আসছে বিশ্বকাপে দল নিয়ে এখনও কিছুটা পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা শোনা গেলেও এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। আপাতত নিশানা ঠিক করা হয়েছে সেমি ফাইনাল। আর ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক মাশরাফির হাত ধরে বাংলাদেশ দল লক্ষ্যে পৌছানোর স্বপ্নে বিভোর হয়ে মুখিয়েই আছে বলা চলে।
মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং এর অন্যতম স্তম্ভ, মিস্টার ডিপেন্ডেবল। আজ, ২৮ এপ্রিল, রবিবার, সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপ করেন বিশ্বকাপ ভাবনা নিয়ে।
এর আগে মুশফিক বিশ্বকাপে খেলেছেন তিন বার। সেরা ইনিংস বলা যায়, ২০০৭ এ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো হাফ সেঞ্চুরি আর পনেরো বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৯ রানের ইনিংস। সেই ম্যাচেও জিতেছিলো টিম বাংলাদেশ। এবারে পরিকল্পনা নিয়ে মুশফিক জানান, ‘সবাই চায় এসব ইভেন্টে ভালো করতে। আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। অনেক দর্শক হবে, কন্ডিশন একটা চ্যালেঞ্জ… সবকিছু মিলিয়ে সহজ হবে না তবে আমার জন্য এটা বড় সুযোগ। গত দু’টা বিশ্বকাপে যা করেছি এবার সেগুলোকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে। সুযোগ আছে, চেষ্টা করব।’
তিনি আরও জানান, দল হিসেবে খেলে টপ অর্ডারে ভালো করতে হবে। তাহলেই একটা ভালো রান স্কোরবোর্ডে দাঁড়া করানো সম্ভব। মুশফিক জানান, ‘টপ অর্ডার ভালো করলে আপনি অনেক বড় রান দাঁড় করাতে পারেন। এই জিনিসগুলো মাথায় আছে। দল হিসেবে এসব নিয়ে কথা বলছি। সুযোগ পেলে আমি চেষ্টা করব দুহাত ভরে বাংলাদেশকে কিছু দেওয়ার। আমার কিছু ইচ্ছা আছে। এখন বাকিটা চেষ্টা আর উপরওয়ালার ইচ্ছা।’
সম্ভাবনা আছে অধিনায়ক মাশরাফির শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে এটি। বাংলাদেশ দলকে অন্য এক বাংলাদেশ দলে পরিণত করার কারিগর বানানোর নেপথ্যে এই অন্যতম নায়ককে কেমন ট্রিবিউট দিতে পারে বাংলাদেশ তাও জনমনে জিজ্ঞাসা। মুশফিক বলেন, ‘মনে হয় এটাই একসাথে হয়তোবা আমাদের শেষ বিশ্বকাপও হতে পারে। মাশরাফি ভাই যদি এর পরে আর বিশ্বকাপ খেলতে না পারেন এটাই আমাদের এক সঙ্গে শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। তো আমরা সবাই চাইবো মাশরাফি ভাইয়ের জন্য হলেও যেন বিশেষ কিছু করতে পারি। যেটা কি না স্মরণীয় হতে পারে। আমার মনে হয় এটা অবশ্যই অনেক বড় সুযোগ। একই সাথে আমাদের সুযোগও অনেক বেশি আছে।’
বাঙালীয়ানা/জেএইচ