পূর্ব মেদিনীপুরের ছেলে স্বাধীনচন্দ্র জানা। জীবকোষ বিজ্ঞান তাঁর গবেষণার বিষয়। কর্মক্ষেত্র পর্তুগালের লিসবনে গুলবেনকিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স। এই  বাঙালি বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে জীবকোষের এক রহস্যের সমাধান করলেন পর্তুগালের গবেষকরা।

swadhin jana, scientist

স্বাধীনচন্দ্র জানা

জীবদেহের কোটি কোটি কোষ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে। চারপাশের পরিবেশ থেকে সঙ্কেত নেয়, আবার তা আশপাশে পাঠায়। এই সঙ্কেত দেওয়া নেওয়ার কাজটি করে কোষের দেওয়ালে লেগে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ‘সিলিয়াম’, এরাই জীবকোষের অ্যান্টেনা। এই সিলিয়ামের কাজের নানা গোলমাল মানবদেহের অসুস্থতা ও বিপত্তির কারণ, যেমন মেদ, অন্ধত্ব, বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি।  এটা বোঝাই যায় যে নানা রকমের সিলিয়াম আছে, এক এক রকম অ্যান্টেনা এক এক রকম সঙ্কেতের জন্য।

বিজ্ঞানীরা বুঝতে চাইছিলেন নানা কাজের জন্য নির্ধারিত সিলিয়ামের কি কোষ আলাদা আলাদা উপাদান দিয়ে তৈরি করে? স্বাধীন জানার নেতৃত্বে এস ও মেনদোনকা, পি মাচাদো, হে রোচা, এস ওয়ার্নার, এ পেরেরা, এইচ মাইয়াতে, মনিকা বেটেনকোর্ট দিয়াস এই কজন গবেষক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যা জানতে পেরেছেন তা হল, যদিও কোষ সাধারণ কিছু পদার্থ দিয়ে সিলিয়ামগুলি বানায়, কিন্তু নানা সময়ে নানা অনুপাতে ওই সব পদার্থ ব্যবহার করে। ফলে, সিলিয়াম গড়ে ওঠে নানা কাজের যোগ্য হয়ে। এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার সেল বায়োলজি’ জার্নালে। পেপারের শিরোনাম, ‘ডিফারেন্সিয়াল রেগুলেশন অব ট্রানজিশন জোন অ্যান্ড সেনট্রিওল প্রেটিনস কনট্রিবিউটস টু সিলিয়ারি বেস ডাইভারসিটি’।

সিলিয়ামের গোলমালের মূলে জিন। এই গবেষণার ফলে যেহেতু সিলিয়ামের চরিত্র বুঝতে সক্ষম হবেন বিজ্ঞানীরা, এই ধরণের জিন ও সিলিয়ামের গোলমালজনিত ব্যাধি নিরাময় সহজ রাস্তা বার করা সম্ভব হবে। স্বাধীন ও তাঁর সহকর্মীরা এ বার এগোতে চান সিলিয়ামের সেই গবেষণায় মন দিতে চান।

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.