‘ভারতের কৃষকের মতো মৃত্যুর পথ বেছে নেবে কৃষক’

Comments

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বর্তমান সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, দেশের জনসংখ্যার বৃহদাংশ কৃষকের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার যদি কার্যকর ব্যবস্থা না নেয় তাহলে কৃষক কেবল ক্ষেতেই আগুন দেবে না, ভারতের কৃষকের মতো মৃত্যুর পথ বেছে নেবে।

শনিবার, ১ জুন, জাতীয় কৃষক সমিতি ও ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানে, কৃষক-ক্ষেতমজুর কনভেনশনের সংগঠকদের উদ্দেশে সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ, মেট্রোরেল, বন্দর নির্মাণের মেগা-প্রকল্পের মতো কৃষিপণ্য গুদামজাতকরণের জন্য কৃষিক্ষেত্রেও প্রতি ইউনিয়নে সাইলো নির্মাণের মেগা-প্রকল্প এই বাজেটেই নিতে হবে। কৃষক-ক্ষেতমজুর সংগঠনের শক্তিহীনতার কারণে সব সরকারই কৃষক-ক্ষেতমজুদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে পারে। তাদের নিয়ে প্রহসন করতেও তারা কম যায় না। কামলা দেয়ার নামে ক্ষমতাসীনদের ফটোসেশন তার প্রমাণ। কৃষক ধান কাটার লোক চায় না, ধানের লাভজনক মূল্য চায়। তার বদলে মন্ত্রী, কর্তাব্যক্তিরা কামলার দাম বেশি হওয়ার আজগুবি দোষ খুঁজে পেয়েছেন।”

রাশেদ খান মেনন আরোও বলেন, রফতানির নামে চালকল মালিক ও রফতানিকারকদের প্রণোদনার নামে অর্থ দেয়ার পরিবর্তে কৃষকের পণ্য সংরক্ষণ ও বিপণনে ভর্তুকি দানই হবে যুক্তিযুক্ত।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কৃষক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক, ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রাজু, কৃষক সমিতির মোস্তফা আলমগীর রতন, দফতর সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ খান প্রমুখ।

তাছাড়া তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন যে, কৃষক-ক্ষেতমজুরকে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছেন। এই ধান কাটা ক্ষেতমজুর বছরে ছয়মাস কাজ না পেয়ে দিন কাটান। শহরে এসে রিকশা চালান, ইটের ভাটায় কাজ করে কিছু উপার্জন করে জীবন বাঁচান। কৃষককে নিয়ে এ ধরনের প্রহসনের খেলা বন্ধ করতে হবে। এসব প্রহসন বন্ধে আন্দোলন ও সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।

বাঙালীয়ানা/জেএইচ

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.