রিপোর্টটা হয়তো লিখতে হতো পুরোপুরি অন্য ভাবে। হয়তো শিরোনাম হতো, ‘আফগান চালে ভারত কুপোকাত’। কিন্তু তা হলো না।
বোলাররা বিরাট কোহলিকে এনে দিল জয়। অন্য ম্যাচগুলোয় ‘টিম ইন্ডিয়া’র ব্যাটসম্যানরা পাহাড়প্রমাণ রান করেছিলেন। ফলে বোলারদের কাজ হয়ে গিয়েছিল সহজ। কিন্তু শনিবার, ২২ জুন, ২০১৯, ভারতের ব্যাটসম্যানরা বড় রানের বোঝা চাপাতে পারেননি আফগানিস্তানের উপরে। ফলে চাপটা ছিল বোলারদের উপরেই। বল করতে নেমে যাসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি, চাহালরাও হতাশ করেনি কোহালিকে।
শেষ ওভারে জেতার জন্য আফগানদের দরকার ছিল ১৬ রান। কোহলি বল তুলে দেন শামির হাতে। আর এই সুযোগেই ইতিহাস গড়ে ফেললেন শামি। পরপর তিন বলে ফেরালেন নবী, আফতাব ও মুজিবকে। ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের চেতন শর্মা’র হ্যাটট্রিকের পর শামি এই কৃতিত্ব গড়ে দেখালো। চলতি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকটি করলেন বাংলার এই পেসার। তার শেষ ওভারে দাপটের জন্যই আফগানিস্তান শেষ হয়ে গেল ২১৩ রানে।
অথচ ভারতের রান তাড়া করতে নেমে একটা সময়ে জয়ের কাছেই ছিলো আফগানিস্তান। জাজাই আর নাইব শুরুটা করেন দেখে শুনেই। তারা প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ধাক্কাটা বেশ ভালোই সামাল দিয়েছেন দুই আফগান ব্যাটসম্যান রহমত শাহ ও শাহিদি। কিন্তু কোহলি যে খুব সেয়ানা অধিনায়ক। আনলেন সেরা অস্ত্র বুমরাকে। হাতে নাতে ফল এনে দিলেন তিনি। এক ওভারে নাই চাপ সামলে ওঠা দুই নায়ক। এরপর অবশ্য দলের নায়ক বনে যান নবী। ভরডরহীন ক্রিকেট খেলে আফগানিস্তানকে নিয়ে আসেন জয়ের কাছাকাছি। কিন্তু জাদরান বাদে আর কেউই তাকে ভালো সঙ্গ দিতে পারেনি। শেষ ওভারে শামি জাদুতে ১১ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফগানরা।
এর আগে, টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। উদ্দেশ্য পরিষ্কার। রানের পাহাড় গড়ে রানরেটেও এগিয়ে থাকা। কিন্তু আফগান বোলারদের সামনে ভারতের মত করে দাঁড়াতে পারেনি ম্যাচের ভারত। আফগান-বোলাররা ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের পরীক্ষা নিলেন।
শুরুতেই বিদায় নেন ইনফর্ম রোহিত। রাহুলকে নিয়ে পরে কোহলির ধীরে চল ব্যাটিং। পিচ স্লো থাকায় ব্যাটে খুব রানও আসছিলো ভারতের। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে কোহলি ফিরলে মাঠে নেমে রান বাড়ানোর কাজে ব্যর্থ হয়েছেন ধোনিও। ধোনি নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে পারলেন না। শেষে রশিদ খানকে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হলেন। ভাবা যায়? আট বছর পরে স্টাম্পড হলেন ধোনি। পরে কেদার যাদবের ৬৮ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ২২৪ রান তোলে ভারত।
বাঙালীয়ানা/জেএইচ