বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ষষ্ঠ আসরটা নিজেদের করে নিলো ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর ফাইনালটা পুরোটাই নিজের পকেটে পুরলেন দেশের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল খান। ফাইনালে ঢাকা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৭ রানে হারিয়ে বিপিএলের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুললো ভিক্টোরিয়ান্স।
টসে অবশ্য কয়েনটা নিয়েছিলো ঢাকার পক্ষ। আর তাতেই সাকিবের সিদ্ধান্ত আগে ফিল্ডিং করার। প্রাথমিক ভাবে সফলতাও ঢাকার। কুমিল্লাকে চাপে ফেলেই এল্ভিন লুইসকে লে বিফোরের ধাঁধায় ফেললেন রুবেল। রিভিউ নিয়েও সিদ্ধান্তের বদল ঘটাতে পারেননি লুইস। চাপ সামাল দিতে ক্রিজের অন্যপাশে যেনো তৈরী ছিলেন খোলসের ভেতরে থেকেই। লুইসের বিদায়ে তামিমের সঙ্গী হিসেবে এনামুল বিজয় এলেও, তিনি ছিলেন ওয়ানডে মানসিকতার। ২৪ রানের বিপরীতে তাকে খরচ করতে হয় ৩০ বল। তবে ততক্ষনে খোলস ভেঙে বেরিয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল খান।
এনামুল বিজয়ের বিদায়ের কিছুক্ষন পরেই তামিমের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হলেন পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলা শামসুর রহমান শুভ। কিন্তু অবিচল ছিলেন তামিম। ঢাকার বোলারদের সরষে ফুল দেখিয়ে বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরী তোলেন মাত্র ৫০ বল খরচায়। আর তাতেই যেনো তেলেবেগুনে আরও তেঁতে উঠলেন তামিম। পরের ১১ বলে তুলেছেন আরও ৪১। ছিলেন শেষ পর্যন্ত। কুমিল্লার মোট রানের ৭০ শতাংশ রান নিজেই করেছেন তামিম। আর দলের সংগ্রহ ১৪১। খেলেছেন তামিমই। আর বাকীদের দর্শকের অংশ বিবেচনা করা যেতেই যেনো পারে।
২০০ রানের রান তাড়া করতে নামা ঢাকার কাছেও প্রত্যাশা ছিলো ম্যাচটা জমিয়ে তোলার। কেননা বড় স্কোর করা সামর্থ্য এর আগেও ঢাকা দেখিয়েছে। প্রথম ১০ ওভার বিবেচনায় ঢাকাও এগুচ্ছিলো কুমিল্লা শিবিরে ভয় ধরিয়ে। প্রথম ওভারে সুনীল নারিন আউট হয়ে ফিরে গেলেও অপর ওপেনার উপল থারাঙ্গা আর রনি তালুকদারের ঝড় তোলা ব্যাটিং ইঙ্গিত দিচ্ছিলো ম্যাচটা ঘুরছে ঢাকার দিকেই। এই জুটি করে ১০২ রানের পার্টনারশিপ। কিন্তু থারাঙ্গার বিদায় ঘটালো ছন্দপতন। পরে আর হাল ধরতে পারেননি সাকিব, আন্দ্রে রাসেল কিংবা কাইরন পোলার্ড। সোহান-মাহমুদুলরাও পারেননি অবাক করে কিছু করে ম্যাচে ফিরতে।
ঢাকার ইনিংসে থারাঙ্গার ৪৮ রানের পর চমক দেখিয়ে মাত্র ৩৮ বলে ৬৬ রান করেছেন রনি তালুকদার। আভাস দিচ্ছিলেন তামিমের মতই কিছু করে দেখানোর। কিন্তু ঐ মুহূর্তে কুমিল্লার নজরকাড়া ফিল্ডিং আর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং চেঞ্জ গুলোতে ঢাকাকে ছাড়তেই হয়েছে আশা। শেষ পর্যন্ত ঢাকা তোলে ১৮২ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: ঢাকা ডায়নামাইটস
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৯৯/৩ (২০ ওভার)
তামিম ইকবাল : ১৪১*, এনামুল হক বিজয় : ২৪
সাকিব আল হাসান : ৪৫/১, রুবেল হোসেন : ৪৮/১
ঢাকা ডায়নামাইটস ১৮২/৯ (২০ ওভার)
রনি তালুকদার : ৬৬, উপুল থারাঙ্গা : ৪৮,
ওয়াহাব রিয়াজ : ২৮/৩, থিসারা পেরেরা : ৩৫/২