ঊনসত্তরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত হয় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। দশ সদস্যবিশিষ্ট সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হওয়ার পরপরই তারা ১১ দফা দাবি প্রণয়ন করেন। এ ১১ দফায় ছাত্রদের দাবি-দাওয়া ছাড়াও ছিল জাতীয় বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কিত দাবি। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবিও এ ১১ দফার অন্তর্ভুক্ত হয়। কাজেই ১১ দফা শুধু ছাত্রদের নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির দাবিতে পরিণত হয়। আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয় সমগ্র জাতি।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন তখন বেগবান, যার ফলে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনও জোরদার হয়ে ওঠে। নেতৃত্ব তখন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের হাতে। ২০ জানুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিশাল এক মিছিল শহীদ মিনার হয়ে মেডিকেল কলেজের সামনে দিয়ে পূর্বদিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। মিছিলের সামনে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান।
পুলিশ মিছিলের ওপর গুলি চালায়। একজন পুলিশ অফিসার রিভলভার দিয়ে আসাদুজ্জামানের বুকে গুলি করেন। এ সময় আরও অনেকেই আহত হন। ছাত্ররা ধরাধরি করে আসাদকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি। সন্ধ্যায় তার জানাজা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। তার মরদেহ হাসপাতালের ভেতরেই একটি ঘরে রাখা হয়েছিল। পুলিশ রাতেই লাশটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
আসাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ২৪ জানুয়ারি সারা দেশে পূর্ণদিবস হরতাল আহ্বান করে। হরতালের আগে ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি বিভিন্ন কর্মসূচি ছিল। সে সময়ে দেখা যায়, হরতালের প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। ২৪ জানুয়ারি ঢাকায় সকাল-সন্ধ্যা সফল হরতাল পালিত হয়। সেদিনের কিছু কথা এখানে বলতে চাই।
জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হলাম, এক সময় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠনের সদস্য হলাম। ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮, দুই বছর আমি ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। এ কারণে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ছাত্রদের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। আমার বাসা গোপীবাগে।
এ এলাকার শিক্ষার্থীরা কম-বেশি ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ থেকে আমার ওপর দায়িত্ব দেওয়া হলো মতিঝিলে যেন হরতাল ভালোভাবে হয়। আমি আমার এলাকার ছাত্র-যুবকদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করলাম এবং হরতালের পক্ষে প্রচার চালাতে লাগলাম। মতিঝিল তখন বিরাট বাণিজ্যিক এলাকা এবং এখনো তাই। সেখানে তখন শতাধিক সরকারি-বেসরকারি অফিস। আমরা সব ভবন ও অফিসে গেলাম এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হরতালে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালাম। তাদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেলাম।
২৪ জানুয়ারি হরতালের দিন সকাল ৮টায় আমরা ছাত্র-যুবকরা গোপীবাগ মোড়ে সমবেত হলাম। আমাদের হাতে কিছু ফেস্টুন ও একটা ব্যানার ছিল। আমাদের সংখ্যা যখন ৪০-৫০ হলো, তখন স্লোগান দিতে দিতে উত্তরদিকে অগ্রসর হলাম। আমরা প্রথমেই গেলাম ওয়াপদা ভবনের গেটে। দেখলাম গেটে বিরাট একটা তালা ভেতরের দিক থেকে। বিরাট লোহার গেট, খুব মজবুত। কর্তৃপক্ষ ভেতর থেকে তালা দিয়েছে যাতে বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে না পারে, ভেতর থেকেও কেউ বেরোতে না পারে। আমরা গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকলাম।
ভেতরে অবরুদ্ধ কয়েকশ কর্মচারীও আমাদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে স্লোগান দিতে থাকলেন। কিন্তু গেট খোলা হলো না। গেটের বাইরে তখন আমাদের সঙ্গে কয়েকশ’ লোক যোগ দিয়েছে। এক সময় উত্তেজিত জনতা তালাবদ্ধ গেটে ধাক্কা দিতে শুরু করল। চেষ্টা করল গেটটা ভেঙে ফেলতে। ঠিক সেই সময় ওয়াপদার চেয়ারম্যান মাদানি সাহেব উপর থেকে নেমে গেটে দাঁড়ালেন। তার মধ্যে কোনো উত্তেজনা দেখলাম না।
তিনি শান্তভাবে ইংরেজিতে আমাকে প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা কী চাও?’ আমি জবাব দিলাম, ‘আজ হরতাল। গেট খুলে দিন, ওদের বাইরে আসতে দিন।’ তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে, গেট খুলে দিচ্ছি। যারা যেতে চায় বাইরে যাবে। কিন্তু তোমরা কেউ ভেতরে ঢুকবে না।’
তা-ই হলো, গেট খুলে দেওয়া হলো। ভেতর থেকে স্রোতের মতো ওয়াপদার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাইরে বেরিয়ে এলেন স্লোগান দিতে দিতে। লোকসংখ্যা তখন হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মিছিল এগিয়ে চলল উত্তরদিকে, এখন যেখানে শাপলা চত্বর, সেদিকে। রাস্তার দুপাশের সব ভবন ও অফিস থেকে তখন লোকজন দল বেঁধে নেমে আসছে, মিছিলে যোগ দিচ্ছে।
মিছিলের সামনে তখনো আমি ও আমার বন্ধুরা। শাপলা চত্বরের ওখান থেকে মিছিল আমরা বাম দিকে ঘুরিয়ে দিলাম, উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ইকবাল হলে যাব। ইকবাল হল এখন জহুরুল হক হল। ওটাই ছিল আন্দোলনের কেন্দ্র, সংগ্রাম পরিষদের নেতারা ওখানেই থাকতেন।
মতিঝিল এলাকার মাঝামাঝি আসতেই মিছিলের আকার এত বড় হয়ে গেল যে, আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল। আমি ছিলাম মিছিলের সামনে, এক সময় ছিটকে পড়লাম একপাশে। আমাদের নেতৃত্ব তখন নেই, জনতার হাতে চলে গেছে। আমরাও তো তাই চাইছিলাম-জনতা আন্দোলনে থাকুক। কেননা জনতা কখনো ভুল করে না। তখন প্রায় দুপুর হয়ে গেছে। শহরের অন্যান্য এলাকা থেকেও মিছিল যাচ্ছে ইকবাল হলের দিকে। মিছিলগুলোর প্রধান স্লোগান ছিল-‘আইয়ুব শাহী ধ্বংস হোক।’
আমাদের মতিঝিল এলাকার মিছিলটিই ছিল সবচেয়ে বড়। এর একটি অংশ জিপিওর সামনে দিয়ে সচিবালয়ের রাস্তায় অগ্রসর হতে থাকে। মিছিলের লক্ষ্য কিন্তু সচিবালয় ছিল না, তারা ওই রাস্তা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ও ইপিআর বাধা দিলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। গুলি চালানো হয় মিছিলে। সেখানেই স্কুলছাত্র মতিউর রহমান মল্লিকের বুকে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বিক্ষুব্ধ জনতা মতিউরের মরদেহ নিয়ে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ইকবাল হলের মাঠে গিয়ে পৌঁছায়। বিরাট মাঠটি তখন লাখো জনতায় পরিপূর্ণ। সেখানে একটা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল আগেই। কথা ছিল জনসভা হবে। সেই মঞ্চেই মতিউরের মরদেহ রাখা হলো। মঞ্চে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারাও ছিলেন। এক সময় মতিউরের বাবা আজাহার আলি মল্লিকও মঞ্চে এলেন।
পনেরো বছর বয়সি মতিউর রহমান মল্লিক ছিল বকশীবাজারের নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা আজাহার আলি মল্লিক ছিলেন তৎকালীন ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্মচারী। সেই সূত্রে তিনি মতিঝিলের ন্যাশনাল ব্যাংক কলোনিতে (পরে সোনালী ব্যাংক কলোনি) একটা বাসা পেয়েছিলেন। মতিউর ওই ব্যাংক কলোনির বাসায় থেকেই স্কুলে পড়াশোনা করত।
সোনালী ব্যাংক কলোনি গোপীবাগ এলাকার মধ্যে পড়ে। কলোনিতে আমার কয়েকজন বন্ধুও থাকতেন। সে কারণে সেখানে আমার যাতায়াত ছিল। মতিউরকে আমি সেখানে দেখেছি। পাতলা ছিপছিপে, সুন্দর ফর্সা চেহারা। এ শান্ত ছেলেটিই যে এত সাহসী তা আগে বুঝতে পারিনি। সে মিছিলের শুরু থেকেই আমাদের সঙ্গে ছিল। শেষ পর্যন্ত সচিবালয়ের কাছে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিল, শহীদ হলো।
ইকবাল হলের মাঠে যখন মতিউরের লাশ আনা হলো, তখন মাঠে লক্ষাধিক জনতা। উত্তেজনা তখন চরমে, স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত মাঠ। ছাত্রনেতারা মাইকে বক্তব্য দিচ্ছেন, জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। মতিউরের বাবা আজাহার আলি মল্লিককে মঞ্চে এনে জনতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো। লম্বা ছিপছিপে মানুষটি শোকে স্তব্ধ হয়ে আছেন। তাকে কিছু বলতে বলা হলো। তিনি বললেন, ‘আমি আমার সন্তান মতিউরকে হারিয়েছি; কিন্তু তার বদলে লক্ষ মতিউরকে পেয়েছি।’
জনসভা শেষে মতিউরের মরদেহ নিয়ে মিছিল বের হলো। মিছিলে উত্তেজিত জনতা, সারা শহরে উত্তেজনা। মিছিলের একটি অংশ মতিউরের মরদেহ নিয়ে সোনালী ব্যাংক কলোনিতে পৌঁছাল সন্ধ্যা নাগাদ। সেখানেও অনেক মানুষের ভিড়। বিকালের দিক থেকেই উত্তেজিত জনতা বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও মুসলিম লীগ নেতাদের বাড়িতে আক্রমণ চালাতে লাগল। সে সময়ের সরকারি পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তান ও মর্নিং নিউজ অফিস ভবনে আগুন দেওয়া হয়।
সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় পশ্চিম প্রান্তে একজন মন্ত্রীর বাসা ছিল, সেটাতেও আগুন লাগানো হয়। পুরানা পল্টনে মর্নিং নিউজ অফিসের বিপরীত দিকে ছিল মুসলিম লীগ নেতা লস্করের বাসভবন। সেই বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। শাহবাগে মুসলিম লীগ নেতা খাজা হাসান আসকারির বাড়িও আক্রান্ত হয়। ঢাকা শহরের অন্যান্য স্থানেও মুসলিম লীগ অফিস ও নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়, আগুন দেওয়া হয়। এমনই পরিস্থিতিতে সারা শহরে কারফিউ জারি করে সরকার। পাশাপাশি সেনাবাহিনী নামানো হয়।
আমরা সন্ধ্যায় সোনালী ব্যাংক কলোনিতে জড়ো হলাম। মতিউরের মরদেহ তখন ওখানে। আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম, কখন আবার পুলিশ-মিলিটারি এসে মরদেহ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। সিদ্ধান্ত হলো পুলিশ-মিলিটারি আসার আগেই মরদেহ দাফন করতে হবে, দেরি করা যাবে না। সেখানে সে সময়ে কোনো রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা কেন্দ্রীয় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কোনো সদস্য উপস্থিত থাকতে পারেননি কারফিউর কারণে।
আমরা স্থানীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও পাড়ার মুরব্বিরা মতিউরের বাবা আজহার আলি মল্লিকের সঙ্গে কথা বললাম। ঠিক হলো মতিউরের মরদেহ গোপীবাগ কবরস্থানে রাতেই দাফন করা হবে। মরদেহ গোসল করানো হলো, কাফনের কাপড় পরানো হলো, জানাজা হলো কলোনির মাঠেই। বাইরে রাস্তায় পুলিশ-ইপিআর-মিলিটারি টহল দিচ্ছে, গুলির শব্দও পাওয়া যাচ্ছে।
গোপীবাগের কবরস্থান রামকৃষ্ণ মিশন রোডের পাশে একটি গলির ভেতরে। কবরস্থানটি রামকৃষ্ণ মিশন মঠের পূর্বদিকে। মরদেহ রাস্তা দিয়ে নেওয়া যাবে না, সেখানে পুলিশ-মিলিটারি থাকার আশঙ্কা। আমরা মতিউরের মরদেহ নিয়ে কলোনির দক্ষিণ দিকের একটি বাড়িতে পেছন দিক দিয়ে ঢুকলাম। বাড়ির মালিক-বাসিন্দারা আমাদের সাহায্য করলেন। কবরস্থানের গলিতে ঢুকতে হলে মিশন রোড অতিক্রম করতে হবে। রাস্তায় সে সময়ে পুলিশের টহল চলছে। আমরা অপেক্ষা করলাম।
এক সময় পুলিশের টহল থামলে আমরা দ্রুত রাস্তা অতিক্রম করে কবরস্থানের গলিতে ঢুকে পড়লাম। কবরস্থানের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মরদেহ দাফন করা হলো। একটু নিশ্চিন্ত হলাম। আসাদের মরদেহ ছিনতাই হয়ে গেছে, মতিউরের মরদেহ ছিনতাই হতে দিলাম না। মতিউরকে দাফনের পর সবার সঙ্গে আমিও কবরে তিনবার মাটি দিলাম। বুকের মধ্যে শুধু শোকের যন্ত্রণা। শোককে শক্তিতে পরিণত করতে পেরেছি।
দুঃখের বিষয়, মতিউরের কবর আমরা সংরক্ষণ করতে পারিনি। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর তার কবরের ওপর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ তিনজনকে কবর দেওয়া হয়েছে। মতিউরের কবর সংরক্ষিত না হলেও তার স্মৃতি আমাদের মনে সংরক্ষিত আছে।
বর্তমান সরকার ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আসাদুজ্জামান ও শহীদ মতিউর রহমান মল্লিককে ২০১৮ সালের স্বাধীনতা পদক দিয়ে সম্মানিত করেছে। এতে আমরা সন্তুষ্ট ও কৃতজ্ঞ। শহীদ হওয়ার প্রায় ৫০ বছর পর তারা তাদের যোগ্য সম্মান পেয়েছেন। আমরা আশা করবো, বাংলাদেশের গণআন্দোলনের সব শহীদই সম্মানিত হবেন।
লেখক:
চপল বাশার, সাংবাদিক, সাবেক ছাত্রনেতা
সৌজন্য: দৈনিক যুগান্তর
বাঙালীয়ানা/এসএল
*প্রকাশিত এ লেখার তথ্য, মতামত, ভাষা ও বানানরীতি লেখকের একান্তই নিজস্ব। বাঙালীয়ানার সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাই প্রকাশিত এ লেখা বা লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা সংক্রান্ত আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় বাঙালীয়ানার নেই। – সম্পাদক
অগ্নিঝরা একাত্তরের দিনগুলো, পড়ুন
ডিসেম্বর ১৯৭১
নভেম্বর ১৯৭১
অক্টোবর ১৯৭১
সেপ্টেম্বর ১৯৭১
আগস্ট ১৯৭১
জুলাই ১৯৭১
জুন ১৯৭১
মে ১৯৭১
এপ্রিল ১৯৭১
মার্চ ১৯৭১