প্রতি বছর, ৩০ বা তার কমবয়সী সম্ভাবনাময় বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করে ফোর্বস ম্যাগাজিন। ২০১৯ সালের প্রকাশিত এ তালিকায় সেরা ৩০ জনের মধ্যে ঠাঁই করে নিয়েছেন এক তরুণ বাংলাদেশি।
আমেরিকা ও কানাডায় ৩০ বছরের কম বয়সী যেসব তরুণ-তরুণীরা মানবকল্যাণে গবেষণা ও উদ্ভাবনে অবদান রাখছেন তাদের মধ্য থেকেই ৩০ জনকে সম্মানীত করার উদ্দেশ্যে অন্য বছরের মতো এবারও তালিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় ফোর্বস ম্যাগাজিন।
কয়েক হাজার মেধাবীর তালিকা হতে ৪ বিচারকের মাধ্যমে সবকিছু পর্যবেক্ষণ, যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে গত শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর প্রকাশ করা হয় সেই সেরা মেধাবী বিজ্ঞানীদের তালিকা। একইভাবে গণমাধ্যম, সঙ্গীত, ব্যবসা, আর্ট, শিক্ষা, জ্বালানীসহ ২০ ক্যাটাগরির তালিকাও প্রকাশ করেছে ম্যাগাজিনটি। গত ৮ বছর থেকেই এমন তালিকা প্রকাশ পাচ্ছে।
শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, মার্কিন সাময়িকীটিতে প্রকাশিত ওই তালিকায় স্থান করে নেওয়া বাংলাদেশি তরুণের নাম জি এম মাহমুদ আরিফ পাভেল।
বাংলাদেশি এই তরুণ বিজ্ঞানী বাস করছেন ফ্লোরিডার জুপিটারে। ২৯ বছর বয়সী এই বায়োলজিস্টের নাম রয়েছে তালিকার প্রথমেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব সায়েন্স করার পর নিউ ইয়র্কের সেন্ট জন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি করেছেন আরিফ। তরুণ এই বাংলাদেশি বিজ্ঞানী বর্তমানে পোস্ট ডক্টরাল অ্যাসোসিয়েট হিসেবে ‘স্ক্রিপস রিসার্চ’ এ কাজ করছেন।
মানব শরীরের ‘আয়ন চ্যানেল’ নিয়ে গবেষণা করছেন পাভেল। এই চ্যানেলকে ‘ফান্ডামেন্টাল সেন্সর্স অব লাইফ’ হিসেবে অভিহিত করে তা অ্যানেসথেসিয়াসহ অটোসমাল পলিসিসটিক কিডনি রোগের চিকিৎসায় নবদিগন্তের সূচনা ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন পাভেল।
ফোর্বস ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের সেরা ৩০ জনের তালিকাও করা হয় একইভাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা অঞ্চলের সেরা তরুণ ৩০ বিজ্ঞানীর তালিকা দক্ষিণ এশিয়ান বংশোদ্ভূতদের মধ্যে আরও রয়েছেন মেঘালি চুপরা(২৯), হাসিনী জয়তিলকা(২৯), নাসরিন মোস্তফা(২৮), মৈত্র রাঘু(২৭), দেবাকি রাজ(২৮) এবং গীতাঞ্জলি রাও(১২)।
বাঙালীয়ানা/এমএইচ/জেএইচ