সাংবাদিক সাগর চৌধুরীকে নির্যাতন ও এই নির্যাতনের ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করার অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের ছেলে নাবিল হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০২০ রাতে ভুক্তভুগি সাংবাদিক সাগর চৌধুরী বাদী হয়ে তাকে নির্যাতনের ঘটনায় নাবিল হায়দারকে এক নম্বর এবং অজ্ঞাত পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
বুধবার, ১ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে বোরহানউদ্দিনের উপজেলা সড়ক এলাকার বাসা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাবিলকে গ্রেফতার করা হয়। নাবিল এসএম হলের আবাসিক ছাত্র এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।
লালমোহন সার্কেলের এডিশনাল পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

নাবিল হায়দারের নির্যাতনে আহত সাংবাদিক সাগর চৌধুরী
উল্লেখ্য, বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলেদের জন্য আসা চাল চুরির অভিযোগ করায় সাংবাদিক সাগর চৌধুরীর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে নাবিল হায়দারের বিরুদ্ধে। ক্ষোভ মেটাতে ওই সাংবাদিককে মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে পেটানো হয়। পরে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর ওই সাংবাদিকের বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরের রাজমনি সিনেমা হলের সামনে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে।
ভোলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক আজকের ভোলা সম্পাদক শওকাত হোসেন এবং বাংলাদেশ অনলাইন এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এ ঘটনার নিন্দা জানান এবং এই ঘটনার বিচার দাবি করেন।