কলকাতায় নিজ বাড়ি ৩৮ বালিগঞ্জ প্লেসের ঠাকুরতা হাউসে ঘুমের মাঝেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা রুমা গুহঠাকুরতা। সোমবার, ৩ জুন, ২০১৯, ভোর সোয়া ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
অরূপ গুহঠাকুরতার ভাই সুদেববাবু গণমাধ্যমকে জানান, “অমিতের কাছেই মূলত থাকতেন রুমা। বয়স হয়েছিল। তবে বড় কোনও অসুস্থতা সেই অর্থে ছিল না। বার্ধক্যজনিত কারণেই মারা গিয়েছেন রুমা।’’
দেবব্রত বিশ্বাসের ছাত্রী রুমা সুগায়িকা ছিলেন। গান গেয়েছেন, ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’, ‘বাঘিনী’, ‘পলাতক’-সহ আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে। অভিনেত্রী হিসেবেও অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন রুমা। সত্যজিৎ রায় থেকে তপন সিংহ, তরুণ মজুমদার থেকে রাজেন তরফদার প্রত্যেকের ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন রুমা।
‘গঙ্গা’, ‘শাখাপ্রশাখা’, ‘আরোগ্য নিকেতন’, ‘আশিতে আসিও না’, ‘অভিযান’, ‘পলাতক’, ‘বাঘিনী’, ‘নির্জন সৈকতে’, ‘বালিকা বধূ’, ‘পার্সোন্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘হংসমিথুন’, ‘ত্রয়ী’, ‘৩৬ চৌরঙ্গী লেন’-সহ বহু বাংলা ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুমা। ‘জোয়ার ভাটা’, ‘মশাল’, ‘আফসর’, ‘রাগ রং’-এর মতো হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।
‘বিস্তীর্ণ দু’ পারে অসংখ্য মানুষের’ কিংবা ‘ভারতবর্ষ সূর্যের এক নাম’ গানগুলি শুনলেও ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যারে রুমার সংগীত পরিচালনার কথাও মনে পড়ে বাঙালীর।
বাঙালীয়ানা/এসএল