চলতি মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলনে লক্ষ্মীপুরের কৃষকের গোলা ভরবে। কৃষকরা রবি ফসল(বাদাম, সয়াবিন, মরিচ ও ডাল জাতীয়) ঘরে তুলেই আউশ ধানের আবাদ করেন। বৈশাখ মাসে জমিতে ধান বুনেছেন। শ্রাবণে পেকেছে। এখন গোলায় তোলার পালা। কৃষকরা প্রত্যাশিত ফসল তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

গোলা ভরবে আউশ ধানে

আশু (দ্রুত) ফসল উৎপন্ন হওয়ার বিচারে আউশ ধানের নাম করা হয়েছে। এই ধান সাধারণত জন্মে বর্ষাকালের আষাঢ় মাসে। এই কারণে এর অপর নাম আষাঢ়ী ধান। তবে এই ধান বৎসরের যে কোন সময়েই চাষ করা যায়। বাংলাদেশে আউশ ধানের যে নামগুলো পাওয়া যায়, তা হল- আটলাই, কটকতারা, কুমারী, চারনক, দুলার, ধলাষাইট, ধারাইল, পটুয়াখালী, পশুর, পানবিড়া, পাষপাই, পুখী, মরিচবেটি, হরিণমুদা, হাসিকলমি, সূর্যমুখ, শনি, ষাইটা, ভইরা, শঙ্ক পটি, কালা বকরি, খাড়াজামড়ি, মুলকে আউশ, কালামানিক, ভাতুরি ইত্যাদি।

আউশ ধান বৃষ্টিনির্ভর ধান। জাতভেদে এ ধানের জীবনকালে খানিকটা ভিন্নতা থাকলেও বছরের নির্দিষ্ট সময়ে আবাদ করতে হয়। লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা যথাসময়ে ধানের আবাদ করেছেন আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণ না করাই বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলনে তারা খুশি। এখন ভালো দাম পেলে ফুটবে মুখের হাসি।

হেক্টর প্রতি উফশি জাতের ৪.০০ থেকে ৫.০০টন, স্থানীয় জাতের ২.০০ থেকে ২.৩৫ টন ধান উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ২৮ হাজার চারশ’ ৯০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় তিন হাজার সাতশ’ ১৫ হেক্টর জমিতে আউশ মৌসুমের ধান চাষ করা হয়। এরমধ্যে হাইব্রিড ১০ হেক্টর, উফশি তিন হাজার একশ’ ৯০ হেক্টর, স্থানীয় পাঁচশ’ ১৫ হেক্টর। রায়পুরে উফশি জাতের চার হাজার হেক্টর। রামগঞ্জে একই জাতের পাঁচশ’ হেক্টর। রামগতিতে আট হাজার পাঁচশ হেক্টর, এর মধ্যে আট হাজার দুইশ’ উফশি, তিনশ’ হেক্টরে স্থানীয় জাতের ধান। এদিকে কমলনগরে ১১ হাজার ছয়শ’ ৭৫ হেক্টর জমির মধ্যে ১০ হাজার চারশ’ হেক্টরে উফশি ও স্থানীয় জাতের এক হাজার দুইশ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ করা হয়।

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.