সাংস্কৃতিক সম্প্রীতিতে ভারতের ‘আন্তর্জাতিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরস্কার বা টেগোর অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এই পুরস্কার পাচ্ছে বাংলাদেশের এই সাংস্কৃতিক সংগঠন। ছায়ানটকে এ সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জুরি বোর্ড।
২৫ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি জুরি বোর্ড ২০১৫ সালের জন্য ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটিকে নির্বাচিত করে।
ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “ছায়ানটের এই পুরস্কার প্রাপ্তি বাংলাদেশের সকল রবীন্দ্রপ্রেমীদের জন্য একটি স্বীকৃতি।”
‘আন্তর্জাতিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরস্কার বা টেগোর অ্যাওয়ার্ড’ হলো কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে চালু করা একটি বিখ্যাত সম্মাননা। সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির মূল্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারত সরকার ২০১১ সালে পুরস্কারটির প্রবর্তন করে। পরে ২০১২ সালে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় সেতার শিল্পী রবিশংকরকে দিয়ে এ পুরস্কার শুরু করেন।
হাইকমিশন জানায়, জুরি বোর্ড ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের রবীন্দ্রচর্চার সূতিকাগার ও নেতৃস্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ ২০১৫ সালের জন্য এই বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছে। এই পুরস্কারের মূল্যমান এক কোটি রুপি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর আগে দু’জন ব্যক্তি এই সম্মাননা পেলেও ‘ছায়ানট’ প্রথম প্রতিষ্ঠান। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ছায়ানট কেবল রবীন্দ্র রচনা এবং বাঙালি সংস্কৃতি, সঙ্গীত ও সাহিত্য প্রচারের ক্ষেত্রেই নয় বরং সারা বিশ্বজুড়ে তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের সরকার সাংস্কৃতিক সম্প্রীতিতে রবীন্দ্র পুরস্কারটি চালু করে। সাংস্কৃতিক সংহতি, বিশ্বজনীনতা ও সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির মূল্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারত সরকার ২০১১ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রবর্তন করে।
এদিকে, ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ছায়ানটের রয়েছে রবীন্দ্রচর্চাসহ নানা সাংস্কৃতিক কাজের গৌরবময় ঐতিহ্য। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও ছায়ানট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।