চলে গেলেন বরেণ্য নাট্যকার, অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমেদ। রোববার, ২ জুন, ২০১৯, বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
১৬ মে, ২০১৯ থেকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাখা হয়েছিল নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ)। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি।
মমতাজউদদীনের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
গোলাম কুদ্দুস জানান, সোমবার, ৩ জুন, ২০১৯, সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঢাকায় শেষ দফা জানাজা শেষে মমতাজউদদীন আহমদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে। সেখানে বাবা-মায়ের করবের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
পারিবারিক সূত্র জানা যায় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার জন্যে মরদেহ নেওয়ার ব্যাপারে মমতাজউদদীনের অনীহা ছিল।
অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ একজন ভাষাসৈনিক। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম এই পথিকৃৎ ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত হন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি কলেজে ৩২ বছর বাংলা ভাষা সাহিত্য এবং বাংলা ও ইউরোপীয় নাট্য বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৭-৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।দেশের অন্যতম নাট্যদল থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
মমতাজউদদীন আহমদ মমতাজউদদীন ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বাঙালীয়ানা/এসএল