মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে নানারকম বিভ্রান্তি আছে বাংলাদেশ তথা ভারতের এখনকার মানুষদের মধ্যে। বর্তমান কালের মাদ্রাসার দিকে তাকিয়ে আগের দিনের মাদ্রাসাকে চেনা যাবে না। মাদ্রাসা কথাটার মানে হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসা শিক্ষা আরম্ভ হয় মুসলমানদের হাত ধরে। ইসলামি দুনিয়ায় একদা বহু মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত হয়েছে মহিলাদের দ্বারা। মনে করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটা এসেছে মুসলমানদের মাদ্রাসার শিক্ষাকে ঘিরে। মুসলমানরা প্রথম দিকে চিন্তাচেতনায় অনেক বেশি উদার ছিল। বিশ্বের জ্ঞান ভাণ্ডার থেকে গ্রহণ করতে কার্পণ্য করেনি।
বিশ্বের বিরাট এলাকা জুড়ে ছিল মুসলমানদের শাসন। মুসলমানরা তখন অন্য ধর্মের প্রতি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সহনশীল ছিল। মুসলমানরা খ্রিস্টানদের অত্যাচারের হাত থেকে বারবার রক্ষা করেছিল ইহুদিদের, সেটা ইতিহাস। মুসলিম জগতে প্রথম এতটা বিলাস বৈভবের জায়গা ছিল না। ফলে তারা একের পর এক সাফল্য পেয়েছে। পরে তারা হয়ে দাঁড়াল ভয়াবহ কূপমণ্ডুক আর ভোগবিলাসী। নিজেদের মধ্যেই ক্ষমতার দ্বন্দ্বে নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। নিজনিজ পক্ষে অনেকেই দাঁড় করালো কট্টর সব মতবাদ। দিনে দিনে নানা ঘটনার ভিতর দিয়ে তা আরো কট্টর আর জঙ্গি চরিত্র লাভ করলো।
মুসলমানদের জঙ্গী হয়ে উঠবার জন্য অনেক বেশি দায়ী পাশ্চাত্যের দখলদার শাসকবর্গের নোংরা আর হিংসাত্মক কূটনীতি আর মুসলমানদের এক পক্ষের চরম গোড়ামি। ফলে মুসলমানদের মাদ্রাসা শিক্ষার উপর তার প্রভাব পড়ে আর সে শিক্ষা ব্যবস্থা রক্ষণশীল হয়ে দেখা দেয় সারা বিশ্বে। ফলে গত চারশো বছর ধরে জ্ঞানবিজ্ঞানে বা নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের মুসলমানদের অবদান নাই বললেই চলে। মুসলমানরা অন্যদের আবিষ্কৃত প্রযুক্তি আর জ্ঞান বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল হয়ে আছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা ভারতে তুর্কি শাসনে আরম্ভ হয়, মুঘল শাসনে আরো বিকশিত হয়। পাশ্চাত্যের শিক্ষা বা ভারতের পূর্বের বেদ কেন্দ্রিক শিক্ষার চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা ছিল তখন অনেক আধুনিক শিক্ষা। পাশ্চাত্যের শিক্ষা তখন ছিল চার্চকে ঘিরে বাইবেল নির্ভর। খ্রিস্টধর্ম প্রথমে ছিল উদার ধর্ম, অনেকটাই বিপ্লবী। দাসরা তাই শুরুতে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে। যখন রোমান সম্রাট কন্সটানটাইন খ্রিস্টান ধর্মকে সাম্রাজ্যের সরকারি ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তারপর তা হয়ে দাঁড়াল চার্চের নিয়ন্ত্রিত অত্যাচারের ধর্ম। বাইবেলের বিশ্বাসের বাইরে তখন চার্চ নিয়ন্ত্রিত বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার সামান্য সুযোগ ছিল না। প্রায় সাত আটশো বছর চলেছে এমনটা। সেজন্য পাশ্চাত্যের সে যুগটাকে বলা হয় “অন্ধকার যুগ”। পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত পাশ্চাত্যের “বিশ্ববিদ্যালয়” শিক্ষা নামক প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল সম্পূর্ণ চার্চের অধীন। মনে থাকবে অনেকের, সে যুগে ব্রুনোসহ অনেককে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল চার্চের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানচর্চা করা হয়েছিল বলে। গ্যালিলাই গ্যালিলিকে বিজ্ঞানচর্চার অপরাধে কারাগারের ভিতরে বন্দী অবস্থায় মরতে হয়েছিল। চার্চের নিয়ন্ত্রণ থেকে শিক্ষাকে মুক্ত করার জন্য ফরাসী বিপ্লবের পর সেদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ করে দেয়া হয়। সর্বস্তরে নতুন ধরনের প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়। জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার অপরাধে ভারতের মাদ্রাসায় এমন পুড়িয়ে মারার ঘটনা কি আছে? তার আগে কিন্তু আছে, চার্বাকরা বেদ বিরোধী নতুন কথা বলার জন্য তাদের রক্তাক্ত করা হয় ব্রাহ্মণদের দ্বারা বহু চার্বাকপন্থীকে মেরে ফেলা হয়। চার্বাক দর্শনের সব গ্রন্থ নিশ্চিহ্ন করা হয়। ফলে মুসলিম শাসনের সবটাই খারাপ বা তাদের ইতিবাচক কিছু নেই এমনটা ভাবার কারণ নেই। ভারতে যথেষ্ট ইতিবাচক অবদান আছে তাদের।
মাদ্রাসার আগে ভারতের শিক্ষা ছিল বেদকে ঘিরে ধর্মীয় শিক্ষা। মূলত মানব জন্মের উদ্দেশ্য, ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির রহস্য, মৃত্যুর পরের জীবন, পুনর্জন্ম এসব নিয়ে ভাববাদী কথাবার্তা ছিল মূখ্য ব্যাপার। আর এসব পারলৌকিক চিন্তার সীমা পরিসীমা ছিল না। ফলে চল্লিশ পঞ্চাশ বছরেও অনেকের এসব নিয়ে তর্কের বা শিক্ষা সমাপ্ত হতো না। আর মুখস্থ করতে হতো সম্পূর্ণ বেদ। শূদ্র আর নারীদের আবার এ শিক্ষা গ্রহণের অধিকার ছিল না। বেদ শিখার জন্য শিক্ষার্থীদের পুঁথি বা পুস্তক দেয়া হতো না। গুরু বলতেন শিক্ষার্থীরা শুনে শুনে তা মুখস্ত রাখতেন। নির্দিষ্ট সুরে বা নিয়মে পাঠ করা হতো, যাতে কয়েকবার শুনে তা মস্তিস্কে গেথে রাখা যায়; ঠিক কুরান মুখস্ত করার মতো। বিশেষ নিয়মে শুদ্ধ এবং স্পষ্ট উচ্চারণে এই বেদ বারবার পাঠ করা থেকে আবৃত্তি কথাটার উৎপত্তি। ফলে আবৃত্তি কথাটা এসেছে বেদ পাঠ থেকে। যথা নিয়মে বেদ পাঠ করতে হবে। কাজটা খুব সহজ ছিল না, বিশেষ করে অতো বড় বেদ সম্পূর্ণ মুখস্ত রাখা। ফলে তার জন্য ভিন্ন ধরনের শিক্ষাপদ্ধতি আবিষ্কার করতে হয়েছিল.
মাদ্রাসা শিক্ষার আগে ছিল মক্তব বা কুত্তব। মুসলমান শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য অষ্টম-নবম শতকে এর সৃষ্টি আব্বাসীদের শাসনে। মক্তব মসজিদের ভিতরেই বা মসজিদ সংলগ্ন ছিল। মুসলমান শিশুর হাতে খড়ি বা প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাটি ছিল পুরোপুরি ধর্মীয়। ইবনে সিনা এগারো শতকে মক্তব শিক্ষা নিয়ে লেখেন। তিনি শিশুদের ঘরে বসে একা পড়ার চেয়ে প্রতিষ্ঠানে এসে পড়ার উপর জোর দেন। বলেন তাহলে তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার সুযোগ সৃষ্টি হবে, মতবিনিময় করতে পারবে। সিনা একটা পাঠক্রম তৈরি করে দেন, প্রাথমিক শিক্ষা সময়কাল নির্ধারণ করেন ৬-১৪ বছর । শিশু এ সময় ধর্মীয় আবার ধর্মনিরপেক্ষ ব্যকরণ, ভাষা ইত্যাদি শিখবে। পরের স্তর মাধ্যমিক শিক্ষার সময়কাল। সেখানে শিখবে সাহিত্য, ওষুধবিজ্ঞান, জ্যামিতি, ব্যবসা ও বাণিজ্য, কারিগরি বিদ্যা বা নিজের করে খাবার জন্য অন্য যে কোনো শিক্ষা। সবশেষে তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার কথা। আগের সব শিক্ষার উপর তিনি স্থান দেন উচ্চশিক্ষাকে আর সেটাই মাদ্রাসা শিক্ষা। তিনি বলেছিলেন মাদ্রাসায় শিখবে ধর্মীয় বিজ্ঞান, দর্শন। ধীরে ধীরে সেখানে অন্তর্ভুক্ত হয় ধর্মনিরপেক্ষ বিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা, গণিত, দর্শন ইত্যাদি। কিছু মাদ্রাসা তাদের পাঠক্রমে যুক্ত করে ইতিহাস, রাজনীতি, নীতিবিজ্ঞান, সঙ্গীত, অধিবিদ্যা, ওষুধবিজ্ঞান বা চিকিৎসাবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, রসায়ন ইত্যাদি। মাদ্রাসায় ধর্মবিজ্ঞান আর বাস্তবসম্মত বিজ্ঞান দু’ই থাকতো। সব মাদ্রাসার পাঠক্রম একরকম ছিল না, তা নির্ভর করতো প্রতিষ্ঠাতাদের চিন্তাচেতনার উপর।
যখন পাশ্চাত্যের শিক্ষার হার ছিল মাত্র পাঁচ শতাংশ তখন হাজার হাজার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছিল মুসলমান শাসিত অঞ্চলে। বারো শতকে অনেক মাদ্রাসা স্থাপিত হয় দামাস্কাস, বাগদাদ এবং মশুলে। দামাস্কাসে সম্পূর্ণভাবে শুধুমাত্র চিকিৎসাবিজ্ঞান শিখার জন্য মাদ্রাসা ছিল। মিশরসহ আরো নানা জায়গায় ছিল অসংখ্য মাদ্রাসা। দশম ও এগারো শতকে মিশরে ৭৫টি, দামাস্কাসে ৫১টি, আলেপ্পোতে ৪৪টি মাদ্রাসা ছিল। দামাস্কাস এর মাদ্রাসাগুলির বেশির ভাগ চিকিৎসাবিজ্ঞান সম্পর্কিত। পরে চীন, মঙ্গোলীয়া, মালয় এবং ভারতে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। অক্সফোর্ড সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ এর চল্লিশ খণ্ডের এক গবেষণায় দেখা যায়, চৌদ্দ শতকে আট হাজার মুসলিম মহিলা শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। বিশেষ করে আব্বাসী খলিফাদের সময়ে বিদেশী এবং রূপসী বহু মুসলিম নারীর সন্ধান মেলে। বলা হয়েছে তারা একই সঙ্গে সৌন্দর্য আর মগজের জন্য আলোচিত ছিলেন। খুব ছোটবেলা থেকে তারা নৃত্য, সঙ্গীত আর কবিতায় পারদর্শী হতেন। মাহবুব ছিলেন তাদের একজন। আর এক বিখ্যাত নারী তাওয়াদুদ ছিলেন ক্রীতদাস কন্যা। হারুন অর রশীদ সময় তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞান, ওষুধবিজ্ঞান, আইন, দর্শন, সঙ্গীত, ইতিহাস, আরবী ব্যকরণ, সাহিত্য, ধর্মতত্ত্ব ও দাবা খেলার জন্য বহুল পরিচিতি পান। বারো শতকের বাগদাদে এমন আলোচিত আর এক পণ্ডিত রমণী ছিলেন সূহদা। সাধারণত ধনী বা শিক্ষিত পরিবারের নারীরা এমন সুযোগ পেতেন। মহিলারা তখন প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে পুরুষদের সঙ্গে একত্রে লেখাপড়া শিখতে পারতেন না। কিন্তু ভিন্ন ভাবে তাদের জন্য সে ব্যবস্থা করা হতো। নারীদের জন্য শিক্ষা গ্রহণ আইনত নিষিদ্ধ ছিল না।
ভারতে মাদ্রাসা শিক্ষার আরম্ভ প্রধানত তুর্কী শাসনে। মাদ্রাসা শিক্ষা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। ধর্মীয় শিক্ষার বাইরে সেখানে সাহিত্য, ভূগোল, ইতিহাস, গণিত, জ্যামিতি, চিকিৎসাশাস্ত্রসহ নানা বিষয়ে পড়ানো হতো। প্রাচীন গ্রিসের জ্ঞান বিজ্ঞানের বহু কিছু মাদ্রাসা গ্রহণ করেছিল। মাদ্রাসার প্রথম শিক্ষার বাহন ছিল আরবী ও ফারসী। হিন্দুরা মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণ আরম্ভ করলে সম্রাট আকবর মাদ্রাসা শিক্ষায় সংস্কৃত ভাষা অন্তর্ভুক্ত করেন। হিন্দুরা তখন মাদ্রাসার শিক্ষা গ্রহণ করে সরকারের বড় বড় পদ লাভ করতেন নিজ যোগ্যতায়। মুঘল পরিবারের নারী পুরুষ সকলেই বিদ্যাশিক্ষা লাভ করতেন। মুঘল শাহজাদা বা শাহজাদীরা অনেকেই কবিতা লিখতেন বা সাহিত্য চর্চার করতেন। সকলের ধ্রুপদী সঙ্গীতের উপর ছিল অসাধারণ দক্ষতা। মহাভারত, রামায়ণ বা গীতা সম্পর্কে ধারণা রাখতেন। তারা নিজে সেগুলি অনুবাদ করতে আরম্ভ করেছিলেন। নিজধর্ম পালনের পাশাপাশি তারা হিন্দুধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান রাখতেন। হিন্দু রমণীদের পূজা পালনের জন্য আলাদা স্থান থাকতো মুঘল রাজপ্রাসাদে। মাদ্রাসা শিক্ষা তখন অন্য ধর্মকে হেয় করে দেখতো এমন নজির নেই। ব্রিটিশ শাসনে ওয়ারেন হেসটিংস কলকাতায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা করেন সরকারি কর্মচারীদের ফারসী ভাষায় দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য। কারণ তখনো এবং পরের আরো সত্তর বছরের বেশি সময় ভারতের দাপ্তরিক ভাষা ছিল ফারসী। বলতে গেলে ১৮৩৫ সাল পর্যন্ত।
সত্যি বলতে আজকের মাদ্রাসা শিক্ষা আর আগের মতো নেই। আজকের মাদ্রাসার শিক্ষা ক্ষয়িষ্ণু শিক্ষা, অতীতের মাদ্রাসার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। মাদ্রাসা শিক্ষা এখন ভয়াবহ এক শিক্ষার নাম। মাদ্রাসা এখন চরমভাবে নারী শিক্ষার বিরোধী। কারণ এখনকার মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্তরা জানেই না, মাদ্রাসা শিক্ষা আসলে কী। অতীতে নারীদের দ্বারা বহু মাদ্রাসা পরিচালিত হয়েছে। দামাস্কাসে ছাব্বিশটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নারী। সেগুলি ছিল ওয়াক্ফ বা ট্রাস্ট। রাজকীয় পরিবারের বহু নারীরা এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। প্রথম যে মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়টি তার প্রতিষ্ঠাতা একজন নারী। তার নাম ফাতিমা আল ফিহরি, তিনি ছিলেন ধনী ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আল বিক্রির কন্যা। ৮৫৯ সালে মরোক্কোতে এটা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরা হলো ফাতিমিদ বংশের লোক। এ বংশের মানুষরা পরে মিশরের বিখ্যাত আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। নারীদের হাতে প্রথম মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা আর বর্তমান কালে বাংলাদেশের মাদ্রাসা নারীর অগ্রগতিকে আটকে বা তাদের বন্দী করে রাখতে চায়। অথচ নবীজীর প্রথম স্ত্রী ছিলেন তৎকালের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের একজন। ভারতে আগের মাদ্রাসা শিক্ষা ছিল সে যুগের তুলনায় খুবই আধুনিক। বাংলার রামমোহন রায় তৎকালে মাদ্রাসার পড়াশুনা করেছেন। তার রচিত প্রথম গ্রন্থটি আরবি আর ফারসী ভাষায় লেখা।
লেখক পরিচিতি:
রাহমান চৌধুরী, লেখক, শিল্প সমালোচক