বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৯, লন্ডনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসির বার্ষিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জিম্বাবুয়েকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা থেকে বহিস্কারের কথা ঘোষণা করল আইসিসি।
জিম্বাবুয়ে সরকারের তৈরি সংস্থা ‘স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশন’ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে প্রভাবিত করছিল ও তাদের কাজকর্মে ছড়ি ঘোরাচ্ছিল যা কিনা আইসিসি-র সংবিধানে ২.সি ও ২.ডি ধারার পরিপন্থী।
বার বার স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক উপায়ে বোর্ডের নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে আইসিসি নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ড। স্বশাসিত ক্রিকেট বোর্ডের উপর কোনও ভাবেই কোনও প্রকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হয় না। কিন্তু জিম্বাবুয়ে এই বিধি প্রায়শই লঙ্ঘন করছিল।
এর ফলে জিম্বাবুয়েকে শুধু বহিষ্কারই করা হয়নি, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আর্থিক সহযোগিতাও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা থেকে প্রতি বছর ৯ মিলিয়ন ডলার পেত জিম্বাবুয়ে। এ শাস্তির জেরে আইসিসি-র পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আইসিসি পরিচালিত কোনও ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে না জিম্বাবুয়ে। ফলে অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে অংশ নেওয়া নিয়েও সমস্যার মুখে পড়ল জিম্বাবুয়ে।
যদিও আইসিসি তাদের তিন মাসের মধ্যে নয়া বোর্ডের পরিকাঠামো তৈরি করার একটা সুযোগ দিয়েছে। এরপর অক্টোবরে বোর্ড মিটিংয়ে আইসিসি জিম্বাবুয়ের বিষইয়ে আবারও সিদ্ধান্ত নেবে।