ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার ৪৫ মিনিট আটক ছিল

Comments

গ্রেফতারের আগেই আদালতে জামিন পেয়ে গেল দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরী।

সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছোরা দেখিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন পাওয়ায় দুপুরে আটক হওয়ার ৪৫ মিনিটের মাথায় ছাড়া পেল সারোয়ার।

গ্রেফতারের আগে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাইন বিল্লাহর আদালতে হাজির হয়ে সারোয়ার জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আইয়ুব আলী। তিনি জানান, আদালত শুনানি শেষে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি জামিনযোগ্য ধারায় হওয়াতে আদালত দক্ষিণ সুরমা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেনকে জামিন প্রদান করেন।

সারোয়ার হোসেনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিঞা বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে আদালতের গেট থেকে তাকে ধরার পর সারোয়ার পুলিশকে জানায় সে জামিন নিয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাকে সোয়া ৩টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

সোমবার, ১৩ মে, ২০১৯, রাতে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফেরদৌস হাসান দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে শনিবার, ১১ মে, ২০১৯, ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন ডা. ফেরদৌস হাসান।

উল্লেখ্য, ৯ মে, ২০১৯, বিকালে ছাত্রলীগের ১০-১৫ নেতাকর্মী পেটের পীড়ায় ভোগা একজনকে সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চিকিৎসক নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছুরি দেখিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক। নিশাত নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি উল্লেখ করে পোস্ট দেন। এ সংক্রাবত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।

বাঙালীয়ানা/এসএল

 

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.