১৯৭৬ সালের সেদিনটি ছিল ১ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঢাকা ঘাঁটির ফ্লায়িং ইন্সট্রাক্টর্স স্কুলের শুভ উদ্বোধন করবেন এয়ার ভাইস মার্শাল এম খাদেমুল বাশার। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে খাদেমুল বাশার উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ স্কুলের শুভ উদ্বোধন করলেন। উদ্বোধন শেষে এবার সুদক্ষ বৈমানিক খাদেমুল বাশার উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ স্কুলের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মফিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী ফ্লাইটের একটি বিমানে চড়ে আকাশে উড়াল দিলেন। উপস্থিত সবার চোখ তখন আকাশে। মুহূর্তেই কেঁপে উঠল চারপাশ। সবাই হতবাক হয়ে দেখছে তেজগাঁও বিমান বন্দরের পাশেই একটি ইমারতের উপর এসে বিমানটি পতিত হলো। উড্ডয়নের পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিকট এক শব্দে স্তব্ধ হয়ে যায় চারপাশ। আর সেই সাথে স্তব্ধ হয়ে যায় স্কোয়াড্রন লিডার মফিজুল হক এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এয়ার ভাইস মার্শাল মো. খাদেমুল বাশারের জীবন। বিমান বাহিনীর যে ঘাঁটিতে তিনি ঘাঁটি অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন তাঁর মৃত্যুর পর সেই বিমান ঘাঁটির নামকরণ করা হয় বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার নামে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলার ইতিহাসে একটি জঘন্যতম কালো রাত। পাকিস্তান সেনাবাহিনী নির্বিচারে সেদিন হত্যা করেছিল এ ভূখন্ডের নিরীহ মানুষদের। পরদিন এই বর্বর হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ বাহিনীর বাঙালী সদস্যরাও বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। পাকিস্তান সেনাবহিনীর বর্বর এই গণহত্যা এ ভূখন্ডের নিরীহ মানুষের রক্তে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। জ্বলে উঠেছিল বাঙালী। পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তারা সুকৌশলে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীতে কর্মরত বাঙালী অফিসারদের বিচ্ছিন্ন রাখার কৌশল অবলম্বন করেছিল। যে কারণে রংপুর- দিনাজপুর অঞ্চলে সেদিন সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভ জানালেও সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ বাহিনীর বাঙালী সদস্যরা একটু দেরিতেই বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ২৭ মার্চ ৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকেরা, ৩১ মার্চ সৈয়দপুর সেনানিবাসের সৈনিকরা ও ১ এপ্রিল পার্বতিপুরের আলফা কোম্পানির বাঙালী সৈনিকেরা এবং স্থানীয় ইপিআর, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সৈনিকেরা ফুলবাড়িতে একত্রিত হয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। এদের সাথে বেসামরিক লোকজন সহকারে পরবর্তীতে গঠিত হয়েছিল ৬ নম্বর সেক্টর।
রংপুর সেনানিবাসের কাছেই ছিল একটি এয়ার স্ট্রিপ। এই জায়গাটা হালকা বিমান অবতরণের জন্য উপযোগী ছিল। উত্তরাঞ্চলের এটি একটি বড় ধরনের যোগাযোগ কেন্দ্র। এখানে ছিল একটি আধুনিক বেতার কেন্দ্র আর জেলা সদর হিসেবেও রংপুরের যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে, যে কারণে ৬ নম্বর সেক্টরের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রংপুর। এই সেক্টরের সাথে ঢাকার দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হওয়া সত্ত্বেও জেনারেল নিয়াজি এই এলাকার প্রতিরক্ষার জন্য ১৬ পদাতিক ডিভিশন মোতায়েন করেন। রংপুরে ছিল এর সদর দপ্তর। নিয়াজি ধারণা করেছিল ভারতীয় মিত্রবাহিনী প্রথমেই এই এলাকা দখলের চেষ্টা করবে। এছাড়া পাকিস্তানীরা চীনা সৈন্যদের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য এ অঞ্চলকেই নির্বাচন করেছিল।
জুন মাসে ৬ নম্বর সেক্টরে নিযুক্ত হন উইং কমান্ডার এম কে বাশার। তখনও ৬ নম্বর সেক্টরের সাংগঠনিক কাঠামো অতটা সুদৃঢ় হয়নি। ১২-১৫ জুলাই কলকাতায় সেক্টর কমান্ডারদের সম্মেলনে সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। সেই সম্মেলনেই ৬নং সেক্টরের বিন্যাস, কাঠামো ও যুদ্ধ কৌশল নির্ধারণ করা হয়। ৬ নম্বর সেক্টরের কোনো নিয়মিত ব্যাটালিয়ন ছিল না। নিয়মিত বাহিনীর সাথে সাবেক ইপিআর, আনসার , মুজাহিদ ও বেসামরিক লোকজন নিয়ে এই সেক্টর বাহিনী গঠিত হয়। খাদেমুল বাশার ৬ নং সেক্টরের দায়িত্ব নিয়ে অসীম সাহসিকতার সাথে তাঁর পদাতিক বাহিনীর সহায়তায় প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। পাকিস্তানী হায়েনাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা, বীরত্ব ও কৃতিত্বের জন্য জাতি তাঁকে ‘বীর উত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করে।
উইং কমান্ডার এম কে বাশার জন্মেছিলেন বগুড়াতে, ১৯৩৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। যদিও তাঁর পৈত্রিক বাড়ি রাজশাহী জেলার সারারবাড়িয়া গ্রামে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে খাদেমুল বাশার ছিলেন মা-বাবার তৃতীয় সন্তান। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন দুরন্ত স্বভাবের। খেলতেই বেশি পছন্দ করতেন তিনি। বেশি পছন্দ করতেন মডেল বিমান নিয়ে খেলতে। সারাদিন ছোটাছুটি করতেন, চোখে চোখে রাখতে হতো তাঁকে। এ জন্য বড় ভাই বোনদের তাঁর প্রতি বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হতো। মা ছিলেন একজন সুনিপুণ গৃহিণী ও বাবা ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। চাকরির কারণেই বাবার ছিল ভীষণ ব্যস্ততা। ফলে সংসারের গুরুদায়িত্ব পালন করতে হতো মাকেই।
দুরন্ত ও চঞ্চল স্বভাবের এই ছেলেটি ছিলেন পড়াশুনায় অসাধারণ মেধাবী। তাঁর ডাক নাম ছিল ডিকেন। মা-বাবা, ভাই-বোনরা তাঁকে ডিকেন নামেই ডাকতেন। কিন্তু কাগজে পত্রে তাঁর নাম ছিল মো. খাদেমুল বাশার। তাঁর মা-বাবা ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার ব্যাপারে ছিলেন খুব যত্নবান। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল বগুড়া থেকেই। ডিকেন সাতক্ষীরার প্রাণনাথ স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে রাজশাহী সরকারি মহাবিদ্যালয়ে উচ্চমাধ্যমিক ভর্তি হয়েছিলেন এবং রাজশাহী কলেজ থেকেই তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন।
রাজশাহী সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পরই খাদেমুল বাশার তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ফ্লাইট ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৬ সালের ১৭ জুন তিনি পাকিস্তান এয়ারফোর্স রিসালপুর থেকে জিডি শাখায় কমিশন লাভ করেন। কমিশন লাভের পর খাদেমুল বাশার বিভিন্ন ফ্লাইট স্কোয়াড্রনে জঙ্গি বিমানের বৈমানিক হিসাবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার কারণেই ১৯৬০ সালে তদানীন্তন ঢাকা বেস-এর ফ্লাইট সেফটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল। পরবর্তীকালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ৮ নম্বর স্কোয়াড্রন ও ৪০৬ নম্বর স্কোয়াড্রনের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সে সময় কর্মজীবনে একাগ্রতা ও নিষ্ঠার কারণে একজন দক্ষ বৈমানিক হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করেছিলেন খাদেমুল বাশার।
১৯৪৭ সালে সাম্প্রদায়িক দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল ভারত। ধর্মের ধোয়া তুলে এই উপমহাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে অবজ্ঞা করে মুসলমানদের জন্য গড়ে তোলা হয় পাকিস্তান আর হিন্দুদের জন্য হিন্দুস্তান অর্থাত্ ভারত নামের দুটি রাষ্ট্র। আর তখন থেকেই সীমান্ত বিরোধসহ আরও অন্যান্য বিষয়ে এ দু’দেশের সম্পর্ক ছিল বিরোধপূর্ণ। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৫ সালে শুরু হয়েছিল পাক-ভারত যুদ্ধ। খাদেমুল বাশার তখন বৈমানিক হিসেবে পাকিস্তানের একজন গুরুত্বপূর্ণ অফিসার। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর তিনিই একমাত্র বাঙালী বৈমানিক যিনি সে সময় পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে বোম্বার স্কোয়াড্রনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পাক-ভারতের এই যুদ্ধে তাঁর এই দায়িত্বশীল ভূমিকার জন্য এবং বিশেষ সুনাম অর্জন করায় পরবর্তীতে তাঁকে ‘তমঘা-ই-বাসালত’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি কৃতিত্বের সাথে এই পদে বহাল ছিলেন।
১৯৭০ সালে খাদেমুল বাশার পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে উইং কমান্ডার হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং ১৯৭১ সালে তিনি উইং কমান্ডার হিসেবে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ঢাকার একটি ফ্লাইং স্কোয়াড্রনে অধিনায়কের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু ততদিনে পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। এ ভূখন্ডের মানুষ বুঝতে পেরেছিল একটি যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। খাদেমুল বাশারও উপলব্ধি করেছিলেন পাকিস্তানি শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই হবে। আর সহ্য করা যায় না। দেশ মাতৃকার প্রতি অগাধ ভালবাসা আর দায়বদ্ধতা থেকেই সেদিন তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একজন পারদর্শী বৈমানিক হয়েও সকল খ্যাতি ও সমৃদ্ধির মোহ পেছনে ফেলে পাকিস্তান বিমানবাহিনী ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের মে মাসে বিমানবাহিনীর কিছু সংখ্যক কর্মকর্তাসহ মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের লক্ষ্যে আগরতলার উদ্দেশ্যে সেদিন তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন।
মুক্তিবাহিনীতে যোগদানের পর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী প্রধান এম এ জি ওসমানী জুন মাসেই খাদেমুল বাশারকে রংপুর ও দিনাজপুর জেলা নিয়ে গঠিত ৬ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করেন। যে কারণে শুরু থেকেই এ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধ একটি নিয়ন্ত্রিত অবস্থার মধ্যে চলে আসে। সুষ্ঠুভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য তিনি নতুন বিন্যাসে গড়ে তোলেন ৬ নম্বর সেক্টরকে। পাঁচটি সাব সেক্টরে ভাগ করে গ্রহণ করেন নতুন রণনীতি। বিমানবাহিনীর একজন বৈমানিক হয়েও সেনাবাহিনীর ভূমিকায় খাদেমুল বাশার মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হন।
মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন।
খাদেমুল বাশারদের মতো হাজার হাজার বীর সেনারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি নতুন ভূখন্ডের জন্ম দেন। সদ্য স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ। নতুন পতাকা, নতুন মানচিত্র, নতুন সংবিধান। এবার দেশ গড়ার পালা। পাকিস্তানী শোষণ-শাসন আর যুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। সবার চোখে তখন প্রিয় দেশটাকে গড়ে তোলার স্বপ্ন। খাদেমুল বাশার সেখানেও সামনের কাতারে থেকে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার ১৯৭২ সাল পর্যন্ত রংপুর ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে খাদেমুল বাশার গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি লাভ করে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি ঢাকার বেস কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছিলেন। এর একবছর পরেই অর্থাত্ ১৯৭৩ সালে অক্টোবর মাসে এয়ার কমোডর হিসেবে আবার পদোন্নতি লাভ করেন, পাশাপাশি সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ন্যায়-নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার জন্যই খাদেমুল বাশার খুব দ্রুত আরও দায়িত্বশীল পদে পদোন্নতি লাভ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় খাদেমুল বাশার ১৯৭৬ সালের ৩ মে এয়ার ভাইস মার্শাল পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং সেদিন থেকেই উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পান। আর ১৯৭৬ সালেই এই গুরু দায়িত্ব মাথায় নিয়ে তিনি সবার কাছ থেকে চির বিদায় নিলেন।
১৯৩৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর যে জীবনের শুরু হয়েছিল, সাহস, বীরত্ব আর জয়ের দীর্ঘ পরিক্রমা পাড়ি দিয়ে একটি বিমান দুর্ঘটনার কারণে মাত্র ৪১ বছরে এসে অর্থাত্ ১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সে জীবনের অবসান ঘটে। যিনি একদিন শোষণের নাগপাশ ছিন্ন করে ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতা, প্রিয়তম স্বদেশ ও একটি স্বাধীন মানচিত্র। শুধু স্বাধীনতা এনেই ক্ষান্ত ছিলেন না তিনি। প্রিয় মাতৃভূমিকে পৃথিবীর বুকে একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাঁর চোখে ছিল অগাধ স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রচেষ্টাও ছিল তাঁর। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র পাঁচ বছর পরই তা চিরতরে থেমে যায়। কিন্তু তিনি তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়ে যান পরবর্তী প্রজন্মের কাঁধে।
তথ্যসূত্র: গুণীজন
বাঙালীয়ানা/এসএল
অগ্নিঝরা একাত্তরের দিনগুলো, পড়ুন –
মার্চ ১৯৭১ | এপ্রিল ১৯৭১ | মে ১৯৭১ | জুন ১৯৭১ | জুলাই ১৯৭১ |
আগস্ট ১৯৭১ | সেপ্টেম্বর ১৯৭১ | অক্টোবর ১৯৭১ | নভেম্বর ১৯৭১ | ডিসেম্বর ১৯৭১ |