

একটু পরেই টেলিফোনের লাইন কেটে গেল। তখন প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছিলাম কমলাপুর স্টেশনের দিক থেকে। সেই রাতে আর কিছু জানতে পারলাম না। সারা রাত কেটে গেল কামান-মর্টারের গোলা ও মেশিনগানের গুলির শব্দ শুনতে শুনতে। পরদিন সকালে কেউ একজন খুব সাহস করে কমলাপুর স্টেশনের খবর সংগ্রহ করে আনলেন।

জানতে পারলাম স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কুলি, ট্রেনের যাত্রী কেউ বেঁচে নেই। সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। স্টেশনের আশপাশে এবং রেললাইনের পাশে যত বস্তি ছিল, সব পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, বস্তিবাসীদের আগুনে পুড়িয়ে অথবা গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। স্টেশনের দোতলায় একটি ভারি মেশিনগান বসানো হয়েছিল। সেখান থেকে হাজার হাজার গুলি ছোঁড়া হয়েছে গোপীবাগ এলাকার দিকে। স্থানীয় একজনের হিসাবে কমলাপুর স্টেশন ও আশপাশের সব বস্তিতে যেভাবে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তাতে শুধু কমলাপুর এলাকাতেই অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন ২৫ মার্চের রাত ও পরদিন সকালে।

২৭ মার্চ সকালে তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হলে ঘর থেকে বের হলাম আরও খবর সংগ্রহের জন্য। যা জানলাম ও দেখলাম, তা আমার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। ঢাকা শহর ও শহরতলির কোনো বস্তিই হানাদার বাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক, বহু ছাত্র ও কর্মচারীকে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিটি ছাত্রাবাসেই আক্রমণ চালানো হয়েছে।

এমনকি নিউমার্কেটের পশ্চিমদিকে আর্টস কলেজের একটি ছাত্রাবাস ছিল, সেখানে প্রতিটি কক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের গুলি করা হয়েছে। কয়েকজন বাদে সবাই ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। আমার পর্যবেক্ষণে বলতে পারি, যদি শুধু কমলাপুর স্টেশন এলাকাতেই পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, তাহলে ঢাকার সবকটি ছাত্রাবাস, সব বস্তি ও বাজার এবং রাস্তায় যত লোককে হত্যা করা হয়েছে, তার মোট সংখ্যা বিশ হাজারের কম হবে না।

এরপর অনেক কিছু ঘটে গেছে। নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ এখন স্বাধীন রাষ্ট্র। ইতোমধ্যে পঞ্চাশ বছর হয়ে গেছে। পাকিস্তানিরা এখন নেই। কিন্তু দুঃখ আমার একটাই-আমরা এদেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, বিচার এখনো চলছে। কিন্তু যেসব পাকিস্তানি সেনা অফিসার ও সৈন্যরা গণহত্যা চালালো, তাদের বিচার করা গেল না। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেল। খানসেনাদের অনুপস্থিতিতেই তাদের বিচার করা যায় না কি?

লেখক:
Chapal Bashar
চপল বাশার, সাংবাদিক, সাবেক ছাত্রনেতা

সৌজন্য: দৈনিক যুগান্তর

বাঙালীয়ানা/এসএল

*প্রকাশিত এ লেখার তথ্য, মতামত, ভাষা ও বানানরীতি লেখকের একান্তই নিজস্ব। বাঙালীয়ানার সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাই প্রকাশিত এ লেখা বা লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা সংক্রান্ত আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় বাঙালীয়ানার নেই। – সম্পাদক

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.

About Author

বাঙালীয়ানা স্টাফ করসপন্ডেন্ট