প্রাণ প্রাচুর্য আর দেশপ্রেমে উদ্ভাসিত তরুণদের উদ্যোগে পরিচালিত ‘ভিত্তি বাংলাদেশ’ কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনবে সরকার নির্ধারিত মূল্যে এবং তা সরাসরি পৌঁছে দেবে ক্রেতার কাছে বলে জানালেন ভিত্তি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী নাহিদ এনাম।
নাহিদ এনাম বলেন, আমরা যারা বাজার থেকে ৫০/৬০ টাকা দরে চাল কিনে খাই আমরাই পারি আমাদের কৃষকদের বাঁচাতে।’
ধান কেনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথম ধাপে পরীক্ষামূলকভাবে ‘ভিত্তি বাংলাদেশ’ সরাসরি ১০ জন কৃষকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করবে। সেই ধান মাড়াই প্রক্রিয়া শেষ করে ফ্রেশ চাল ঢাকায় আনবে। তারপর ক্রেতার কাছে সরবরাহ হবে সেই চাল।’

ভিত্তি বাংলাদেশের সংগৃহীত মধু
নাহিদ বলেন, ‘এতে করে কৃষক ঠকানো মেশিনে কাটিং করা বাজারের অস্বাস্থ্যকর চালের পরিবর্তে ভোক্তা পাবে কৃষকের হাসি মাখানো ফ্রেশ চাল। এভাবে আমরাই পারি কৃষকদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আমাদের অর্থনীতির মূলকে বাঁচিয়ে রাখতে।’
এতে করে কিভাবে কৃষক বাঁচবে সে প্রশ্নের উত্তরে নাহিদ বলেন, ‘কৃষকে সঠিক দাম দেয়া যাবে, ভোক্তা সরাসরি কৃষককে সহায়তা করে তার পাশে থাকবেন ভোক্তারা। ভোক্তা বাজারের অস্বাস্থ্যকর চালের পরিবর্তে পাবেন ফ্রেশ চাল আর বাজারের চালের দাম থেকে তুলনামূলকভাবে এর দামও কম পড়বে। কৃষকে আর ফড়িয়াদের পাল্লায় পড়ে ধানের ক্ষেতে আগুন দিতে হবে না।’
এই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং সাবলিল করতে সকলের পরামর্শ আহবান করেন নাহিদ এনাম।

ভিত্তি বাংলাদেশের প্রস্তুতকৃত ঘি
উল্লেখ্য, মূলত তৃণমুলের উৎপাদক কর্তৃক উৎপাদিত ফসল সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেবার কাজ করে ‘ভিত্তি বাংলাদেশ’। এতে করে উৎপাদক যেমন ন্যায্য মূল্য পায় তেমনই ভোক্তাও সঠিক দামে সঠিক মানের পণ্য বুঝে পেয়ে থাকে। চাল, লাল আটা, ঘানিভাঙা সরিষার তেল, ঘি, মধু, দেশের প্রখ্যাত মিষ্টি, ইত্যাদি সরবরাহ করছে ভিত্তি বাংলাদেশ। তাদের পরবর্তী পরিকল্পনাতে রয়েছে তৃণমূল সবজি চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি স্বাস্থ্যসম্মত সবজি সংগ্রহ করে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া। ভিত্তি বাংলাদেশ হোম ডেলিভারির মাধ্যমে সকল প্রকার পণ্য ভোক্তাদের দুয়ারে পৌঁছে দেয়।
বাঙালীয়ানা/এসএল