বাষট্টিতে জাকার্তা এশিয়ান গেমসের সোনাজয়ী দলের হয়ে সে ব্লেজার পরেই শেষ যাত্রে করেন প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের প্রিয় পিকে ব্যানার্জী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, দুই মেয়ে পলা ও পিক্সিসহ অসংখ্য সাথী ও ভক্ত।
৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ থেকে দক্ষিণ কোলকাতার বাইপাস এলাকার একটি হাসপাতালে ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৩ বছরের পিকে ব্যানার্জী নামে অধিক খ্যাত প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থা কখনও ভাল তো কখনও মন্দ। ২ মার্চ ২০২০ বিকেল থেকে শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় ভারতের স্বনামখ্যাত ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিতে বাধ্য হয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একটি প্যানেল তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। লাইফ সাপোর্ট পাওয়ার পর পিকে সেই চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন বলেও জানানো হয়েছে।
ফুটবলার জীবনে বড় ক্লাবের হয়ে কোনওদিন খেলেননি তিনি। ইস্টার্ন রেলের হয়ে খেলতেন। ১৯৫৮ সালে কলকাতা লিগ জিতেছিল ইস্টার্ন রেল। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন পিকে। ক্লাব পর্যায়ে যেমন সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি, ভারতের জাতীয় দলের জার্সিতেও তিনি দারুণ সফল।
১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন পিকে। সেবার তারই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-২ গোলে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিক্সে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তার গোলেই সমতা ফিরিয়েছিল ভারত। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ সালের এশিয়ান গেমসে ভারতের জার্সি পরে খেলেছিলেন পদ্মশ্রী পিকে ব্যানার্জী।
১৯৬২ সালের জার্কার্তা এশিয়ান গেমসে ভারত সোনা জিতেছিল। কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত মারডেকা কাপে ভারতের হয়ে তিনবার প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০০৪ সালে তাকে অর্ডার অফ মেরিট প্রদান করে ফিফা।
বাঙালীয়ানা/এসএল