মে দিবস: শিকল ভাঙ্গার গান

Comments

“মে দিবস” নামেই পরিচিত বছরের ১ মে দিনটি। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। রক্তঝরা সংগ্রামের পথ পেরিয়ে এই দিনটি সারা বিশ্বের শ্রমিকের কাছে এক গৌরবময় দিন। শ্রমিকদের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটার স্বপ্ন দেখার দিন। বিশ্বজুড়ে শ্রমজীবী মানুষের অনুপ্রেরণার দিন।

১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের কথা, বিশ্বের প্রায় প্রত্যেক দেশের শ্রমিককে অসহনীয় পরিবেশে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা বাধ্যতামূলকভাবেই কাজ করতে হতো। সপ্তাহজুড়ে কাজ করে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য একেবারে ভেঙে যাচ্ছিল। শ্রমজীবী শিশুরা হয়ে পড়ছিল কঙ্কালসার। তখন দাবি উঠেছিল, কল-কারখানায় শ্রমিকের গোটা জীবন কিনে নেয়া যাবে না।

১৮৮৬ সালের ১ মে, শিকাগোর শ্রম আইন সংস্কারপন্থী, সমাজতন্ত্রী, ইউনিয়নকর্মী সাধারণ শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে দৈনিক আট কর্মঘন্টার দাবীতে সমাবেশ ও মিছিল করে।

২৫ এপ্রিল থেকে ৪ মে এর মধ্যে, শ্রমিকরা কমপক্ষে ১৯ বার রাস্তায় অসংখ্য সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নেয়। শনিবার, ১ মে, ৩৫ হাজার শ্রমিক তাদের কর্মস্থল ছেড়ে আন্দোলনে যোগ দেয়। ৩ এবং ৪ মে আরও ১০ হাজার দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিক যোগ দেয় আন্দোলনে। বিভিন্ন কারখানা ঘুরে ঘুরে সহকর্মীদের ধর্মঘট করার আহ্বান জানাতে থাকে।

পুলিশের সাথে ধর্মঘটি শ্রমিকদের অন্তত ১২ বার সংঘর্ষ হয়। তিনটি জায়গায় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

শিকাগোর তৎকালীন বিখ্যাত কৃষিযন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী কারখানা ‘ম্যাককরমিক রিপার প্ল্যান্ট’ –এ ৩ মে পুলিশ ধর্মঘটি শ্রমিকদের উপর গুলি চালায়, এতে কমপক্ষে দুজন শ্রমিক নিহত হয়। আন্দোলনকারীরা ওয়েস্ট র‍্যান্ডলফ স্ট্রিটের হেমার্কেটে পরদিন এক প্রতিবাদ সভার ডাক দেয়।

May Day_Meeting of workers_Haymarket Square_May 4_1886

৩ মে পুলিশী গুলিবর্ষণ ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ডাকা পরদিন হেমার্কেটের প্রতিবাদ সভার লিফলেট।

৪ মে সন্ধ্যায় র‍্যান্ডলফের ঠিক উত্তরে ডেস প্লেইনস স্ট্রিটের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে শিকাগো শহরের মেয়র কার্টার এইচ হ্যারিসন উপস্থিত ছিলেন। তিনি পুলিশকে সভাটি শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্তের নির্দেশ দিয়ে সভা ত্যাগ করেন। এরই এক পর্যায়ে বক্তারা যখন দাবী মানা না হলে আইন অমান্যের ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখন পুলিশ ইন্সপেক্টর জন বনফিল্ডের নেতৃত্বে ১৭৬ জন পুলিশের একটি দল সভাস্থলে যায় এবং সভাটিকে ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেয়।

এসময় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ে মারে। একজন পুলিশ অফিসার মেথিয়াস জে. ডেগান তাৎক্ষণিকভাবে নিহত হয় এবং ৬০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। মুহুর্তে সমবেত শ্রমিকদের উপর পুলিশের গুলি বৃষ্টি শুরু হয়। অসংখ্য শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ নিহত বা আহত হয়।

ক্রমবর্ধমান শ্রমিক আন্দোলনের প্রভাব নিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাসীনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। মেয়র হ্যারিসন শহরে সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে। পুলিশ চূড়ান্ত সতর্কতায় অবস্থান নেয় যাতে শ্রমিকেরা পিকেটিং করতে না পারে। আন্দোলন সমর্থনকারী প্রেসকে কঠোর হাতে দমন করা হয়। উপরন্তু শিল্পমালিকদের পক্ষাবলম্বনকারী শিকাগোর অন্যান্য সংবাদপত্রগুলো শ্রমিকদের এ আন্দোলনকে ‘নৈরাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র’ আখ্যায়িত ক’রে পুলিশের দেয়া অপ্রমাণিত ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ প্রকাশ করতে থাকে। এসব গণমাধ্যম আন্দোলনকে ‘বিদেশী ষড়যন্ত্র’ অভিহিত ক’রে আক্রমণাত্মক ও উত্তেজক শব্দ ব্যবহারে প্রতিশোধের আহ্বান সম্বলিত কলাম প্রকাশ করে।

সরকার, পুলিশ ও গণমাধ্যমের এহেন আচরণে আন্দোলকারী শ্রমিকদের মনোবল ভেঙে দেয় ফলে শুধুমাত্র কয়েকটি কারখানায় সুসংগঠিত ধর্মঘট অব্যাহত থাকে।

পুলিশ শত শত শ্রমিককে গ্রেফতার করে। কিন্তু সেদিনের সমাবেশে বোমা নিক্ষেপকারী ব্যক্তির পরিচয় পুলিশ কখনই প্রকাশ করেনি বা তাকে গ্রেফতারও করেনি। এরপর শুরু হয় বোমা হামলা ও পুলিশ অফিসার মেথিয়াস জে. ডেগান হত্যাকান্ডের বিচারের নামে প্রহসন। বিশিষ্ট বক্তা, কলাম লেখক, শ্রমিক নেতা, অগাস্ট স্পাইস, এলবার্ট আর. পারসন্স, লুইস লিং, এডলফ ফিসার, জর্জ এঙ্গেল, অসকার নিব, স্যামুয়েল ফিল্ডেন এবং মাইকেল সোয়াবকে আসামী ক’রে বিচারক জোসেফ ই. গ্যারির পরিচালনায় ১২ জন জুরির মাধ্যমে।

আসামীরা বোমা ছুঁড়েছে বা বোমা নিক্ষেপের আয়োজন করেছে এমন নুন্যতম প্রমাণের অভাব থাকায় প্রসিকিউটররা অভিযুক্তদের পত্রিকায় লিখিত কলাম এবং বক্তৃতা আদালতে প্রমাণ হিসেবে দাখিল করে এবং আদালত এই প্রামাণ্যের নিরিখে শুনানী শুরু করে। জুরিবৃন্দ আইনি নজিরের বাইরে একটি ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ গ্রহণের নির্দেশ দেয় এবং অভিযুক্ত ৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করে।

সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশ রায়ে ক্ষুব্ধ হয়। কিন্তু আপিল করলে তাও ব্যর্থ হয়। মাত্র দু’জনের মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবনে রূপান্তর করা হয়।

১১ নভেম্বর, ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে কুক কাউন্টি জেলে ৪ অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়া হয়। একজন অভিযুক্ত রায় কার্যকরের আগেই জেলে আত্মহত্যা করে। নিহত পাঁচজনের শেষকৃত্য মিছিলে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের অভাব এবং অন্যায় ও অন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ার কারণে ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে গভর্নর জন পিটার অল্টগেল্ড কাছে আর্জি পেশ করলে গভর্নর কারাবন্দী তিন অভিযুক্তকে নিঃশর্ত ক্ষমা মঞ্জুর করে।

আমেরিকার ইতিহাসে সেদিনের সেই প্রহসনের বিচার অন্যতম ‘জঘন্য অবিচার’ (worst miscarriages of justice) হিসেবে বিবেচিত হয়।

May Day_Sculpture_Front_Graveyard
১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুন ওয়াল্ডহেইমের কবরস্থানে যেখানে অগাস্ট স্পাইসসহ আদালতের অবিচারে জীবন দেয়া ৫ জন শায়িত আছে তাদের স্মরণে ভাস্কর আলবার্ট ওয়েইনার্টের তৈরী একটি ১৬ ফুট উচু গ্রানাইট পাথর ও ব্রোঞ্জে তৈরী শহীদ শ্রমিকের শরীরকে আগলে দাঁড়িয়ে থাকা নারীর একটি স্মারক ভাস্কর্য স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে স্থাপন করে আন্দোলনকারীরা।

May Day_Sculpture_Back_Graveyard
এই ভাস্কর্যে পেছনের অংশে জেলখানায় জীবন দেয়া ৫ শহীদের নাম আর সামনে নিচের বেদীতে ফাঁসীর আগমুহুর্তে উচ্চারিত অগাস্ট স্পাইসের শেষ উক্তি, “The day will come when our silence will be more powerful than the voices you are throttling today” উৎকীর্ণ রয়েছে। এই স্মৃতিস্তম্ভটি “Haymarket Martyrs’ Monument নামে খ্যাত।

May Day_Sculpture_by Mary Brogger

পরবর্তী সময়ে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ৪ মে সমাবেশ চলাকালীন বক্তাদের প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহৃত ওয়াগনকে প্রতীক ক’রে ভাস্কর মেরি ব্রগারের তৈরী ভাস্কর্যটি সেদিন ওয়াগনটি যেখানে দাঁড়িয়েছিল এবং যেখানে ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটেছিল ঠিক সেই স্থানে স্থাপন করা হয়। যা The Haymarket Memorial নামে খ্যাত।

১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে হেমার্কেটে মৃত পুলিশদের সম্মানে একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল যা ১৯৬৯-১৯৭০এর ছাত্র আন্দোলনের ধ্বংসাত্মক তৎপরতার মুখে সরিয়ে শিকাগো পুলিশ একাডেমিতে স্থাপন করা হয়।

১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের শতবার্ষিকীতে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে শিকাগো প্রতিবাদের বার্ষিকী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে পালনের প্রস্তাব করেন রেমন্ড লাভিনে। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেসে এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। 

১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে আমস্টারডাম শহরে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই উপলক্ষ্যে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে দৈনিক আটঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণের দাবি আদায়ের জন্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বজুড়ে পয়লা মে তারিখে মিছিল ও শোভাযাত্রা আয়োজন করতে সকল সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল এবং শ্রমিক সংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেই সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে সকল শ্রমিক সংগঠন মে মাসের ১ তারিখে ‘বাধ্যতামূলকভাবে কাজ না-করার’ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

অনেক দেশে শ্রমজীবী জনতা মে মাসের ১ তারিখকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালনের দাবী জানায় এবং অনেক দেশেই এটা কার্যকর হয়। দীর্ঘদিন ধরে সমাজতান্ত্রিক, কমিউনিস্ট এবং কিছু কট্টর সংগঠন তাদের দাবী জানানোর জন্য মে দিবসকে মুখ্য দিন হিসাবে বেছে নেয়।

১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১ মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে ‘মে দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ হিসেবে।

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও কনভেনশন অনুসারে বিশ্বের প্রায় সব দেশে আইন করে দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের দাবি কার্যকর করে। শ্রমিকদের দৈনিক কাজের সময় ১২-১৬ ঘন্টা থেকে নেমে আসে ৮ ঘন্টায়। এর ফলে বিশ্বের সব দেশের শ্রমিক তাদের শ্রমের উপযুক্ত মর্যাদা পেতে শুরু করে। বিশ্বের ইতিহাসে সংযোজিত হয় সামাজিক পরিবর্তনের আরেকটি নতুন অধ্যায়।

অবিভক্ত ভারতে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম পালিত মে দিবস হয়। সে বছর হিন্দুস্তান লেবার কিসান পার্টি দেশে প্রথমবারের মতো মে দিবস উদযাপন করে। ত্রিপলিকেন সৈকত ও মাদ্রাজ হাইকোর্টের সন্নিকটস্থ সৈকতে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির আত্মসম্মান আন্দোলন এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর আন্দোলনের এই দুটি সমাবেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কমরেড সিঙ্গারাভেলার (সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার)। এই নেতা একটি প্রস্তাব পাশ করেছিলেন, যাতে বৃটিশ ভারত সরকারের কাছে দাবী করা হয় শ্রমিক দিবসের দিনটিকে সকলের জন্য ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করবার।

বাংলাদেশ আইএলওর এই কনভেনশন অনুসমর্থন করে। কিন্তু বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে গেলেও শ্রমিক অধিকার এখনো অধরা। প্রবৃদ্ধি বাড়লেও শ্রমিকের আয়ের অংশ তারা পাচ্ছে না। বৃহৎ কারখানাগুলো ৮ শ্রমঘন্টা বিধি মেনে চললেও প্রায় প্রতিটি ক্ষুদ্র কারখানা শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, রেস্তরাঁ-দোকান শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, শিপব্রেকিং শ্রমিকসহ অসংখ্য সেক্টরের শ্রমিকেরা বাংলাদেশের শ্রম আইনের সুফল ভোগ করছে না। পাচ্ছে না সরকার নির্ধারিত নূন্যতম মজুরি। আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। সন্তানসম্ভবা মা, পাচ্ছে না মাতৃত্বকালীন ছুটি। সদ্য হওয়া মায়েরা কর্মক্ষেত্রে সন্তান প্রতিপালন (Day Care) ও স্তন্যদানের (Breastfeed) সুবিধা পাচ্ছে না। উপরন্তু বাড়ছে বৈষম্য। আট কর্মঘণ্টাসহ অন্যান্য দাবী তাদের কাছে এখনো স্বপ্নের মতো।

তবুও মে দিবস শ্রমিকের শৃংখল ভাঙ্গার দিন। অধিকার আদায়ে দৃপ্ত পদভারে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবার শিক্ষা দেয় মে দিবস। মেহনতি মানুষের মুক্তি পাবার আকুল আকাংখার এই দিন বিশ্বের অনেক দেশের শ্রমিকের কাছে বিজয়ের দিন, উৎসবের দিন। কিন্তু বাংলাদেশসহ অসংখ্য দেশে নিষ্পেষিত শ্রমিকের কাছে আজও ‘মে দিবস’ অধিকার আদায়ের প্রতীকী দিবস। শৃঙ্খলিত জীবন থেকে মুক্তি আকাংখার দিন।

ফিচার ফটো: হেমার্কেটের সেদিনের ঘটনা চিত্রিত করে শিল্পী থোর দ্য থোরলস্ট্রেপ এর কাঠ খোদাই এর ছবি ব্যবহৃত হয়েছে। যে ছবি ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের হারপারস উইকলিতে ছাপা হয়েছিল।

লেখক: সাগর লোহানী, সম্পাদক, বাঙালীয়ানা

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.

About Author

বাঙালীয়ানা স্টাফ করসপন্ডেন্ট