মালয়েশিয়ার নেগ্রি সেমবিলান এলাকা থেকে ৬৫ জন বাংলাদেশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির অভিবাসন অধিদপ্তর। স্থানীয় সময় বুধবার গণমাধ্যমকে এই তথ্য দেন অভিবাসন দপ্তরের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুসতাফর আলি।
মালয়েশিয়ার একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নেগ্রি সেমবিলান রাজ্যের বান্ডার বারু নিলাই এলাকা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে প্রায় ৩৭৭টি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশী। তবে এখন পর্যন্ত উদ্ধারকৃত ৬৫ বাংলাদেশীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে এরা সবাই মানব পাচারের শিকার।
বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখে সাংবাদিকদের কাছে দাতুক সেরি মুসতাফর আলি জানান, মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী সরবরাহ করে থাকে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের ডরমিটরি থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব শ্রমিক ওই কোম্পানিটির ধোঁকাবাজির শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। এদের তিন থেকে পাঁচ মাস কোনো বেতন দেওয়া হয়নি। উল্টো ধার হিসেবে তিনশ থেকে পাঁচশ রিঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের দুই পরিচালককে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটককৃতদের নাম তদন্তের স্বার্থে উল্লেখ করেননি মুসতাফর আলি।
বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। যেগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির স্বাক্ষরিত চুক্তির কপিও রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৬১টি নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দ্য স্টার-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ আগস্টের মধ্যে পাঁচ হাজার নয়শ ৫৯ জন বাংলাদেশীকে আটক করা হয়।
দেশটির কোটা কিনাবালু অঞ্চলে অবৈধ অধিবাসী আটক অভিযানের বরাত দিয়ে মুস্তাফার বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের কাজ ও আশ্রয় দেয়ায় গত ৩ আগস্ট এক হাজারের বেশি নিয়োগদাতাকেও আটক করা হয়েছে।
বাঙালীয়ানা/এজে