।। বেণুবর্ণা অধিকারী ।।
কুসুমগাছ দুই ধরনের। একটি বেশ বড় এবং উঁচু, অন্যটি খুবই ছোটও ঝোপালো ধরনের। আজ আমরা ছোট গুল্ম কুসুমের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই।
মূলত ছোট গাছ থেকেই রং পাওয়া যায়। কাপড়ের রং হিসেবে কুসুম অনেক পুরোনো ও বিখ্যাত। প্রাচীন মিসরেও এর চাষ হতো।
কুসুম ফুলের পাঁপড়ি পৃথিবীর বহুদেশে জাফরান নামে বিক্রি করে ঠকানো হয়। মসলা হিসাবে এটার কোন মূল্য নেই কিন্তু রং করার ক্ষমতার কারণে অনেক সময় অনেকে ধোকা খায়।
 এর ইংরেজি নাম Safflower আর বৈজ্ঞানিক নাম: Carthamus tinctorius L. এরা বর্ষজীবি উদ্ভিদ । ১ – ৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কমলা- হলুদ রংএর ফুল গুলি প্রায় ১ থেকে ১১/২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। এরা পরিত্যক্ত মাঠ কিংবা ঘাসবনে আপনাআপনিই জন্মে।কুসুমের বীজ থেকে ভালো মানের ভোজ্য তেল হয়।  গ্রামে এদের চাষ হতো বেশিরভাগ ক্ষেতের বেড়া হিসেবে। বীজ টিয়া পাখিদের খুব পছন্দ। গাছে কাটা থাকায় গরু ছাগল খায় না। এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
এছাড়া এই বীজ দিয়ে  গ্রামে পায়েস রান্না করেও খাওয়া হতো, যদিও একটু কষ্টসাধ্য।
 
এর কিছু ঔষধি গুনাবলীও রয়েছে: 
১) গরম পানিতে এর নির্যাস শরীর থেকে ঘাম নির্গত করে বলে ঠান্ডাজনিত রোগশোকে ব্যবহৃত হয়।
২)  শিশু জন্মের পর এর বীজের পাউডার একটা কাপড়ে নিয়ে গরম করে সেঁক দিলে ব্যথা উপশম হয়। 
৩) হাম ও জন্ডিসের জন্য উপকারী।
৪) কুসুম ফুলে আছে ১১ টি ট্রাই টারপিন এলকোহল,  কুসুম তেল খুব উপকারী রক্তের ইনসুলিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৫) এটি বাত ও পক্ষাঘাত রোগে উপকারি।
বাঙালীয়ানা/জেএইচ

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.