বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল চলে গেলেন

Comments

টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল মারা গেছেন। মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১০ ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

মুম্বাইয়ের এক বেসরকারী হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ধরেই ভর্তি ছিলেন অসুস্থ অভিনেতা।  গণমাধ্যমকে খবর নিশ্চিত করেছেন অভিনেতার স্ত্রী নন্দিনী পাল।

দুই বছর ধরে হৃদযন্ত্রের অসুস্থতায় ভুগছিলেন তাপস পাল। এজন্য বেশ কয়েক বারই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি মেয়ে সোহিনীর সঙ্গে দেখা করতে মুম্বাই যান তিনি। সেখান থেকে কলকাতা ফিরতে এয়ারপোর্ট যাবার পথে অসুস্থ হয়ে মুম্বাইতে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার শহর কলকাতায় আর ফেরা হলো না তাপসের।

মাত্র বাইশ বছর বয়সে মুক্তি পেয়েছিল তার প্রথম ছবি, তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘দাদার কীর্তি’। বক্স অফিসে প্রবলভাবে সফল সেই ছবি রাতারাতি সুপারস্টার করে দেয় তাকে। এরপর একের পর এক সুপারহিট ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের। ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘মায়া মমতা’, ‘সুরের ভুবনে’, ‘সমাপ্তি’, ‘উত্তরা’, ইত্যাদি ছবি তাঁকে তুলে দেয় জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

২০০৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে কৃষ্ণনগর থেকে লোকসভার এমপি হয়েছিলেন তাপস পাল। তবে তার রাজনৈতিক কেরিয়ার বেশিদূর এগোয়নি। ২০১৬ সালে রোজভ্যালি চিটফান্ড কান্ডে নাম জড়ায় অভিনেতার। এরপরেই আসে পুলিশের হাতে গ্রেফতারি, তারপর ভুবনেশ্বরে হাজতবাস। তাপস পালের গগনচুম্বী কেরিয়ার তখন সায়াহ্নে।

তার অভিনীত শেষ কয়েকটি ছবি ‘আটটা আটের বনগাঁ লোকাল’, যা মুক্তি পায় ২০১২ সালে, ‘চ্যালেঞ্জ ২’, ‘উল্লাস’, ‘খিলাড়ি’, ও ‘স্বভূমি’।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বাঙালীয়ানা/এসএল

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.