১৯ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাশ হলেও এই বিলটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বিভিন্ন মাধ্যমের সম্পাদকমণ্ডলীরা। এর প্রেক্ষিতে ৩০ সেপ্টেম্বর সম্পাদক পরিষদের সাথে আলোচনা করেছেন তিন মন্ত্রী।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, বিষয়গুলো নিয়ে সরকার আলোচনা করে সীমাবদ্ধতাগুলো নিরসনের উদ্যোগ নেবে এবং নতুন করে আলোচনার জন্য মন্ত্রীসভার অনুমোদন নেয়া হবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “সম্পাদক পরিষদ আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা নিয়ে আপত্তির জানিয়েছেন। যেহেতু আইনটি সংসদের পাস হয়ে গেছে, তাই এখন সম্পাদক পরিষদের আপত্তি ও বক্তব্যগুলোকে মন্ত্রিসভায় তুলে ধরা হবে। আগামী ৩ অক্টোবরের মন্ত্রিসভার বৈঠকে হয়তো তুলে ধরা হবে না। কারণ অনেকগুলো অ্যাজেন্ডা আছে। পরের সভায় তুলে ধরা হবে। তারপর মন্ত্রিসভা যে কার্যপরিধি ঠিক করে দেবে, সেই অনুযায়ী আলোচনায় বসার জন্য তাঁরা সম্মত হয়েছেন”।
সম্পাদকমন্ডলীর আশা, এ বিষয়টিতে একটি গ্রহনযোগ্য সমাধানে আসা সম্ভম। সম্পাদক পরিষদ এই আইনের অন্তত নয়টি ধারা নিয়ে আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এই আইন বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলে দেবে। ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, “প্রস্তাবিত আইনের কয়েকটি ধারায় গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবাদিকতার মূল নীতি পরিপন্থী ও বাক স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে”। তিনি আরও বলেন, “এটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রেরও পরিপন্থী। ওনারা আশ্বাস দিয়েছেন, আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে পারবেন”।
বৈঠকে তিন মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ইকবাল সোভান চৌধুরী ও আরও ১৩ জন সম্পাদক।