বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদী কূটচালে তাদের ভারতীয় দোসরদের মোটা বুদ্ধির জেরে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ৪৭ এ “পাকিস্তান” নামের অলীক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পূর্ববাংলার বাঙালী জনগণ বিভিন্নভাবে উপেক্ষিত ও অবহেলিত হতে থাকে। সেই ৪৭ এর সেপ্টেম্বর মাসেই সরকারী নথি ও ষ্ট্যাম্পে বাংলার ব্যবহার না থাকায় ফুঁসে ওঠে পূর্ববাংলার সরকারী কর্মচারীরা। ডিসেম্বর থেকে জেগে ওঠে পূর্ববাংলার ছাত্র সমাজ। ধীরে ধীরে মোহ ভঙ্গ হতে শুরু করে “লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান” এর বাঙালী নেতৃত্বের। ফলে পূর্ববঙ্গের সামরিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনগণের মধ্যে পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ও ক্ষোভ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
৫৮/৫৯ সাল থেকেই সামরিক বাহিনীতে বিদ্যমান বৈষম্যের কারণে সশস্ত্রবাহিনীর ক্ষুব্ধ কিছু বাঙালী অফিসার ও সিপাহী অতি গোপনে সংগঠিত হতে থাকেন। পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে থেকে বাঙালীদের স্বার্থ রক্ষা কখনও সম্ভব নয় বুঝতে পেরে তারা সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এ লক্ষ্যে অতি গোপনে কাজ করে যেতে থাকেন।

ট্রাইব্যুনালে বিচারকের আসন
লাহোর, করাচী, রাওয়ালপিন্ডি, ঢাকা, চট্টগ্রামে চলতে থাকল কোথাও গোপন বৈঠক, কোথাও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন, কোথাও সশস্ত্র ট্রেনিং। শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে হল আগরতলাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বেশ কিছু বৈঠক। ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়দফা কর্মসূচির মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসনের দাবি পূর্ব পাকিস্তানে যখন ব্যাপক গণসর্মথন লাভ করেছে তখন শেখ মুজিবের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়ে একযোগে পূর্ব পাকিস্তানের সমস্ত ক্যান্টনমেন্টের অস্ত্রাগার দখলে নিয়ে অবাঙালী সেনাদের বন্দী করে বাংলাকে স্বাধীন করবার প্রত্যয়ে বলিয়ান বাঙালী সেনা অফিসার ও সেপাহীরা মহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায়। ঠিক তখনই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কর্পোরাল আমীর হোসেন করল বিশ্বাসঘাতকতা, ১৯৬৭ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে গোয়েন্দাদের কাছে ফাঁস করে দিল সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রস্তুতির কথা।

অভিযুক্তদের বসবার স্থান
শুরু হল সরকারের গ্রেফতারী তৎপরতা। আইয়ুব খানের গোয়েন্দাবাহিনী সারা পাকিস্তানে প্রায় দেড় হাজার বাঙালীকে গ্রেফতার করল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর ১৯৬৮ সালের ৬ জানুয়ারী এক প্রেসনোটে ঘোষণা করল যে, সরকার ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী এক চক্রান্ত উদ্ঘাটন করেছে। এ ঘোষণায় সিএসপি অফিসারসহ ৮ জনের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করল। এতে অভিযোগ করা হল যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা ভারতীয় সহায়তায় এক সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রয়াসে লিপ্ত ছিল। লাহোর, করাচী, রাওয়ালপিন্ডি, ঢাকা, চট্টগ্রামে হানা দিয়ে গ্রেফতার করল অসংখ্য বাঙালী সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিকে। আইয়ুবশাহী খুঁজতে থাকল এর সাথে শেখ মুজিবুর রহমানের সংশ্লেষ। পেয়েও গেল।

কাঠগড়া
স্বরাষ্ট্র দফতর ১৯৬৮ সালের ১৮ জানুয়ারী অপর এক ঘোষণায় শেখ মুজিবুর রহমানকেও এ ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত করল। শুরু হল আটককৃতদের চরমতম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। সাক্ষ্য নেবার সবরকম চেষ্টা করা হল যাতে প্রমাণ করা যায় যে শেখ মুজিব পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল সশস্ত্র সংগ্রামের। তাহলেই বাঙালীকে নেতৃত্বহীন করা যাবে শেখ মুজিবকে ফাঁসী দিয়ে।
নিরাপত্তা আইনে ১৯৬৬ সালের ৯ মে থেকে জেলে আটককৃত শেখ মুজিব ও অন্যান্যদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সামরিক আইনে পুনরায় গ্রেফতার করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সামরিক হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রথমে কোর্ট মার্শাল করার সিদ্ধান্ত নিলেও সরকার ৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের কথা মনে রেখে পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও উচ্চপদস্থ বাঙালী অফিসারদের বেসামরিক আইনে অভিযুক্ত করল। এ মামলায় অভিযুক্ত যে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করা হল
অভিযুক্ত হলেন:
অভিযুক্ত ১ – শেখ মুজিবুর রহমান
অভিযুক্ত ২ – লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন
অভিযুক্ত ৩ – ষ্টুয়ার্ড মুজিবুর রহমান
অভিযুক্ত ৪ – এল.এস. (অব.) সুলতান উদ্দিন আহমদ
অভিযুক্ত ৫ – এল.এস.সি.ডি.আই. নূর মোহাম্মদ
অভিযুক্ত ৬ – আহমদ ফজলুর রহমান সি.এস.পি.
অভিযুক্ত ৭ – ফ্লাইট সার্জেন্ট মফিজ উল্লাহ্
অভিযুক্ত ৮ – কর্পোরাল (অব.) এ বি এম আবদুস সামাদ
অভিযুক্ত ৯ – হাবিলদার (অব.) দলিল উদ্দিন
অভিযুক্ত ১০ – রুহুল কুদ্দুস সি.এস.পি.
অভিযুক্ত ১১ – ফ্লাইট সার্জেন্ট মোহাম্মদ ফজলুল হক
অভিযুক্ত ১২ – ভূপতিভূষণ চৌধুরী (মানিক)
অভিযুক্ত ১৩ – বিধান কৃষ্ণ সেন
অভিযুক্ত ১৪ – সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক
অভিযুক্ত ১৫ – হাবিলদার ক্লার্ক মুজিবুর রহমান ই.পি.আর.টি.সি.
অভিযুক্ত ১৬ – ফ্লাইট সার্জেন্ট মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক
অভিযুক্ত ১৭ – সার্জেন্ট জহুরুল হক
অভিযুক্ত ১৮ – এবল সিম্যান (অব.) মোহাম্মদ খুরশীদ
অভিযুক্ত ১৯ – এম শামসুর রহমান খান সি.এস.পি.
অভিযুক্ত ২০ – রিসালদার এ কে এম শামসুল হক
অভিযুক্ত ২১ – হাবিলদার আজিজুল হক
অভিযুক্ত ২২ – এস.এ.সি. মাহফুজুল বারী
অভিযুক্ত ২৩ – সার্জেন্ট শামসুল হক
অভিযুক্ত ২৪ – মেজর ডা. শামসুল আলম
অভিযুক্ত ২৫ – ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুল মোতালিব
অভিযুক্ত ২৬ – ক্যাপ্টেন এম শওকত আলী মিয়াঁ
অভিযুক্ত ২৭ – ক্যাপ্টেন খোন্দকার নাজমুল হুদা এ.এস.সি.
অভিযুক্ত ২৮ – ক্যাপ্টেন এ এন এম নুরুজ্জামান ই.বি.আর.
অভিযুক্ত ২৯ – সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
অভিযুক্ত ৩০ – মো. মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী
অভিযুক্ত ৩১ – ফার্ষ্ট লেফটেন্যান্ট এম এম এম রহমান
অভিযুক্ত ৩২ – সুবেদার (অব.) এ কে এম তাজুল ইসলাম
অভিযুক্ত ৩৩ – মোহাম্মদ আলী রেজা
অভিযুক্ত ৩৪ – ক্যাপ্টেন ডা. খুরশীদ উদ্দিন আহমদ
অভিযুক্ত ৩৫ – ফার্ষ্ট লেফটেন্যান্ট আবদুর রউফ
মামলার বিচারের জন্য ফৌজদারি দন্ডবিধি সংশোধন করে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হল। ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন ৩৫ জনকে আসামি করে পাকিস্তান দন্ডবিধির ১২১-ক ধারা এবং ১৩১ ধারায় মামলার শুনানি শুরু হল। মামলায় শেখ মুজিবকে ১ নম্বর আসামী করা হল এবং ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান গং’ নামে মামলাটি পরিচালিত হল। ঢাকার কুর্মিটোলা সেনানিবাসে একটি সুরক্ষিত কক্ষে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম শুরু হল। মোট ১০০টি অনুচ্ছেদ সম্বলিত মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। সরকার পক্ষে মামলায় ১১ জন রাজসাক্ষীসহ মোট ২২৭ জন সাক্ষীর তালিকা আদালতে পেশ করা হল। আইয়ুবের সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে অভিযুক্ত সকলেই অস্বীকার করলেন তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ। সাজানো সাক্ষীরাও বেঁকে বসলেন আদালতে।
৪ জন রাজসাক্ষী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করলে সরকার পক্ষ তাদের বৈরী ঘোষণা করল।
৪ জন বৈরী সাক্ষী হচ্ছেন:
সাক্ষী ২ – কামাল উদ্দিন আহমেদ
সাক্ষী ১০ – এ বি এম ইউসুফ
সাক্ষী ২৫ – আবুল হোসেন
সাক্ষী ১৭০ – বঙ্কিম চন্দ্র দত্ত
১৯৬৮ সালের ৫ আগস্ট ব্রিটিশ আইনজীবী ও ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য টমাস উইলিয়াম শেখ মুজিবের পক্ষে ট্রাইব্যুনাল গঠন সংক্রান্ত বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন পেশ করেন। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনায় তাঁর সহযোগী ছিলেন আবদুস সালাম খান, আতাউর রহমান খান প্রমুখ। সরকার পক্ষে প্রধান কৌশুলী ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঞ্জুর কাদের ও অ্যাডভোকেট জেনারেল টি.এইচ খান। ৩-সদস্য বিশিষ্ট ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি এস এ রহমান। তিনি ছিলেন অবাঙালী। অপর দুজন এম আর খান ও মুকসুমুল হাকিম ছিলেন বাঙালী।
তথাকথিত এই ষড়যন্ত্রের সাথে “ভারত” এর যুক্ততা বিশ্বাসযোগ্য করতে অনানুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়ার কাছে মামলাকে পরিচিত করা হল “আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা” নামে। মামলার এমন নামকরণের পেছনে কারণ হিসেবে শাসকগোষ্ঠী মনে করেছিল যে শেখ মুজিবকে দেশের জনগণের কাছে ভারতীয় চর ও বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারলে জনসমর্থন সরকারের পক্ষে যাবে এবং শেখ মুজিবকে কঠোর সাজা দেয়া সম্ভব হবে। কিন্তু সরকারি সাক্ষীরা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সরকারের বিপক্ষেই বিষোদ্গার করতে থাকলেন। সাক্ষীরা বলেন, সরকার তাদের নির্যাতন করে এ মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেছে, অথচ এ মামলা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। ফলে দেশবাসীর কাছে পাকিস্তান সরকারের এ ষড়যন্ত্র সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ছাত্ররা উন্মাতাল আন্দোলন শুরু করল। নেতৃত্বে ছিলেন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতা আ.স.ম. আব্দুর রব, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া গ্রুপ) এর শামসুদ্দোহা, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ) এর মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রমূখ।
ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হল আসাদ, মতিয়ুরের রক্তে। মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবসহ সকল বন্দির মুক্তির দাবিতে ছাত্র আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিল। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় ১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী সকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক হাবিলদার কারাকক্ষের সামনে মামলার ১৭ নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে সার্জেন্ট জহুরুল হককে গুলি করে হত্যা করল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. মুহম্মদ শামসুজ্জোহা প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করতে গেলে ১৮ ফেব্রুয়ারীতে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করল। মুজিবের বিরুদ্ধে নয় জনগণ জ্বলে ওঠে আইয়ুবের বিরুদ্ধেই। সার্জেন্ট জহুর হত্যা সে আগুনে ঘি ঢালে আইয়ুব নিজেই। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী নির্বিচার হত্যা, সরকারী চক্রান্তের বিরুদ্ধে এবং মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবসহ সকল বন্দির মুক্তির দাবিতে গড়ে তুললেন ছাত্র-জনতার তুমুল গণআন্দোলন। রাজপথে জনতার ঢল নামল মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে “চল চল ক্যান্টনমেন্ট চল” শ্লোগানে। আসাদ, মতিয়ুর, জহুর ও জোহার রক্তে উজ্জীবিত আন্দোলন রূপ নিল গণঅভ্যুত্থানে।
আইয়ুবের বাঙালীকে নেতৃত্বশূন্য করবার সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হল। ২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯, মাথা নত করে আইয়ুব খান মামলা তুলে নিতে বাধ্য হল, বাধ্য হল শেখ মুজিবসহ ৩৫ জন অভিযুক্তকে মুক্তি দিতে।
বাংলার মানুষের স্বাধিকারের আকাঙ্ক্ষা, মুক্তির আকুতি বাংলার সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনার সাথে সংশ্লিষ্ট এই ৩৯ জনই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পথিকৃৎ মুক্তিযোদ্ধা। পাকিস্তানের জিঞ্জির থেকে বাংলার মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সেপাহী। বাংলাদেশের অস্তিত্বের যে আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছিল এই বীরদের কর্মে, তারই ধারাবাহিকতায় বাংলায় উদিত হয়েছিল বিজয়ের সূর্য ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরে।
লেখক:
সাগর লোহানী
সম্পাদক, বাঙালীয়ানা