গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর শনিবারের হামলার পর এখন আন্দোলন থেকে সরে যেতে ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সূ্ত্রে জানা যায়, উপাচার্য সমর্থিত শিক্ষকরা কোন কোন শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াতে বলছেন। তা না হলে তাদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিচ্ছেন।
শহরে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের উপর গ্রামবাসীদের লেলিয়ে দিয়ে হামলার পর উদ্বেগ, উৎকন্ঠা, অজানা আতঙ্ক আর হুমকির মুখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলছেন, এ সমস্যার সমাধানে ওনার নির্দেশোনার প্রয়োজন রয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়িাকে বহিষ্কার করা হলে এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের সমালোচনার মুখে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন।
এদিকে শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, বেলা ১২টার দিকে শহর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় ভিসি নাসিরের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা করে। উপজেলার মোড়, গোবড়া, হাসপাতাল মোড়, নীলার মাঠ, নবীনবাগ, সোবহান সড়ক, সোনারপুর এলাকায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ১০-১২ জনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর প্রক্টরিয়াল দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। হুমায়ুন কবীর এ বিষয়ে বাঙালীয়ানাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের উপর, এ অবস্থায় নৈতিক কারণেই আমি পদত্যাগ করেছি।
বাঙালীয়ানা/এসএল