প্রথম টেস্টে ভয়াবহ পরাজয় এরপর ২য় টেস্টে বাংলাদেশকে ঘুরে দাড়াতেই হতো। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার লিটন-কায়েস বা মিথুন কারো ব্যাটেই ছিলো না প্রতিরোধ। ওপেনিং এ লিটন এবং ইমরুলের প্রথম ম্যাচের মতোই অসহায় আত্মসমর্পণ করে জিম্বাবুইয়ান পেসারদের কাছে। মোঃ মিথুন সবচেয়ে বেশী প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে অভিষিক্ত বাংলাদেশী খেলোয়াড়। ৩৫ এর উপর গড় নিয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিয়মিত রান করা মিথুন যেভাবে আউট হলেন তাতে প্রশ্ন উঠতেই পারে ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা আদো কতটুকু কার্যকর?
২৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর আগের ম্যাচের মতোই পরিণতি যখন সবাই ধরেই নিয়েছিল, সেখান থেকেই মমিনুল আর মুশফিকের প্রতিরোধের গল্পটা শুরু। গতম্যাচেই বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের যেখানে বল না ছাড়তে পারার দুর্বলতা ছিল সেখানেই ভালো করে প্রতিরোধ করলেন মুশফিক আর মমিনুল। ভালো বলকে যথাযথ সম্মান এবং খারাপ বলে রান বের করে নেয়া, এটাই ছিল মুশফিক আর মমিনুলের জুটির মূলমন্ত্র।
সেই জুটি থেকে মুমিনুল প্রথম দিনেই তুলেছিলেন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। ১৬১ রানের এক দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে প্রমাণ দিলেন রান খরায় আর নেই তিনি। দিন শেষ করার আগে মুশফিকও তুলে নিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। যা ছিল মুশফিকের ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক টেস্ট শতক।
আগের দিন অপরাজিত ছিলেন ১০১ রানে। সাথে ছিলেন দলের আপৎকালীন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
দ্বিতীয় দিনে শুরুটা খুব দেখে শুনেই করলেন দুই কাণ্ডারি। মাহমুদুল্লাহ বেশ ভালো শুরু করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ১১০ বল মোকাবিলা করে করেছেন ৩৬ রান। এরপর আরিফুল হক ৪ রান করে বিদায় নিলে নামেন মিরাজ। মুশফিককে বেশ ভালো সঙ্গ দিয়ে তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। অপরাজিত আছেন ৬০ রানে।
আর মুশফিক আগের দিনের অপরাজিত ১০১ টেনে এনেছেন ২০৯ রানে। এটা তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম উইকেট কিপার হিসেবে এই মাইলফলক ছুলেন মুশফিক। এর আগে বাংলাদেশের পক্ষে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান ডাবল শতক করার কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
শেষ খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ ৫২২ রানে, ৭ উইকেট হারিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে। ক্রিজে ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান। এত বড় স্কোরের সামনে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে খুইয়েছে অধিনায়ক মাসাকাদজাকে। তাইজুলের বলে স্লিপে দাঁড়ানো মিরাজকে ক্যাচ নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন তিনি। তাতেই ক্যাচ তালুবন্দী করে দিনটা পুরোই বাংলাদেশের করে নিলেন মিরাজ।
বাঙালীয়ানা/জেএইচ