নুসরাত হত্যাকান্ড: মাদ্রাসা শিক্ষক সিরাজ উদদৌলার স্বীকারোক্তি

Comments
ফেনীর সোনাগাজীতে নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার স্বীকারোক্তি দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক সিরাজ উদদৌলা। রোববার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯, ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় সিরাজ। পরে আদালত চত্বরে ব্রিফিং করেন পিবিআইয়ের চট্টগ্রামের বিশেষ পুলিশ সুপার মো: ইকবাল।

পুলিশ সুপার মো: ইকবাল সাংবাদিকদের জানান, “সিরাজের সঙ্গে মামলার আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিন ফেনী কারাগারে দুইবার দেখা করে। তখন সিরাজ তাদের নির্দেশ দেয় নুসরাতকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে। এ প্রস্তাবে নুসরাত রাজি না হলে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয় এবং পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালাতে বলে।” তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলতে রাজি হননি পুলিশ সুপার।

এর আগে, ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, সকালে কামরুন নাহার মণিকে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বলে জানায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম।Nusrat Rafi01

আগুন দেওয়ার সময় প্রথমে চারজনের কথা জানা গেলেও তদন্তকালে নিশ্চিত হওয়া গেছে পাঁচজন ছিল। এই পাঁচজনের মধ্যে দুইজন নারী।

ওই দুই নারীর মধ্যে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার ভায়রার মেয়ে উম্মে সুলতানা পপিকে আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছিল পিবিআই। এ মামলার এজহারভুক্ত দুই আসামি নূর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে মো. শরীফুল ইসলাম ওরফে শরীফ নামে আরও একজনকে পিবিআই গ্রেফতার করেছে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন নুসরাত। ২৬ মার্চ, ২০১৯, নুসরাতের মা শিরীনা আক্তার মামলা করার পরদিন সিরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই মামলা প্রত্যাহার না করায় পরীক্ষার হল থেকে ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন দেয় বোরকা পরা কয়েকজন। আগুনে শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান।

বাঙালীয়ানা/জেএইচ

 

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.