চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনেই উইকেটে স্পিন বিষ হয়ে উঠেছিল। তবে দ্বিতীয় দিনেই যে উইকেটটা এমন আচরণ করবে হয়তো বোঝা যায় নি। কেননা, দ্বিতীয় দিনে এই টেস্টে উইকেট পরেছে ১৭ টা।
দিনের শুরু আর শেষ সময়ে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। তাতে আগের দিনের ৩১৫ তে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৩২৪ রানেই। জবাবে ব্যাটিং এ নেমে ওপেনিং এর ভালো শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি। ২৯ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় উইন্ডিজের। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে উইন্ডিজের। ৮৮ রানে ৫ উইকেটের পতন হলে সেখান থেকে দলকে টেনে ওঠান হিথমায়ার ও ডওরিচ। দুইজনের জুটি ৯২ রানের, দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরী। এই দুই ব্যাটসম্যানের পতন হলে ২৪৬ এ থামে উইন্ডিজের ইনিংস। বাংলাদেশ পায় ৭৮ রানের লিড। ব্যাট হাতে দলকে ৩০০ এর উপরে স্কোর এনে দেয়া অভিষিক্ত নাঈম হাসান প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে টেস্টে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া সর্বকনিষ্ঠ বোলার হওয়ার রেকর্ড করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অল-আউট হলে দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। আর স্পিনিং উইকেটে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো মন্ত্রে আবারও ফেঁসে যায় বাংলাদেশ। কায়েস-সৌম্য ব্যাট হাতে নেমে নড়বড়ে শুরু করেন। প্রথমে নিচু হয়ে যাওয়া বলে অলস এক শটে বোল্ড হন কায়েস। তারপর একই পথ ধরেন সৌম্য সরকারও। ব্যাট হাতে মিথুন নামলে তার কিছুক্ষন পরই সাকিব ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালানো শুরু করলে ক্যাচের ফাঁদে পড়ে পা বাড়ান প্যাভিলিয়নে। পরে মুশফিক ও মিথুন কিছুটা দেখে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু দিনের শেষে মিথুনকে হারিয়ে বাংলাদেশ আরও বিপদে পড়ে।
কাল দিনটা যে স্পিনে আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে তা বলাই যায়। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে যদি বাংলাদেশের স্পিন কাজ না করে তাতে বাংলাদেশের জন্য বিপদই অপেক্ষা করছে বলা যায়।
বাঙালীয়ানা/জেএইচ