তীব্র প্রতিবাদে ভাষার প্রশ্নে পিছু হটলো মোদী সরকার

Comments
ভারত জুড়ে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়া সংশোধন করল কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য হিন্দি আর বাধ্যতামূলক রইল না। বরং শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দ মতো ভাষা বেছে নেওয়া যাবে।

সোমবার, ৩ জুন, ২০১৯, সকালে শিক্ষা নীতির খসড়া সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকার। হিন্দি বাধ্যতামূলক করার বদলে তাতে ‘নমনীয়’ শব্দটি যোগ করা হয়, যার ফলে ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীতে নিজেদের পছন্দ মতো ভাষা বেছে নিতে পারবে শিক্ষার্থী। সংশোধিত নয়া খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘‘ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীনই তিনটি ভাষার মধ্যে একটি বা তার বেশি ভাষার পরিবর্তন করতে পারবে পড়ুয়ারা।’’ এ ব্যাপারে পড়ুয়ারা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নিতে পারবে বলেও জানানো হয় সংশোধিত খসড়ায়। যে ভাষায় স্কুলে পড়ার সুবিধা, সেটাই বেছে নেওয়া যাবে বলে সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই শনিবার, ১ জুন, ২০১৯, কে কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন কমিটি জাতীয় খসড়া শিক্ষা নীতি পেশ করে। সেখানে তিন ভাষার ফর্মুলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যার মধ্যে মাতৃভাষা, ইংরেজির পাশাপাশি বাধ্যতামূলক করা হয় হিন্দি।

এই জাতীয় খসড়া শিক্ষানীতি নিয়ে দেশের সর্বত্র, বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তাতে শামিল হয় এনডিএ-র শরিক এডিএমকে এবং পিএমকেও। তারা বলে অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির উপর জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দিলে দেশের বহুত্ববাদী চিন্তাধারায় আঘাত লাগবে। তামিলনাড়ুতে শুধুমাত্র তামিল এবং ইংরেজি শেখানো হবে বলে জানিয়ে দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কেএ সেঙ্গোত্তাইয়ান। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামী। প্রতিবাদে সরব হন বাংলার বিশিষ্ট মহলও।

এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী  নির্মলা সীতারামন এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হবে না বলে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেন। তারপরই জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়া সংশোধন করা হয়।

বাঙালীয়ানা/এসসি

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.