গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহরে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শহরে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যাবার পথে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহরের নবীনবাগ ও সোনাপুরে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে তাদের এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফলে তারা পায়ে হেঁটে ক্যাম্পাসে পৌঁছেছেন। পথে স্থানীয় মাস্তানরা ক্যাম্পাসে যাবার পথে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং এলাকার পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ক্ষোভ বহিষ্কারাদেশ তুলে নিয়ে এবং কয়েকটি দাবি মেনে নিলেও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য অধ্যাপক খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
অনশনের তৃতীয় দিনে শনিবার শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নোটিশ দিলেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দলে দলে ক্যাম্পাসে এসে উপস্থিত হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদ সূত্র জানিয়েছে শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, সকালে প্রায় দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী আন্দোলনে উপস্থিত ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার নুর উদ্দিন আহমেদ বাঙালীয়ানা প্রতিবেদকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশের সত্যতা স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীরা বাঙালীয়ানা প্রতিবেদককে জানান, আমরা নারী কেলেংকারীতে যুক্ত দুর্নীতিবাজ ভিসির দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছি কেননা এর আগেও তিনি এমন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানের একমাত্র উপ্য উপাচার্যের পদত্যাগ। আমরা আমাদের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
মন্তব্য করুন (Comments)
comments