বিজ্ঞানকে আমরা অনেকে ধর্ম বানিয়ে ফেলেছি। প্রথম থেকে আমরা অনেকে ধরে নিয়েছি কাকে বিশ্বাস করবো আর কাকে বিশ্বাস করবো না। কিছু ধরে নেয়ার মধ্যে বিজ্ঞান নেই। অন্ধভাবে বিজ্ঞানকে গ্রহণ করা আর আসমানী কিতাব গ্রহণ করা একই কথা। দুটাই বিজ্ঞানচিন্তার বহির্ভূত।
বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে বা সংবাদে একটা খবর ছাপা হলো, সঙ্গে সঙ্গে বাকিরা যাদের পক্ষে যাচ্ছে খবরটা, বিনাবিচারেই তার প্রচারে নেমে পড়ছেন। খবরটা যে তার পক্ষে যাচ্ছে সেটাই বড় কথা, বাস্তবে তা সত্য মিথ্যা যাই হোক। বিনাবিচারে এই যে নিজের পক্ষে প্রচার সেটা কি অন্ধত্ব নয়?
বিজ্ঞান নিয়ে সাধারণত সবার কথা বলার অধিকার আছে। কিন্তু বিজ্ঞানের আবিষ্কার বা গবেষণা নিয়ে সবার কথা বলার অধিকার নেই। যিনি ব্যাপারটাতে বিশেষজ্ঞ তিনিই সেটা নিয়ে কথা বলতে পারেন। সবকিছু নিয়ে কথা বলা, সবকিছু প্রচার করা সবার দায়িত্ব নয়। সবাই সব কিছু কথা বলতে গেলে জ্ঞানের জগত আবর্জনায় আরো ভরে যাবে।
চলমান কোভিড ১৯ নিয়ে বহু ধরনের কথা বার্তা হয়েছে। কোভিডের ফলাফল ব্যক্তিজীবনে কার উপর কী প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে সবাই কথা বলতে পারে, নিজের অনুভূতির কথা লিখতে পারে। কিন্তু কোভিডের বিজ্ঞানসম্মত দিক বা তার চিকিৎসা বা গবেষণা নিয়ে কথা বলতে পারেন বিশেষজ্ঞরা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কোভিডের চিকিৎসা বা টিকা আবিষ্কার নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানী আর স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মধে প্রচুর দ্বিমত রয়েছে। বিশেষ করে তার উৎপত্তি আর সংক্রমণ নিয়ে মতবিরোধ এখনো শেষ হয়নি। কারণ দুপক্ষই অনেক বেশি ধারণার উপর কথা বলছে। নানা গবেষণার ভিতর দিয়ে নিশ্চয় অনেকটা প্রায় সকলের গ্রহণযোগ্য মত আসতে সময় লাগবে। কিন্তু তারপরেও সর্বগ্রহণযোগ্য মত পাওয়া যাবে না।
কারণ কী? কারণ সকল বিজ্ঞানীরা নিজের আবিষ্কার সম্পর্কে সৎ নন, অনেকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ বা চাপে থাকেন। বিশেষ করে ওষুধবিজ্ঞান সহ সব বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তা দেখা যাচ্ছে, মুনাফার প্রশ্নটি সেখানে প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডাঃ নর্মান বেথুন বহু বছর আগে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বহু কিছু আবিষ্কার করার পর দেখতে পেলেন সেসব ব্যবসায়ীদের মুনাফার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি এসব দেখে চিকিৎসাবিজ্ঞান বাদ দিয়ে কানাডা ছেড়ে চীন বিপ্লবে যোগ দেন। সৎ মানুষরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত হতে পারেন না। কিন্তু বেশির ভাগ বিজ্ঞানীর পক্ষে রাষ্ট্র আর শাসকদের বাদ দিয়ে গবেষণা করা কি সম্ভব? সম্ভব নয় বলে রাষ্ট্রের বহু কিছু মেনে কাজ করতে হয় তাদের। আমার এক বন্ধু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় কাজ করতে গেলে প্রথমেই বলা হয়েছিল, মানুষের কল্যাণে তুমি কী করতে চাও সেটা তোমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এখানে গবেষণা করবে যা আমাদের দরকার সেভাবে। ফলে আমার বন্ধু এক বছরের চুক্তির পর কাজটা ছেড়ে দেন।
বিজ্ঞান মানব কল্যাণে বহু অবদান রেখেছে আর রাখবে। বহু ধর্মেরও শুরুর দিকে অনেক জনকল্যাণমূলক ভূমিকা ছিল। স্বার্থান্বেষী মানুষের হাতে পরে ধর্ম আস্তে আস্তে শোষণের দিকে ধাবিত হয়। ধর্মের আর একটি ভয়াবহ দিক হলো, সে অনড়। নিজের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যেতে চায় না। বিজ্ঞানের বড় দিক হলো তার সমালোচনা করা যায়। সেজন্য কট্টর ধার্মিকদের মতো কেউ গলা কাটতে আসে না। কিন্তু বিজ্ঞানেরও এখন শোষণমূলক দিকটিকে আর অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ বিজ্ঞানের গবেষণা আর প্রকৃত বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। সেটা চলে গেছে ক্ষমতালোভী শাসকদের হাতে।
বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কারের চরিত্র তাই এখন বুঝে ওঠা কঠিন। বিজ্ঞান কখন নিজেকে কীভাবে প্রকাশ করবে সেটা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করা সহজ নয়। ফলে বিজ্ঞানের প্রতিটি খবর, প্রতিটি আবিষ্কার এখন প্রশ্নবোধক। মধ্যযুগে বা আধুনিক যুগের শুরুতে বিজ্ঞানের আবিষ্কারে অনেক ত্রুটি ধরা পড়লেও সেটা ছিল বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অপারগতা। চালাকীর ব্যাপার ছিল না। বর্তমান সময়ে সেখানে চালাকী আর শঠতা বিজ্ঞান গবেষণার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
যুক্তরাষ্ট্রকে অনেকে এখন বিজ্ঞান গবেষণার কেন্দ্র বলে মনে করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে প্রকৃত বিজ্ঞান গবেষণার দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে বিশ শতকের শুরুর দিকে। বিজ্ঞান গবেষণার তার আগে এক বিরাট পূর্বাপর রয়েছে। ইতিহাসে দেখা যায় বিজ্ঞান গবেষণায় মিশরের বেশ কিছু অবদান রয়েছে প্রাচীন যুগে। প্রাচীন যুগে ভারতের অবদান দেখা যায় চিকিৎসা বিজ্ঞানে আর গণিতে। গণিতে মিশরের অবদান সম্ভবত সবচেয়ে পুরানো। প্রাচীন গ্রিক আর রোম সভ্যতার অবদান এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি।
খ্রিস্টান ধর্ম যখন রোমান সম্রাট কন্সটানটাইন সরকারী ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেন, তারপর চার্চ জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা বন্ধ করে দেয়। গ্রিক বাইজানটাইন সাম্রাজ্য ছাড়া সারা ইউরোপের জন্য সেটা ছিল অন্ধকার যুগ। গ্রিক আর রোমের পণ্ডিতদের সব পুস্তক যখন ধ্বংস করে দিচ্ছিল খ্রিস্টান চার্চ, তখন সেগুলিকে রক্ষা করে দামাস্কাস, বাগদাদ, কর্ডোভার মুসলিম শাসকরা। গ্রিক জ্ঞানভাণ্ডার পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা অনূদিত হয় আরবিতে। খ্রিস্টান চার্চ যেসব পণ্ডিতদের বের করে দিয়েছিল তাদের আশ্রয় মেলে বাগদাদের খলিফাদের দরবারে।
যখন পশ্চিম ইউরোপের অন্ধকার যুগ তখন মুসলিম শাসনে জ্ঞানবিজ্ঞানের অভূতপূর্ব চর্চা চলে বিভিন্ন মুসলিম শাসকদের রাজধানীতে। আব্বাসী, উমাইয়া, ফাতেমী শাসকরা ছিলেন জ্ঞানবিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক। ভারতের, চীনের, গ্রীস রোমের জ্ঞানকে চর্চার মধ্য দিয়ে আরো উন্নত করে মুসলিম শাসকদের অধীনে বিভিন্ন ব্যক্তিরা। সেখানে মুসলমানরা যেমন ছিল, তেমনি ছিল ইহুদি আর খ্রিস্টানরা। সে সময়ের বিখ্যাত দার্শনিক আর বিজ্ঞানীদের মধ্যে ছিলেন আল কিন্দি, আর রাজি, আর রুশদ, আল বিরুনী, ইবনে সিনা প্রমুখ নানা ব্যক্তি।
মুসলিম শাসনে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছিল জ্যোতির্বিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান আর রসায়ন। যখন পশ্চিম ইউরোপ অন্ধকারে তখন মুসলিম শাসনে জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রভূমি বাগদাদ, কর্ডোভা, গ্রানাডাসহ স্পেনের আরো অনেক শহর। ইউরোপের খ্রিস্টান পাদ্রীদের অনেকে এসময় স্পেনের মুসলিম শাসকদের এলাকায় এসে জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চায় অংশ নিয়েছেন। প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয় মুসলিম শাসনে কায়রোতে আর কর্ডোভায়। মুসলিম শাসকরা তখন ছিলেন জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চায় উদার। বিলাসী ভোগী এসব শাসকরা জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চাকে সকলভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। কিন্তু দ্বাদশ সাল থেকে মুসলিম শাসকরা কট্টর হতে থাকে। দ্বাদশ শতকের পর মুসলমানরা জ্ঞানবিজ্ঞানের জগতে আর কোনো অবদান রাখতে পারে না।
ঠিক তখন কিছু খ্রিস্টান পাদ্রীদের হাত ধরে ইউরোপে জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা আরম্ভ হয়েছিল। মুসলিমদের কাছ থেকে তারা গ্রিক জ্ঞানভাণ্ডারের সন্ধান পেয়েছিলেন। বিজ্ঞানের ইতিহাসে তারপর ইউরোপের দান বিরাট। ইউরোপীয় নবজাগরণের পর জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা আরম্ভ হয় ব্যাপকভাবে। আবার চার্চের দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হয়। ব্রুনো, গ্যালিলাই সহ আরো অনেকে। ফরাসী বিপ্লবের পর চার্চের কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রণ করে তা প্রচণ্ড গতিতে এগিয়ে যায়। ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের হাত ধরেই সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান গবেষণার যাত্রা। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সেখানে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অবদান যথেষ্ট।
যুক্তরাষ্ট্র নামক যে দেশ তার আদি অধিবাসীরা বলতে গেলে বৃটিশ আর ইউরোপের শক্তির দ্বারা নিশ্চিহ্ন। আদি অধিবাসীদের খোঁজ পাওয়া কঠিন। সেই দেশের বিজ্ঞান চর্চা কেমন হতে পারে, কার স্বার্থে হতে পারে? কলম্বাস নামক খুনী ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের নায়ক। বহুকাল পর্যন্ত ইতিহাসে এই খুনি দস্যুর মহিমা প্রকাশিত হতো। কিছু মানুষ কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারেরর চারশো বছরে প্রথমবার প্রশ্ন তোলেন তাকে এত মর্যাদা কেন দেওয়া হবে সেটা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র এতটাই গণতান্ত্রিক যে, মানবতার পক্ষে চ্যাপলিন তাঁর চলচ্চিত্রে সত্য বলার জন্য তাকে আর যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া হয় না। কারণ চ্যাপলিনের হিটলারকে নিয়ে তৈরি “ডিকটেটর” ছবি শাসকদের পছন্দ ছিল না। পরের ছবি “মঁশিয়ে ভার্দু” তাদের আরো ক্ষেপিয়ে তোলে।
বিজ্ঞান চর্চার শ্রেষ্ঠ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের উপর ঈশ্বরের প্রতি তাদের বিশ্বাসের কথা স্পষ্ট বলা আছে। এটা ব্যাক্তির ব্যাপার নয় শুধু, একটা রাষ্ট্রের ব্যাপার। যদি সেই রাষ্ট্র জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চার কথাও ফলাও বলে, মনে কি হয় না ডাল মে কুচ কালা হ্যায়? বিজ্ঞান চর্চার আসল কথাটা কি? কোন অলৌকিক শক্তির প্রতি বিশ্বাস না থাকা। সবটা জ্ঞানবিজ্ঞানের আলোয় ধরা পড়তে হবে। সবচেয়ে বড় কথা বিজ্ঞানের আবিষ্কার দরকার জনগণের কল্যাণে। কিন্তু বিজ্ঞানের গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র যেখানে মুনাফা নেই সেখানে টাকা ঢালে না। মানুষের কল্যাণ তাদের গবেষণার লক্ষ্য নয়, লক্ষ্য মুনাফা। ঠিক একই ভাবে অতীতের অনেক বিজ্ঞানীদের অবদান তারা স্বীকার করে না। ঠিক যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের আদিবাসীদের হটিয়ে দিয়ে দেশটা দখল করেছে, বিজ্ঞানীদের অনেক অবদানের ক্ষেত্রেও তাই। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহিরে ব্যস্ত তারা।
যখন একটি ধনী রাষ্ট্র মানবতার কল্যাণ গবেষণা করে না, লক্ষ্য থাকে একমাত্র মুনাফা। সে গবেষণা শেষ বিচারে কতোটা জনগণের পক্ষে যাবে? করোনা নিয়ে হৈ চৈ কালে নানাভাবে জানা গেল, এসব নিয়ে গবেষণায় তাদের মাথাব্যথা নেই। বহু আগে থেকেই এ ধরনের গবেষণায় টাকা ঢালা বন্ধ করেছে, কিন্তু সৌর গবেষণায় টাকা ঢালছে। সৌর গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক সময় যুক্তরাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তভাবে কাজ করে। কারণ তার খরচ ব্যাপক আর দরকার খুব মেধাবীদের। একই সঙ্গে যারা বশংবদ। সেই সৌর বিজ্ঞানের সাফল্য নিয়ে বাইডেন হঠাৎ এমন সব চমকপ্রদ কথা বললেন, যার সত্য মিথ্যা নির্ধারণ করা বেশির ভাগ মানুষের পক্ষে কঠিন। বিশেষ করে যখন বাইডেনের জনপ্রিয়তা নিম্নগামী আর যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্নবিদ্ধ ইউক্রেন যুদ্ধে তার ভূমিকা নিয়ে।
ফলে সৌরজগতের যে ছবি দিয়েছে নাসা তা বিতর্কের সৃষ্টি করছে। অন্ধভাবে বিশ্বাস করার চেয়ে বিতর্ক স্বাস্থ্যকর। কারণ প্রশ্ন তোলাটাই বিজ্ঞানমনস্কতার লক্ষণ। চট করে কিছু বিশ্বাস করা নয়। নাসা কোনো ধর্মগ্রন্থ নয়, পয়গম্বর নয়, যা কিছু বললে বিশ্বাস করতে হবে। নাসার দাবি সত্য হলে কালের পরিধিতে তা প্রমাণিত হবে। কিন্তু যে ছবিটি দেখে আমাদের পক্ষে কিছুই ধারণা করা বা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়, রাতারাতি তাকে গ্রহণ করতে হবে কেন? সকল কিছু গ্রহণ বর্জনের আগে দরকার সেটাকে ভালো করে বুঝে নেয়া। নিজে না বুঝে, নিজে তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ না জেনে প্রচার চালানো কি সঠিক কাজ হতে পারে?
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই তার জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চায় নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ধনী রাষ্ট্র শোনা যায়, করোনাকালে আসলে বিরাট ব্যবসা করে নিয়েছে। ফলে জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রশ্নে যখন তাদের শাসকরা হঠাৎ কিছু বলে বসে, সেটা বিশ্বাস করার আগে কি নিশ্চিত হওয়া দরকার নয়, ব্যাপারটার পেছনে আসল উদ্দেশ্য কী।
লেখক পরিচিতি:
রাহমান চৌধুরী, লেখক, শিল্প সমালোচক