বিস্ফোরণের দু’ঘণ্টা আগেই শ্রীলঙ্কাকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল ভারত। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট করে গির্জায় বিস্ফোরণ হতে পারে, এমন বার্তাও দিয়েছিল ভারত।
রোববার, ২১ এপ্রিল, ২০১৯, রাজধানী কলম্বোসহ আরও দু’টি শহরে গির্জা ও হোটেলে মোট আটটি বিস্ফোরণ ঘটে। এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫৯। তার মধ্যে অন্তত ১০ জন ভারতীয়সহ ৩৭ জন বিদেশী রয়েছে। মঙ্গলবারই এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী। তার পরের দিনই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ভারতের সতর্কতা বার্তার কথা স্বীকার করলেন।
কিন্তু ভারতের এই বার্তাকে যে শ্রীলঙ্কা গুরুত্ব দেয়নি, তা প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিঙ্ঘের কথাতেই তা স্পষ্ট।
সিএনএন ভারতীয় সূত্রের বরাতে জানাচ্ছে, মূলত ভারতের কারাগারে বন্দি সন্দেহভাজন এক হামলাকারীর কাছ থেকে এ সংক্রান্ত পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতে পারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ওই সন্দেহভাজন কর্তৃপক্ষকে জানায়, সে শ্রীলঙ্কায় সে এক ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। স্থানীয় চরমপন্থিদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির সম্পর্ক রয়েছে।
ভারতের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত আমাদের হামলার সম্পর্কে সতর্ক করে বার্তা দিয়েছিল। কিন্তু কোথাও না কোথাও কোনও গাফিলতি ছিল আমাদের। যে কারণে সেই তথ্য নিচের সারির কর্মকর্তাদের কাছে সেই বার্তা পৌঁছনো যায়নি এবং আগাম সতর্কতা নেওয়া যায়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদানের সুসম্পর্ক রয়েছে। যখনই কোনও প্রয়োজন হয়, নয়াদিল্লি আমাদের সাহায্য করে। সেই কারণেই জঙ্গিদের পিছনে বিদেশি কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী বা অন্য কোনও মদত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দাদের সাহায্য নিচ্ছি আমরা।’’
কিন্তু জঙ্গিরা এখনও দেশে রয়েছে কিনা, থাকলে কোথায় রয়েছে, তা নিয়ে প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন শ্রীলঙ্কা সরকার। অন্য দিকে মঙ্গলবারই উঠে আসে, ক্রাইস্ট চার্চে মসজিদে হামলার প্রতিশোধ নিতেই শ্রীলঙ্কায় হামলা হয়েছে। তবে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বিক্রমসিঙ্ঘে বলেন, ক্রাইস্টচার্চে হামলার আগেই শ্রীলঙ্কার এই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
ছবি ও খবর: আনন্দবাজার
বাঙালীয়ানা/এসএল