বিস্ফোরক আইনে করা মামলার আসামী নন মোজাম্মেল হক

Comments

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় তার বিরুদ্ধে করা গ্রেফতার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এছাড়াও চাঁদাবাজির মামলায় আগেই তার জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এই রায়ে তাঁর মুক্তির ক্ষেত্রে আইনি বাধা দূর হলো।

কাফরুল থানায় জারি হওয়া এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রায়হান। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম এই মামলা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন খারিজ করে দেন।

শুনানি চলাকালীন সময়ে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দায়ের করা এই বিস্ফোরক মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় আসামীকে জড়িয়ে কেউ জবানবন্দি দিয়েছেন কিনা। বিচারক এসআই মো. রায়হানকে আরও জিজ্ঞাসা করেন কোনো সাক্ষী বা কোনো আসামির জবানবন্দিতে নাম না আসা সত্বেও কেন মোজাম্মেলকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলো। বিচারকের প্রত্যাকটি প্রশ্নের উত্তর নেতিবাচক ও অগ্রহণযোগ্য হওয়ায় গ্রেফতার আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত।

অন্যদিকে, মোজাম্মেল আদালতে দেওয়া তার জবানবন্দিতে জানান, যাত্রীদের কল্যাণে কাজ করার কারণেই তিনি মালিক পক্ষ ও পরিহন শ্রমিক নেতাদের চক্ষুশূলে পরিণত হন। তাই পুলিশকে ব্যবহার করে অন্যায় স্বার্থে হাসিলের লক্ষ্যে তাকে একের পর এক মামলায় জড়াচ্ছে ওই মহল।

উল্লেখ্য, দুলাল নামের একব্যক্তি ৪ সেপ্টেম্বর মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর ১১ সেপ্টেম্বর তাকে জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু বিস্ফোরক আইনেও একটি মামলা থাকায় কারাগার থেকে মুক্তি পাননি তিনি। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা এক মামলায় ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। ওই আবেদনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডও চাওয়া হয়। সেদিন বিচারক ওই আবেদনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন।

বাঙালীয়ানা/এএ/জেএইচ

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.