বেতিয়ারা মুক্তিযুদ্ধের আরেক দীপশিখা । হিলাল ফয়েজী

Comments

মহাকালকে মানুষ ফালি ফালি করে সহস্রাব্দ, শতাব্দী, বছর, মাস, দিন, ঘণ্টা, সেকেন্ডে পরিণত করেছে। সে বিচারে বিংশ শতাব্দীতে মানুষ ‘উনিশ শত একাত্তর’ পরিচয়ের একটি বছরও পেয়েছে। এই বছরটিতে বিশ্বকে বিস্মিত করে মানুষের তৈরি রাজনৈতিক মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি দেশ আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ অনেক সাধনা, রক্ত ও আত্মদানে এই দেশভূমির জন্ম দিয়েছে। অল্পসংখ্যক মানুষ এই বাংলাদেশ জন্মের বিরোধিতা করতে গিয়ে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম-নিষ্ঠুর সহযোগীতে পরিণত হয়েছে। উনিশশ’ একাত্তরের বারো মাসের অন্যতম নভেম্বর মাসের একাদশ দিবসটি এই পৃথিবীকে ‘বেতিয়ারা’ নামক একটি শব্দ উপহার দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিশাল বাহিনীর একাংশের কাছে পরম প্রিয় শব্দ এই ‘বেতিয়ারা’।

উনিশশ’ একাত্তর সালের ১১ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমরা একদল মুক্তিযোদ্ধা প্রবেশ করছিলাম মাতৃভূমি বাংলাদেশে। ভারতের আসাম রাজ্যের তেজপুরের সালনবাড়ি সামরিক প্রশিক্ষণ প্রান্তরে আমাদের সামরিক বর্ণমালা শেখানো হয়েছিল। সালনবাড়ি, ভালুকপং, অরুণাচল প্রভৃতি স্থানে আড়াই মাসের উচ্চমানের সামরিক গেরিলা যুদ্ধের কায়দা-কৌশলে আমরা সজ্জিত হয়েছিলাম। আমাদের বাহিনীর একটি রাজনৈতিক পরিচয় আছে। ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়নের মিলিত ‘বিশেষ গেরিলা বাহিনী’ হিসেবে পরিচিত ছিলাম আমরা। একটি পুঁজিবাদী দেশ বাম-কমিউনিস্টদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়- এমন ঘটনার দ্বিতীয় নজির দেখিনি। ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী ছিল এমনি বিরল ঘটনার পটভূমি। সেই রাতে আমরা যে ৬৮ জন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ভৈরবটিলা বেয়ে বাংলাদেশের বেতিয়ারা গ্রাম দিয়ে প্রবেশ করছিলাম, আমরা ছিলাম তেজপুরে প্রশিক্ষিত দ্বিতীয় ব্যাচের একাংশ। আমাদের ৬৮ জনের এই দেশপ্রবেশ বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন স্থপতি ইয়াফেস ওসমান; স্বনামধন্য লেখক শওকত ওসমানের সন্তান হিসেবে যাকে আমরা সদা বিশেষ অবস্থানে সমাসীন রেখেছি। এই ইয়াফেস ওসমান এখন বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়টির দায়িত্বভার পালন করছেন পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে।

এখানেই প্রায় অর্ধশতকের স্মৃতি-বিস্মৃতির কথা আসে। একটি ওয়েবসাইটে দেখি বেতিয়ারা যুদ্ধের অধিনায়ক হিসেবে এমন একজনের নাম, যিনি তেজপুরে বিশেষ গেরিলা বাহিনীর দ্বিতীয় ব্যাচের চারশ’ জনের প্রশিক্ষণকালীন অধিনায়ক, যিনি নিজেও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন একই সঙ্গে। তিনি প্রশিক্ষিত বাহিনীর দেশপ্রবেশের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। যেমনটা ছিলেন মোহাম্মদ ফরহাদ, চৌধুরী হারুনুর রশীদ, সাইফউদ্দিন মানিক, কমান্ডার আবদুর রউফ, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ। দ্বিতীয় ব্যাচের সামরিক প্রশিক্ষণ অধিনায়ক মনজুরুল আহসান খান কিছুকাল আগে বলেছিলেন, বেতিয়ারা যুদ্ধ ও বাহিনী নিয়ে একটি বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন তৈরি করা প্রয়োজন। ওটাকে টেনেটুনে নানাভাবে বিকৃত করে ফেলা হচ্ছে। বিকৃতির দায়ে অন্যদের আমরা অভিযুক্ত করি, অথচ নিজেদের বিষয়টুকু বিকৃত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছি- এ তো হয় না।

আমাদের ঢাকাগামী তিনটি গেরিলা গ্রুপের মুভমেন্টে অধিনায়ক ইয়াফেস ওসমান ছিলেন সামগ্রিক দায়িত্বে। খুব সকালে বাইখুড়া ক্যাম্প থেকে পাহাড়ি উঁচু-নিচু এবড়োখেবড়ো পথে ক্লান্ত হয়ে আমরা চোত্তাখোলা এসে শেষ বিকেলে নামলাম সামরিক ট্রাকে। তারপর উঁচু-নিচু জটিল পাহাড়ি পথে সন্ধ্যার অন্ধকারে কয়েক মাইল পথ হাঁটা যে কী কঠিন কষ্টকর ছিল! কেননা, পিঠে এক মণের চেয়েও বেশি বোঝা। বিস্টেম্ফারক, বুলেট প্রভৃতি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমরা ভারতীয় সীমান্তের প্রান্তে ভৈরবটিলায় এসে উঠলাম। এখানে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী বাহিনীর কয়েকজন, যাদের পিঠে প্রচারপত্র, পত্রিকা ‘নতুন বাংলা’ আর ‘মুক্তিযুদ্ধ’।

ইয়াফেস ভাইয়ের নেতৃত্বে একটি দল গেল পথনিরীক্ষা তথা ‘রেকি’ করতে। ভৈরবটিলা থেকে নেমেই ‘বেতিয়ারা’ গ্রাম। সে গ্রাম ভেদ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক, যার এক পাশ জগন্নাথদীঘিতে আর অন্যপাশে শর্শাদিতে পাকিস্তান বাহিনীর ঘাঁটি। রাতের বেলা দুটি ঘাঁটি থেকে জিপযোগে টহল দেয় ওরা। ফাঁক মেলে পঁয়তাল্লিশ মিনিট। এই সুযোগেই আমাদের পার হতে হবে সড়ক। তারপর গুণবতী। নোয়াখালী। চাঁদপুর। ঢাকা।

যে কোনো পাশ থেকে টহলজিপ এলে যেন আমরা আঘাত হানতে পারি সে জন্য দুটি ‘অ্যাসল্ট পার্টি’ আমরা মোতায়েন করেছি। এক সময় ভৈরবটিলা থেকে মুভ করার সংকেত দিলেন ইয়াফেস ভাই। মিনিট দশেকে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে চলে এসেছি। দু’পাশ থেকে কোনো জিপ টহল দিচ্ছে, এমন চিহ্ন নেই। আমরা সহজভাবে সরলপথে সড়ক পেরিয়ে কাঁচা সড়ক ধরে গুণবতীর পানে পা ফেলব। অমনি আমাদের বিস্মিত করে সেই কাঁচা পথ থেকেই যেন ফোঁস করে উঠল বিশাল গোখরো। আমরা আজ বাংলাদেশে এই পথ ধরে পেরোব- এ খবর পেয়ে গিয়েছিল হানাদার বাহিনী আগেভাগেই। আমাদের বিস্মিত করে ওরা অ্যাম্বুশ পেতেছে এমন স্থানে, যা আমরা ভুলেও কল্পনা করিনি। আমাদের দেশপ্রবেশের ব্যবস্থাপনা অংশটুকুর দায়িত্বভার ছিল মূলত ফেনীর কয়েকজন বাম নেতার ওপর। আমাদের মুভমেন্টের খবর কেমন করে ফাঁস হলো সেটা আজও জানা যায়নি।

পড়ুন
বেতিয়ারা: গান থেকে মেশিনগান

আমাদের সম্মুখে ছিল স্কাউট বাহিনী, যার নেতা ছিলেন নিজামুদ্দিন আজাদ। স্মার্ট, চৌকস, তুখোড়, যুদ্ধের জন্য ছটফট। হানাদার অ্যাম্বুশ বাহিনী ‘হল্ট’ বলে গুলি ছুড়ল। হতচকিত সবাই। জিপ নেই, টহল নেই; কোথা থেকে মিশমিশে অন্ধকারে এই হল্ট আওয়াজ এবং গুলি! বিভ্রান্ত হয়ে গেল আমাদের দু’দিকে মুখ করা দুটি অ্যাসল্ট বাহিনী। ওরা বুদ্ধি করে গুলির উৎসের দিকে এলএমজির ব্রাশফায়ার করল। এবার শত্রুও হতচকিত। গুলি চলতে থাকল। এমনি অ্যাম্বুশে আমাদের ৬৮ জনেরই প্রাণ না থাকার কথা। আমাদের অ্যাসল্ট বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের ফলে আমরা অনেকেই বেঁচে গেলাম। আমাদের ছয়জন সহযোদ্ধা অকুস্থলে প্রাণ হারালেন। আমাদের তিনজন সাথীকে হানাদার বাহিনী ধরে ফেলে ফেনীতে নিয়ে গেল। অ্যাম্বুশ বিচারে এটি অল্প ক্ষতি। এক ধরনের বিজয়। কিন্তু সামরিক পরিভাষার এই বিজয় আমাদের প্রবল ক্রন্দনে ভাসিয়ে দেয়।

আমরা হারিয়েছি কাদের? সমগ্র ষাটের দশকের অগ্নিগর্ভ উৎস থেকে নির্মিত একজন সদ্য কৃষক আন্দোলনে সমর্পিত, সোমেন চন্দ-সম প্রতিভাদীপ্ত গল্পকার, মানবমুক্তির চিরায়ত চরিত্র সিরাজুম মুনীরকে। পারিবারিক ‘বড় ভাই’। যে পরিবার মুক্তিযুদ্ধে হারিয়েছে অনেক স্বজন। সেসব মানুষের হাহাকার অনন্ত। একই সঙ্গে হারিয়েছি বিক্রমপুরের প্রতিভাময় উদীয়মান কথাশিল্পী সিরাজুম মুনীরের পাণ্ডুলিপি।

আমরা হারিয়েছি এ দেশের ছাত্র-গণআন্দোলনের এক সম্ভাবনাময় আলোকবর্তিকাকে। সাহস, দৃঢ়তা এবং জন্ম-নেতৃত্ব বৈশিষ্ট্যের এক চমৎকার জিয়নকাঠিকে। চে গুয়েভারার মতো শ্বাসকষ্ট ছিল তারও। সকালবেলায় বিশাল ময়দানের চারপাশে বার কয়েক দৌড়ে ন্যূনতম আট কিলোমিটার অতিক্রম করতে হতো আমাদের। আজাদ পড়ে গিয়েছিল বার কয়েক। তবু উঠে দাঁড়িয়েছে। দৌড় সমাপ্ত করেছে। সামরিক প্রশিক্ষণের প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করেছে প্রবল ইচ্ছাশক্তিতে।

ধীরস্থির, দৃঢ়চেতা বশীর মাস্টার। এমনিতে প্রশান্ত, ভেতরে অশান্ত বিপ্লবী। শুনেছি, ফেনীতে নিয়ে গিয়েছিল তাকেও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসি-খুশি চরিত্রের শিক্ষার্থী আওলাদ। আহা! বাইখুড়া ক্যাম্পে তার তাঁবু থেকে ভেসে আসা সুললিত কণ্ঠের গানের কলি! আর আমাদের শহীদুল্লাহ সাউদ, গোদনাইলের কিশোর, দশম শ্রেণির ছাত্র। নির্দোষ চাহনির গভীরে অতলান্ত দেশপ্রেম।

অনেকবার লিখেছি। বারবার লিখব। কেননা, মহাকালের গভীরে উৎকীর্ণ চিরকালীন গাথা ওটি। আমাদের রায়পুরায় কিষান জোয়ান জহিরুল নামের দুদু মিয়া। ছোটখাটো পেশিবহুল, সুলতানের ছবির মতোই বুঝি-বা। শত্রুর হাতে ধরা পড়ে গেলেন সম্মুখ গ্রুপের একজন হিসেবে। ওরা বলল, ‘বোলো- পাকিস্তান জিন্দাবাদ।’ দুদু মিয়া উচ্চ স্বরে বললেন- ‘জয় বাংলা’। ওরা গুলি করল। তবুও দুদু মিয়ার কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’। আবার গুলি। চরাচরভেদী কণ্ঠে দুদু মিয়ার ‘জ-য়-য়-য়-য় বাংলা’। ব্রাশফায়ার। অনিঃশেষ দুদু মিয়া। এমন যোদ্ধাকে আমাদের রাষ্ট্র আজও ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ ঘোষণা করতে পারেনি- এটা রাষ্ট্রেরই সীমাবদ্ধতা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চাঁদপুরের হাইমচরের আবদুল কাইয়ূম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। বেতিয়ারার ধানের মাঠে যিনি রক্ত ঢেলেছেন। তার গ্রামে তার নামে পাঠাগার এখনও ভূমিপুত্রের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করে চলেছে।

আমাদের আরও দু’জন সিভিলিয়ান গাইড বেতিয়ারা শহীদ আবদুল কাদের এবং মো. শফিউল্লাহর বাড়িঘর উৎসের সন্ধান মিলছিল না। খালিদ ইফতিখার, শহীদ নিজামুদ্দিন আজাদের নিহত ভ্রাতা খালিদ মহিউদ্দিনের সন্তান। খালিদ ইফতিখার দেশের বাইরে ছিল অনেককাল। গত বছর তার জননী ক্যান্সারে ভুগে মারা গেছেন। পিতা-মাতাহারা খালিদের বুকে অনন্ত হাহাকার। সকল বেতিয়ারা যোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সন্ধান করতে গিয়ে শহীদ কাদের ও শফিউল্লাহর পরিবারের উৎস সন্ধানের মূল্যবান তথ্য তার কাছে। খালিদ তার ‘কাকু’র মুখ সন্ধান করে আমাদের ভেতর। চুয়াল্লিশ বছর পর বদলে যাওয়া বাস্তবতায় খালিদ বেতিয়ারা-অমৃতের চাইতে হয়তোবা গরল দেখছে অনেক কিছু। খোদ বেতিয়ারাতে স্মৃতি কর্মসূচি নিবেদিত অঙ্গীকারের চেয়ে অনুষ্ঠান-সর্বস্বতা এবং নগদ রাজনীতির কোলাহলে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। বেতিয়ারাকেন্দ্রিক নানা অনুষ্ঠানের গভীরে নৈতিকতা বিপন্ন হচ্ছে। ব্যক্তিগত অবস্থান নানাভাবে উজ্জ্বল করতে বেতিয়ারা শহীদের রক্তে প্রসাধন নির্মিত হচ্ছে।

তবুও বেতিয়ারা শহীদেরা সম্মানিত হচ্ছেন। নানা চড়াই-উতরাইয়ের এ দেশে এটিও কম কথা নয়। সেদিন ফোন পেলাম একজন কুদ্দুস ভাইয়ের, যিনি সে রাতে এলএমজিতে শত্রুর পানে ব্রাশফায়ার করে বাঁচিয়েছিলেন সহযোদ্ধাদের। আমাকেও। যে নিবাসে আছি, কুদ্দুস ভাই সেখানে এলেন। কথা হলো। সেই গাঁয়ের কিষাণ জোয়ান, কালো বর্ণের সাহসী সপ্রাণ, কুদ্দুস ভাইয়ের মুখমণ্ডল, অবয়ব বদলে গৃহী হয়ে গেছে। তিনি এখন পিতামহ-মাতামহ; কিন্তু বেতিয়ারা আবেগে টইটম্বুর।

আমরা বেতিয়ারা সহযোদ্ধারা এখন পৃথিবীজুড়ে। কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই। কোথায় নন্তু, কোথায় ডক (সোবহান), এস.কে.এস. (সঞ্চয় কুমার সরকার), নূরুল হক। চমৎকার গান হতে পারে নবসুরে।

এই সেদিন গোদনাইলের মোশাররফ ভাই (মীর মোশাররফ হোসেন) ঢাকার উত্তরায় অন্তিম বিছানায় শয্যা পাতলেন।

মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে তবুও বেতিয়ারা চিরায়ত দীপশিখা হয়ে জ্বলবেই।

লেখক:
Hilal Fayeji
হিলাল ফয়েজী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রাক্তন যুব ইউনিয়ন নেতা, রম্যলেখক ও গবেষক

বাঙালীয়ানা/এসএল

*এই বিভাগে প্রকাশিত লেখার মতামত এবং বানানরীতি লেখকের একান্তই নিজস্ব। বাঙালীয়ানার সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাই এখানে প্রকাশিত লেখা বা লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা সংক্রান্ত আইনগত বা বানানরীতি বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় বাঙালীয়ানার নেই। – সম্পাদক

পড়ুন
বেতিয়ারা: গান থেকে মেশিনগান

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.