৭ জানুয়ারী, ১৯৭২ শুক্রবার
কী ঘটেছিল
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজিজ আহমেদ রাওয়ালপিন্ডির অদূরে সিহালা পুলিশ রেস্ট হাউজে গৃহবন্দী শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো শেখ মুজিবকে দেশে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।
অপরাহ্নে শেখ মুজিবকে আজিজ সিহালা পুলিশ রেস্ট হাউজ থেকে রাওয়ালপিন্ডি নিয়ে আসে।
পাক প্রেসিডেন্ট ভুট্টোর প্রস্তাবানুসারে শেখ মুজিবকে জানানো হয়, আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পিআইএ বিমানে তাঁকে ঢাকা নেয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো দেশের সহায়তা লাগবে, তেহরান হতে পারে সেই তৃতীয় দেশ।
তেহরান প্রশ্নে শেখ মুজিবুর রহমান আপত্তি জানান। দ্বিতীয় স্থান হিসেবে পাকিস্তান লন্ডনের নাম প্রস্তাব করলে শেখ মুজিবুর রহমান লন্ডন যেতে সম্মত হন।
রাওয়ালপিন্ডিতে ভুট্টো শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন।
নৈশভোজকালে ভুট্টো শেখ মুজিবকে জানান, ইরানের শাহ মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভী পাকিস্তান সফরে আসছেন পরদিন অর্থাৎ ৮ জানুয়ারী। ভুট্টো মুজিবের সাথে ইরানের মোহাম্মদ রেজা শাহ-এর একটি বৈঠকের প্রস্তাব দিলে শেখ মুজিবুর রহমান তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এ প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে শেখ মুজিবুর রহমান নৈশভোজ বয়কটের হুমকি দিলে ভুট্টো ঐদিনই শেখ মুজিবুর রহমানকে লন্ডন পাঠাবার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বাঙালীয়ানা/এসএল
অগ্নিঝরা একাত্তরের দিনগুলো, পড়ুন
ডিসেম্বর ১৯৭১
নভেম্বর ১৯৭১
অক্টোবর ১৯৭১
সেপ্টেম্বর ১৯৭১
আগস্ট ১৯৭১
জুলাই ১৯৭১
জুন ১৯৭১
মে ১৯৭১
এপ্রিল ১৯৭১
মার্চ ১৯৭১