ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত র্যাবের হাতে গ্রেফতার যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট কুমিল্লা হয়ে ভারতে পালাতে চেষ্টা করছিল।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে ঢাকাতেই অবস্থান করছিল সম্রাট। এ সময় সে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে প্রভাবশালী নেতার বাসায় আত্মগোপনে ছিল। গত কয়েক দিন ধরে সম্রাট বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যে এলাকা থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামটি সীমান্তের কাছাকাছি। ধারণা করা হচ্ছে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল সম্রাট।

আরমানের সাথে সম্রাট
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সেটি সম্রাটের আত্মীয় মনিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির। তবে তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গভীর রাতে ওই এলাকায় একটি বাড়ি র্যাব ঘিরে রাখে। পরে সম্রাটকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকার জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। জুয়া খেলাই তার পেশা ও নেশা। প্রতি মাসে ঢাকার বাইরেও যেত জুয়া খেলতে।
সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র্যাবের হাতে ধরা পড়ে সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
এরপর ধরা পড়ে রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জিকে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিত সম্রাটকে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। প্রকাশ্যে চলে আসে সুন্দর অবয়বের আড়ালে সম্রাটের কুৎসিত জগত। এতে করে বেকায়দায় পড়ে সম্রাট। গা ঢাকা দেয় যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। আড়ালে থেকেই গ্রেফতার থেকে বাঁচতে নানা তৎপরতা শুরু করে।
বাঙালীয়ানা/এসএল