ধানের শীষে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার ইন্ধনদাতা ৫নং চরজুবলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. রুহুল আমিনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৯, গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় এই পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বাঙালীয়ানাকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলেন, ‘ ইন্ধনদাতা রুহুল আমিনকে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ওয়াপদার একটি হাঁস-মুরগীর খামার থেকে গ্রেফতার করা হয়। এজাহারভুক্ত অন্য আসামী বেচুকে সেনবাগ উপজেলার খাঁজুরিয়া গ্রামের একটি ইটভাটা থেকে রাত ২টায় গ্রেফতার করা হয়। মামলার বাকি আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
পূর্বে গ্রেফতারকৃত আরও তিনজন হলেন- মামলার প্রধান আসামী মধ্য বাগ্যা গ্রামের বাসিন্দা সোহেল, মামলার তিন নম্বর আসামী চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামের স্বপন (৩৫) ও মামলার ছয় নম্বর আসামী বাদশা আলম ওরফে বাসু।
উল্লেখ্য, ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ পাংখারবাজার ১৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট দিতে দেখে ওই নারীকে হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে রাত ১২টায় কয়েকজন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। পরে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় ওই নারী ও তার স্বামীকে গালাগালি দেয়। এরপর অস্ত্র দেখিয়ে ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে সবাই মিলে ধর্ষণ ও বেদম মারধর করে। পরে ওই নারীকে গলাকেটে হত্যারও চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর পরের দিন প্রতিবেশীদের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, রাতে ৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী।
বাঙালীয়ানা/এসএল