বিরসা মুন্ডা । জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়

Comments

ভারতের অধুনা বিহার যা বর্তমানে ‘ঝাড়খণ্ড’ রাজ্য, তারই ছোটনাগপুর বিভাগে রাঁচি জেলার তামার থানার চালকাদ গ্রামের কাছেই উলিহাতির বাম্বা পল্লী। ওখানেই ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে বিরসা মুণ্ডার জন্ম। বাবা মুণ্ডা সর্দার সুগণা মুণ্ডা আর মায়ের নাম কারমী। তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে বিরসা ছিলেন চতুর্থ। তাঁর জন্মের পর সুগণা মুণ্ডা বাম্বা পল্লী ছেড়ে চলে আসেন চালকাদ গ্রামে।

চরম দারিদ্রে দিন কাটছিল তাদের। সে সময় গ্রামে গ্রামে আদিবাসীদের দারিদ্র্যের সুযোগে তাদের মধ্যে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের কাজ করতো খ্রিস্টান মিশনগুলো। নানা প্রতিশ্রুতি ও প্রলোভনে বহু আদিবাসী তখন খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত হয়। সুগণা মুণ্ডাও তখন মিশনারিদের দ্বারা প্রভাবিত হন। খ্রিস্টান পাদ্রিদের দয়ায় তার দারিদ্র্য ঘুচবে—এমন আশায় তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষা নেন। এভাবে বিরসাও খ্রিস্টান হন মাত্র ১২ বছর বয়সে। তখন তাঁর নাম দেওয়া হয় দাউদ মুণ্ডা। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি ভর্তি হন চাইবাসার জার্মান মিশনারিদের স্কুলে, ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে। পরে জার্মান মিশনারিদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। ফলে ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে বিরসা ওই স্কুল ত্যাগ করে রোমান ক্যাথলিক মিশনে চলে যান। কিন্তু সেখানেও বেশিদিন টিকতে পারেন না।

সে সময় মুণ্ডারা জমিদার, মহাজন ও ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। ওই বিদ্রোহে ইংরেজদের পক্ষে ছিল মিশনারিরা। তারা বিদ্রোহী মুণ্ডা সরদারদের প্রতারক বলায় এর প্রতিবাদ করে বিরসা মুণ্ডা। ফলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই খ্রিস্টান মিশনারিদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ তৈরি হয়। ফলে একসময় শিকড়ের টানে বিরসা মুণ্ডা খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে আবারও মুণ্ডাদের প্রাচীন ধর্ম বিশ্বাসে ফিরে আসেন। ওই সময়ের পর তিনি বাদগাঁও নামক জায়গায় প্রায় তিনবছর ছিলেন একজন বৈষ্ণবের কাছে। ফলে হিন্দু ধর্মের নানা আচার ও বিশ্বাসের প্রতিও তিনি আসক্ত হন।

১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ২১ বছর বয়সী বিরসা মুণ্ডা প্রচার করতে থাকেন যে, তিনি এক নতুন ধর্ম মুণ্ডাদের প্রধান দেবতা শিং বোঙ্গার কাছ থেকে লাভ করেছেন। শিং বোঙ্গা নিজে তার মাধ্যমে খবর পাঠিয়েছেন যে, মুণ্ডাদের এখন থেকে বহু দেবতার (বোঙ্গার) পরিবর্তে কেবল একটি দেবতাকেই পূজা করতে হবে, তাদের জীবজন্তুর মাংস খাওয়া ত্যাগ করতে হবে, সৎভাবে জীবনযাপন করতে হবে, সর্বপ্রকার কুসংস্কার পরিত্যাগ করে সুন্দর নির্মল ও পবিত্র চরিত্র গঠন করতে হবে, আর হিন্দুদের ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মতো গলায় জানে, অর্থাৎ পবিত্র সূত্র ধারণ করতে হবে—এসবই হলো প্রধান দেবতা শিং বোঙ্গার নির্দেশ। শিং বোঙ্গার পূজা মুণ্ডারা নিজেরাই করবে, এর জন্য কোনো পুরোহিত ডাকারও প্রয়োজন নেই। এভাবে বিরসা নতুন ধর্মমতের প্রচার শুরু করেন।

Birsa Munda_Custody_original_Taged

গ্রেফতার পরবর্তী সময়ে বিরসা মুণ্ডা, ১৯০০ সাল। ছবি সংগৃহীত।

বিরসা মুণ্ডার মুখে শিং বোঙ্গার নির্দেশনা শুনে মুণ্ডা জনসাধারণের মধ্যে এক নতুন প্রাণ-চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সুত্রধারী ব্রাহ্মণের দল এতকাল তাদের মধ্যে বহু দেবতা ও সুত্রের মহিমা প্রচার করে তাদের যেমন বোকা বানিয়ে রেখেছিল, তেমনি ধর্মের ভয় দেখিয়ে জমিদার-মহাজনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে বাধাও দিয়েছিল তারা। ফলে বিরসা এই নতুন ধর্ম প্রচারের মাধ্যমে মুণ্ডাদের মধ্য থেকে ব্রাহ্মণ ও খ্রিস্টান পুরোহিত শ্রেণির দুষ্ট প্রভাবও দূর করেছিলেন।

মূলত বিরসা মুণ্ডা চেয়েছিলেন জমিদার মহাজন, তথা ইংরেজদের থেকে শোষণমুক্ত আধুনিক শিক্ষায় আলোকিত এক মুণ্ডা সমাজ। তাই তিনি অত্যাচারীদের প্রতিরোধ করার সঙ্গে সঙ্গে মুণ্ডাদের মধ্যে কিছু সংস্কারমূলক কাজও করেছিলেন। বিরসা যতটুকু শিক্ষা পেয়েছেন, তাতেই বুঝেছেন যে, রোমান পুরোহিত ও খ্রিস্টান পাদ্রি—এই উভয় ধর্মযাজকগণই মুণ্ডা সমাজের শত্রু। তাদের প্রচারে ও অনুশাসনে মুণ্ডারা বিভ্রান্ত। সুতরাং এদের প্রভাব দূর করতে না পারলে মুণ্ডাদের জাগরণের কোনো আশা নেই। তা ছাড়াও মুণ্ডা সমাজে বহু দেবতার পূজা প্রচলন করেছিল ব্রাহ্মণরা। তাই সেটারও অবসান ঘটাতে হবে।

১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে একটি আইন পাস করে জমি ও বনভূমির উপর মুণ্ডাদের আদি অধিকার নামমাত্র স্বীকার করা নেওয়া হয়। কিন্তু তখনও জমিদারগণ ওই আইন মানতে সচেষ্ট ছিল না। ওই বছরই লে. গভর্নর উডর্বান এসে মুণ্ডাদের প্রাচীন অধিকার রক্ষার ঘোষণা দেন। কিন্তু জমিদারগণ সে অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা নেয় না। ফলে আদিবাসীদের আর্থিক দুর্দশা আরও শোচনীয় হয়ে উঠে। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে কথা। ওই অঞ্চলে ওই বছর শীতের ফসল হয় না। ফলে কারও ঘরে এক মুঠো শস্যও উঠে না। সমগ্র মুণ্ডা অঞ্চলে তখন হাহাকার পড়ে যায়। সবকিছু জেনেও জমিদারগণ তাদের খাজনার এক পয়সাও মওকুফ করে না। তারা খাজনার দায়ে চাষীর সর্বস্ব কেড়ে নিতে থাকে।

মুণ্ডাদের এই দুর্দশা দেখে বিরসা স্থির থাকতে পারেন না। ইতিমধ্যে গ্রামাঞ্চল থেকে সৈন্য ও পুলিশ বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হয়। বিরসা তখন প্রকাশ্যে মুণ্ডা অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে সবাইকে অভয় দিতে থাকলেন। তাঁর অনুরচগণও গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচার করতে থাকে যে মুণ্ডারাই জমির একমাত্র মালিক, কেউ যেন জমিদার ডিকুদের খাজনা না দেয়। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে শেষের তিন মাস বড় বড় সভা হয় মুণ্ডা অঞ্চলে। এইসব সভায় বিরসা স্বয়ং জ্বালাময়ী ভাষায় জনসাধারণের দুঃখ-দুর্দশা এবং তাদের উপর জমিদার ও মহাজনগোষ্ঠীর উৎপীড়নের বিরুদ্ধে মুণ্ডাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। মুণ্ডারা বুঝে যায় অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করে ডিকু দস্যুদের তাড়াতে না পারলে তাদের বাঁচার কোন আশা নেই। তারা তাই বিরসার নেতৃত্বে বিদ্রোহের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে।

১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারি। ৩০০ মুণ্ডা যুবক তীর-ধনুক, বল্লম, টাঙ্গি, খড়গ প্রভৃতি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খুন্তির থানার উপর আক্রমণ করে। ফলে থানার কনস্টেবলরা সবাই নিহত ও গুরুতর আহত হয়। বিদ্রোহীরা তখন থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।এই সংবাদ পাওয়ামাত্র তৎকালীন পুলিশ কমিশনার ও ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দারেন্দার সামরিক ঘাঁটি থেকে ১৫০ জন ইংরেজ সৈন্য ও ১০০ জন সশস্ত্র পুলিশ নিয়ে বিদ্রোহ দমাতে খুন্তি ছুটে আসে। খবর পেয়ে খুন্তির নিকটবর্তী দুমারী পাহাড়, জানুমপিড়ি, ঘুটুহাটু, কুরপুর্তি প্রভৃতি অঞ্চল থেকে শত শত সশস্ত্র মুণ্ডা খুন্তির কাছেই জঙ্গল অঞ্চলে একত্রিত হয়। তারা আত্নরক্ষার জন্য গাছ ও বাঁশ কেটে বেড়া দেয় এবং বেড়ার পেছনে থেকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এ সময় বিরসা মুণ্ডা নিজেই হন বিদ্রোহী বাহিনীর সেনাপতি।

১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ৯ জানুয়ারি। খুব সকালে পুলিশ কমিশনার সৈন্য ও সশস্ত্র পুলিশের বিশাল বাহিনী নিয়ে বিদ্রোহীদের কাছাকাছি অবস্থান নেয়। তিনি বিদ্রোহীদের আত্নসমর্পণ করার আদেশ দেওয়া মাত্রই বিদ্রোহীরা বেড়ার ফাঁক দিয়ে শত শত বিষাক্ত তীর সৈন্যবাহিনীর দিকে ছুড়তে থাকে। ফলে বহু সৈন্য ও পুলিশ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

অতঃপর শুরু হয় সৈন্য ও পুলিশবাহিনীর রাইফেলের গুলিবর্ষণ। সমান তালে চলে মুণ্ডাদের তীরবৃষ্টিও। সৈন্যদের গুলির আঘাতে বহু মুণ্ডা যুবক নিহত ও আহত হয়। রাইফেলের সামনে তীর-ধনুক নিয়ে টিকে থাকা যায় না। তাই বিদ্রোহীরা বিরসা মুণ্ডার নির্দেশে বেড়ার পেছন থেকে সরে আশ্রয় নেয় নিকটবর্তী জঙ্গলে। পরে বেড়ার পেছনে পাওয়া যায় সাতজন মুণ্ডার মৃতদেহ। যার মধ্যে তিনজনই ছিল বীরবেশে থাকা মুণ্ডা যুবতী।

ইংরেজ সৈন্য ও সশস্ত্র পুলিশের সংখ্যা তখন ছিল তিনশজনের মতো। খবর পেয়ে বিভিন্ন ঘাঁটি থেকেও আসে আরও তিনশর মতো সৈন্য ও সশস্ত্র পুলিশ। এরা একত্রিত হয়ে বিদ্রোহীদের পেছন পেছন জঙ্গলে প্রবেশ করে। বিদ্রোহীরা তখন চারদিকে ছড়িয়ে যায়। তারা সমগ্র রাঁচি জেলা ও সিংভূম অঞ্চলে সশস্ত্র মুণ্ডাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ চালাতে থাকে। যুদ্ধ চলে প্রায় দুই মাস। এদিকে বিভিন্ন স্থান থেকে সশস্ত্র পুলিশের দল এসে মুণ্ডা অঞ্চলে ভয়ঙ্কর ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে শত শত মুণ্ডা আদিবাসী মৃত্যুবরণ করে। এভাবেই ধীরে ধীরে বিদ্রোহের আগুন নিভে যেতে থাকে।

মুণ্ডা বিদ্রোহের নায়ক বিরসা মুণ্ডা ও তাঁর শতাধিক অনুচরকে এক সময় গ্রেফতার করা হয়। অতঃপর শুরু হয় তাদের বিচারের পালা। কিন্তু তার পূর্বেই রাঁচি জেলে কলেরা রোগে আক্রান্ত হন ঐতিহাসিক মুণ্ডা বিদ্রোহের প্রধান নায়ক বিরসা ভগবান। অতঃপর মাত্র আঠাশ বৎসর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯ জুন ১৯০০। দীর্ঘদিন পর মুণ্ডা বিদ্রোহে বিরসার অনুচরদের বিচার শেষ হয়। বিচারে দুইজনের ফাঁসি, বারোজনের দ্বীপান্তর এবং তিয়াত্তর জনের পাঁচ থেকে দশ বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।

কেউ কেউ বিরসা মুণ্ডার ধর্মসংস্কার, রাজনৈতিক মত ও আন্দোলনকে ভিন্ন চোখে দেখেন। কিন্তু মুক্তমন্ত্রে দীক্ষিত এই মুণ্ডা যুবক মুণ্ডাদের বহুদিনের দুঃখ-দুর্দশার অবসানের জন্য, মুণ্ডা জাতির উপর হিন্দু-খ্রিস্টান পুরোহিত-সম্প্রদায় ও জমিদার-মহাজনদের অবর্ণনীয় শোষণ-উৎপীড়নের শেকড় উপরে ফেলতে এবং মুণ্ডা জাতির আদি মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করতে যেভাবে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন, তা যেকোনো জাতির, যেকোনো মানুষের জন্য অনুকরণীয়। নিজ জাতির মুক্তিতে নিবেদিতপ্রাণ এই তরুণ মুণ্ডা নায়ক তাঁর ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে নুতন চেতনার সঞ্চার করেছিলেন, মুণ্ডাদের মানুষ হিসেবে বাঁচার তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলেছিলেন। আর এ কারণেই বিরসা মুণ্ডাকে আজও মুণ্ডা জাতি ভগবান হিসেবেই স্মরণ করে।

মুণ্ডা বিদ্রোহের নায়ক বিরসা মুণ্ডা ও তাঁর শতাধিক অনুচরকে এক সময় গ্রেফতার করা হয়। অতঃপর শুরু হয় তাদের বিচারের পালা। কিন্তু তার পূর্বেই রাঁচি জেলে কলেরা রোগে আক্রান্ত হন ঐতিহাসিক মুণ্ডা বিদ্রোহের প্রধান নায়ক বিরসা ভগবান। অতঃপর মাত্র আঠাশ বৎসর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯ জুন ১৯০০। দীর্ঘদিন পর মুণ্ডা বিদ্রোহে বিরসার অনুচরদের বিচার শেষ হয়। বিচারে দুইজনের ফাঁসি, বারোজনের দ্বীপান্তর এবং তিয়াত্তর জনের পাঁচ থেকে দশ বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।

কেউ কেউ বিরসা মুণ্ডার ধর্মসংস্কার, রাজনৈতিক মত ও আন্দোলনকে ভিন্ন চোখে দেখেন। কিন্তু মুক্তমন্ত্রে দীক্ষিত এই মুণ্ডা যুবক মুণ্ডাদের বহুদিনের দুঃখ-দুর্দশার অবসানের জন্য, মুণ্ডা জাতির উপর হিন্দু-খ্রিস্টান পুরোহিত-সম্প্রদায় ও জমিদার-মহাজনদের অবর্ণনীয় শোষণ-উৎপীড়নের শেকড় উপরে ফেলতে এবং মুণ্ডা জাতির আদি মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করতে যেভাবে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন, তা যেকোনো জাতির, যেকোনো মানুষের জন্য অনুকরণীয়। নিজ জাতির মুক্তিতে নিবেদিতপ্রাণ এই তরুণ মুণ্ডা নায়ক তাঁর ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে নুতন চেতনার সঞ্চার করেছিলেন, মুণ্ডাদের মানুষ হিসেবে বাঁচার তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলেছিলেন। আর এ কারণেই বিরসা মুণ্ডাকে আজও মুণ্ডা জাতি ভগবান হিসেবেই স্মরণ করে।

(ফিচার ছবি সংগৃহীত)

লেখক:

জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কথা সাহিত্যিক ও কার্যকরী সম্পাদক, ‘পেজফোর’, ভারত

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.

About Author

বাঙালীয়ানা স্টাফ করসপন্ডেন্ট