বাংলাদেশের সাংগঠনিক সাংস্কৃতিক চর্চার অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি নিখিল সেন আর নেই। সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, দুপুর ১টা ২০ মিনিটে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৭ বছর।
বরিশালের কলশ গ্রামে বাবা যতীশ চন্দ্র সেনগুপ্ত ও মা সরোজিনী সেনগুপ্তর ঘরে ১৯৩১ সালের ১৬ এপ্রিল নিখিল সেন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাবা মায়ের ১০ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ।
বরিশালের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রাণপুরুষ নিখিল সেন বাংলাদেশের প্রতিথযশা নাট্যকার ও সংস্কৃতিকর্মী। ১৯৫১ সালে তিনি ‘বরিশাল শিল্পী সংসদ’ এবং ১৯৫৩ সালে ‘বরিশাল নাটক’ গঠন করেন। তিনি ছিলেন একজন অভিনয় শিল্পী, নাট্যকার, আবৃত্তিশিল্পী, সাংবাদিক, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ। সিরাজের স্বপ্ন নাটকে সিরাজ চরিত্রে অভিনয় করার মধ্য দিয়ে নাট্যজীবন শুরু করেন নিখিল সেন। এরপর তিনি অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন ২৮টি নাটকে।
আবৃত্তিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক পেয়েছেন। সর্বশেষ নাটকে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক অর্জন করেন। নিখিল সেন ১৯৯৬ সালে শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সম্মাননা ও ২০০৫ সালে শহীদ মুনীর চৌধুরী পুরস্কার পান।
নিখিল সেন মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা সিটি কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে আবার বরিশালে ফিরে আসেন। নিখিল সেন কমিউনিস্ট আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন ও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
মৃত্যুকালে তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
বাঙালীয়ানা/এসএল